ভারতের সঙ্গে খেলাটা শুধুই খেলা নয় by উৎপল শুভ্র
ল্যাংহাম
হোটেলের লবিতে ইয়া মুষ্ক দুই জওয়ান। যে-ই হোটেলে ঢুকছে, তার দিকেই
সন্দিগ্ধ দৃষ্টি। ভাবভঙ্গি দেখে বুঝতে একটুও সমস্যা হয় না, পেশাদার
নিরাপত্তারক্ষী। এমনই তো হওয়ার কথা। এই হোটেলেই আগামী বৃহস্পতিবার
কোয়ার্টার ফাইনালের দুই দল বাংলাদেশ ও ভারত। নিরাপত্তার একটু কড়াকড়ি তো
থাকবেই।
কিন্তু ভারতীয় দলের হোটেলে ঢুকতে তো তখনো ঘণ্টা চারেক বাকি। আর বাংলাদেশ দল তিন দিন ধরেই এখানে। এই ‘সুমো কুস্তিগির’দের তো আগে দেখা যায়নি! কথা বলে এ-ও জানা গেল, বিশ্বকাপ ক্রিকেট নামে যে একটা বস্তু আছে, সেটাই তাদের জানা নেই। তাহলে এঁরা কারা?
দুপুর ১২টার দিকে যাঁরা ল্যাংহাম হোটেলের সামনে ছিলেন, উত্তরটা তাঁদের জানা। মেলবোর্নের রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে তখনই হোটেলে ফিরলেন দৈত্যাকৃতির এক ভদ্রলোক। সাইকেল থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে বৃত্ত রচনা করলেন যে পাঁচ দেহরক্ষী, তাঁদের মধ্যে ওই দুজনও ছিলেন।
বডি বিল্ডিং, বিকিনি প্রতিযোগিতা আরও কী কী কাজে মেলবোর্নে আসা ‘টার্মিনেটর’ আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার যে ল্যাংহাম হোটেলেই উঠেছেন, সকালেই সেটি জানা হয়ে গেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। ব্রেকফাস্ট রুমে মুশফিক দূরের একটা টেবিলের দিকে চোখ নাচিয়ে বললেন, ‘দেখেন তো, কালো গেঞ্জি পরা ওই লোকটাকে চিনতে পারেন কি না?’ মুশফিকের কণ্ঠে সহজে রোমাঞ্চ খেলা করে না। এখানে করছে। সকালে উঠেই জিমে গিয়েছিলেন, সেখানে পাশে সাবেক মিস্টার ইউনিভার্স! রোমাঞ্চিত হওয়ার মতো ব্যাপারই তো! মুশফিকের স্বপ্নের নায়ক অবশ্য শোয়ার্জেনেগার নন, ‘আমার র্যাম্বোকে দেখার খুব ইচ্ছা।’ র্যাম্বো মানে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের শরীর আর কণ্ঠ দুটিতেই মুশফিকের মুগ্ধতা।
তারকাদেরও তাহলে তারকা থাকে! নইলে বেলা দেড়টার দিকে বাংলাদেশ দল যখন এমসিজিতে অনুশীলনে যাওয়ার বাসে উঠছে, মুশফিকদের এক নজর দেখতেও তো প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটা জটলা। অটোগ্রাফ নেওয়ার চল এখন প্রায় উঠেই গেছে। স্মার্টফোনের যুগে এখন ভক্তদের চাহিদা প্রিয় তারকার সঙ্গে ছবি। বাসে ওঠার আগে সেই দাবিও মেটালেন অনেকে।
এমসিজিতে নেটের পাশে ভারতীয় সাংবাদিককুলের কাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তারকা মর্যাদাই পেল। মাহমুদউল্লাহর এমন দুর্দান্ত খেলার রহস্য, সৌম্য সরকার হঠাৎ কোত্থেকে এল, বাংলাদেশ যে এই বিশ্বকাপে এত ভালো খেলছে তাতে কোচের কী ভূমিকা, নভজোৎ সিধু কী যেন বলেছে তা নিয়ে নাকি বাংলাদেশে তোলপাড়—তাদের এমন হাজারো কৌতূহল মেটাতে হলো বাংলাদেশের সাংবাদিকদের। নেটে বোলিং করতে করতে মাশরাফি পরিচিত বাংলাদেশের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছেন, এটা হয়ে দাঁড়াল অষ্টম আশ্চর্যের ব্যাপার।
কারণটা বুঝতে আপনাকে ধোনির দলের সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সম্পর্কটা জানতে হবে। প্রতিটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সময়ই ভারতীয় পত্রপত্রিকায় ছাপা হতে দেখবেন, ক্রিকেটার-প্রেস সম্পর্কটা এখন সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। পরের টুর্নামেন্টেই সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। এবার বিরাট কোহলি ভারতীয় এক সাংবাদিককে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি করার পর সেটি সত্যিকার অর্থেই তলানিতে। সামনে পড়ে গেলেও ক্রিকেটার-সাংবাদিকে চোখাচোখি পর্যন্ত হচ্ছে না। পরিস্থিতি এমনই যে, ভারতীয় দলের নেট থেকে কোনো ক্রিকেটার কোনো সাংবাদিকের উদ্দেশে প্রীতিমূলক কিছু বললে সেই সাংবাদিক বোধ হয় বিস্ময়ে অজ্ঞান হয়ে যাবেন!
এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় কৌতুক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দলের মিডিয়া ম্যানেজার ডা. বাবার ই-মেইল। যাতে তারিখ বদলে একটা কথাই বোধ হয় বারবার কপি-পেস্ট করে দেওয়া হয়: ‘নো মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি।’ বিশ্বকাপে প্রতিটি দলই অনুশীলনের পর দলের একজনকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড তো অনুশীলন নেই, এমন দিনগুলোতেও। সেখানে ম্যাচের আগে-পরের সংবাদ সম্মেলন ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটাররা সাংবাদিকদের ছায়াও মাড়াচ্ছেন না। ধোনি নাকি এমনও বলেছেন, আইসিসির বাধ্যবাধকতা না থাকলে সংবাদ সম্মেলনটাও তুলে দিতেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডাও মারেন—এটা শোনার পর ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিকেরা তাই অতীত দিনের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর নবীনেরা অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকেন। তাঁদের কাছে যে ‘ক্রিকেটাররা শুধুই দেখার জিনিস। কথা বলার নয়।’ আইপিএল রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দেওয়াতেই কোহলিরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন—কান পাতলে ভারতীয় সাংবাদিকদের এই ধারণার সমর্থন কিন্তু বাংলাদেশ দলেও শুনতে পাওয়া যায়।
ভারতের বিপক্ষে খেলা মানে আরও অনেক কিছুর সঙ্গে খেলা, এমন একটা ধারণা আছেই। বিশ্বকাপে ভারতীয় দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে, এই ক্ষোভও আছে অনেকের মনে। তাঁদেরই একজন তীব্র শ্লেষের সুরে বললেন, ‘শুনলাম, ধোনি নাকি সংবাদ সম্মেলনে ভ্রমণক্লান্তির কথা বলেছে। আমাদের তুলনায় ওরা তো রাজার হালে খেলছে! পার্থেই দুটি ম্যাচ খেলেছে, নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাসে দুই ঘণ্টা দূরত্বের হ্যামিল্টন আর অকল্যান্ডে পর পর দুটি ম্যাচ। এখানেই তো চলে গেল ২০-২২ দিন। আর আমরা এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ঘুরতে ঘুরতে শেষ!’ নামটা নাহয় গোপনই থাক।
ভারতীয় দল অকল্যান্ড থেকে মেলবোর্নে আসার কথা সন্ধ্যার পর। সকালে ব্রেকফাস্ট রুমে গিয়ে তাই চমকে যেতে হলো—ওই টেবিলটায় গভীর চিন্তামগ্ন ওটা কে বসে, রবি শাস্ত্রী না? শাস্ত্রীই, কী কারণে যেন এক সাপোর্ট স্টাফকে নিয়ে আগেই চলে এসেছেন। ইন্টারভিউয়ের জন্য মিনিট দশেক সময় চাইতেই বললেন, ‘অনুমতি নিতে হবে।’ আপনি টিম ডিরেক্টর, আপনি আবার কার অনুমতি নেবেন? এবার শাস্ত্রী নাটকীয় ভঙ্গিতে বললেন, ‘আমরা কথা বলি না। আমরা কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী।’
রবি শাস্ত্রীর ম্যাচের আগে মনস্তাত্ত্বিক খেলায়ও খুব বিশ্বাস। কথাটা এরই অংশ হতে পারে। তবে তখন তিনি কীভাবে জানবেন, ঘণ্টা চারেক পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার চেয়ে এক কাঠি সরেস বলে প্রমাণিত হবেন! বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে কী পার্থক্য গড়ে দেবে—ভারতীয় এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের কোচ বললেন, কারা উপলক্ষটাকে বেশি উপভোগ করতে পারবে, এটাই হবে নির্ধারক।
এই কোয়ার্টার ফাইনালটা কোন দলের জন্য বেশি উপভোগের উপলক্ষ, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
কিন্তু ভারতীয় দলের হোটেলে ঢুকতে তো তখনো ঘণ্টা চারেক বাকি। আর বাংলাদেশ দল তিন দিন ধরেই এখানে। এই ‘সুমো কুস্তিগির’দের তো আগে দেখা যায়নি! কথা বলে এ-ও জানা গেল, বিশ্বকাপ ক্রিকেট নামে যে একটা বস্তু আছে, সেটাই তাদের জানা নেই। তাহলে এঁরা কারা?
