ভিন্ন কিছুর চিন্