দুপুর ১২টার দিকে যাঁরা ল্যাংহাম হোটেলের সামনে ছিলেন, উত্তরটা তাঁদের জানা। মেলবোর্নের রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে তখনই হোটেলে ফিরলেন দৈত্যাকৃতির এক ভদ্রলোক। সাইকেল থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে বৃত্ত রচনা করলেন যে পাঁচ দেহরক্ষী, তাঁদের মধ্যে ওই দুজনও ছিলেন।
বডি বিল্ডিং, বিকিনি প্রতিযোগিতা আরও কী কী কাজে মেলবোর্নে আসা ‘টার্মিনেটর’ আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার যে ল্যাংহাম হোটেলেই উঠেছেন, সকালেই সেটি জানা হয়ে গেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। ব্রেকফাস্ট রুমে মুশফিক দূরের একটা টেবিলের দিকে চোখ নাচিয়ে বললেন, ‘দেখেন তো, কালো গেঞ্জি পরা ওই লোকটাকে চিনতে পারেন কি না?’ মুশফিকের কণ্ঠে সহজে রোমাঞ্চ খেলা করে না। এখানে করছে। সকালে উঠেই জিমে গিয়েছিলেন, সেখানে পাশে সাবেক মিস্টার ইউনিভার্স! রোমাঞ্চিত হওয়ার মতো ব্যাপারই তো! মুশফিকের স্বপ্নের নায়ক অবশ্য শোয়ার্জেনেগার নন, ‘আমার র্যাম্বোকে দেখার খুব ইচ্ছা।’ র্যাম্বো মানে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের শরীর আর কণ্ঠ দুটিতেই মুশফিকের মুগ্ধতা।
তারকাদেরও তাহলে তারকা থাকে! নইলে বেলা দেড়টার দিকে বাংলাদেশ দল যখন এমসিজিতে অনুশীলনে যাওয়ার বাসে উঠছে, মুশফিকদের এক নজর দেখতেও তো প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটা জটলা। অটোগ্রাফ নেওয়ার চল এখন প্রায় উঠেই গেছে। স্মার্টফোনের যুগে এখন ভক্তদের চাহিদা প্রিয় তারকার সঙ্গে ছবি। বাসে ওঠার আগে সেই দাবিও মেটালেন অনেকে।
এমসিজিতে নেটের পাশে ভারতীয় সাংবাদিককুলের কাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তারকা মর্যাদাই পেল। মাহমুদউল্লাহর এমন দুর্দান্ত খেলার রহস্য, সৌম্য সরকার হঠাৎ কোত্থেকে এল, বাংলাদেশ যে এই বিশ্বকাপে এত ভালো খেলছে তাতে কোচের কী ভূমিকা, নভজোৎ সিধু কী যেন বলেছে তা নিয়ে নাকি বাংলাদেশে তোলপাড়—তাদের এমন হাজারো কৌতূহল মেটাতে হলো বাংলাদেশের সাংবাদিকদের। নেটে বোলিং করতে করতে মাশরাফি পরিচিত বাংলাদেশের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছেন, এটা হয়ে দাঁড়াল অষ্টম আশ্চর্যের ব্যাপার।
কারণটা বুঝতে আপনাকে ধোনির দলের সঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সম্পর্কটা জানতে হবে। প্রতিটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের সময়ই ভারতীয় পত্রপত্রিকায় ছাপা হতে দেখবেন, ক্রিকেটার-প্রেস সম্পর্কটা এখন সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। পরের টুর্নামেন্টেই সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। এবার বিরাট কোহলি ভারতীয় এক সাংবাদিককে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি করার পর সেটি সত্যিকার অর্থেই তলানিতে। সামনে পড়ে গেলেও ক্রিকেটার-সাংবাদিকে চোখাচোখি পর্যন্ত হচ্ছে না। পরিস্থিতি এমনই যে, ভারতীয় দলের নেট থেকে কোনো ক্রিকেটার কোনো সাংবাদিকের উদ্দেশে প্রীতিমূলক কিছু বললে সেই সাংবাদিক বোধ হয় বিস্ময়ে অজ্ঞান হয়ে যাবেন!
এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় কৌতুক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দলের মিডিয়া ম্যানেজার ডা. বাবার ই-মেইল। যাতে তারিখ বদলে একটা কথাই বোধ হয় বারবার কপি-পেস্ট করে দেওয়া হয়: ‘নো মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি।’ বিশ্বকাপে প্রতিটি দলই অনুশীলনের পর দলের একজনকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড তো অনুশীলন নেই, এমন দিনগুলোতেও। সেখানে ম্যাচের আগে-পরের সংবাদ সম্মেলন ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটাররা সাংবাদিকদের ছায়াও মাড়াচ্ছেন না। ধোনি নাকি এমনও বলেছেন, আইসিসির বাধ্যবাধকতা না থাকলে সংবাদ সম্মেলনটাও তুলে দিতেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডাও মারেন—এটা শোনার পর ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিকেরা তাই অতীত দিনের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর নবীনেরা অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকেন। তাঁদের কাছে যে ‘ক্রিকেটাররা শুধুই দেখার জিনিস। কথা বলার নয়।’ আইপিএল রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দেওয়াতেই কোহলিরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন—কান পাতলে ভারতীয় সাংবাদিকদের এই ধারণার সমর্থন কিন্তু বাংলাদেশ দলেও শুনতে পাওয়া যায়।
ভারতের বিপক্ষে খেলা মানে আরও অনেক কিছুর সঙ্গে খেলা, এমন একটা ধারণা আছেই। বিশ্বকাপে ভারতীয় দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে, এই ক্ষোভও আছে অনেকের মনে। তাঁদেরই একজন তীব্র শ্লেষের সুরে বললেন, ‘শুনলাম, ধোনি নাকি সংবাদ সম্মেলনে ভ্রমণক্লান্তির কথা বলেছে। আমাদের তুলনায় ওরা তো রাজার হালে খেলছে! পার্থেই দুটি ম্যাচ খেলেছে, নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাসে দুই ঘণ্টা দূরত্বের হ্যামিল্টন আর অকল্যান্ডে পর পর দুটি ম্যাচ। এখানেই তো চলে গেল ২০-২২ দিন। আর আমরা এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ঘুরতে ঘুরতে শেষ!’ নামটা নাহয় গোপনই থাক।
ভারতীয় দল অকল্যান্ড থেকে মেলবোর্নে আসার কথা সন্ধ্যার পর। সকালে ব্রেকফাস্ট রুমে গিয়ে তাই চমকে যেতে হলো—ওই টেবিলটায় গভীর চিন্তামগ্ন ওটা কে বসে, রবি শাস্ত্রী না? শাস্ত্রীই, কী কারণে যেন এক সাপোর্ট স্টাফকে নিয়ে আগেই চলে এসেছেন। ইন্টারভিউয়ের জন্য মিনিট দশেক সময় চাইতেই বললেন, ‘অনুমতি নিতে হবে।’ আপনি টিম ডিরেক্টর, আপনি আবার কার অনুমতি নেবেন? এবার শাস্ত্রী নাটকীয় ভঙ্গিতে বললেন, ‘আমরা কথা বলি না। আমরা কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী।’
রবি শাস্ত্রীর ম্যাচের আগে মনস্তাত্ত্বিক খেলায়ও খুব বিশ্বাস। কথাটা এরই অংশ হতে পারে। তবে তখন তিনি কীভাবে জানবেন, ঘণ্টা চারেক পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার চেয়ে এক কাঠি সরেস বলে প্রমাণিত হবেন! বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে কী পার্থক্য গড়ে দেবে—ভারতীয় এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের কোচ বললেন, কারা উপলক্ষটাকে বেশি উপভোগ করতে পারবে, এটাই হবে নির্ধারক।
এই কোয়ার্টার ফাইনালটা কোন দলের জন্য বেশি উপভোগের উপলক্ষ, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
No comments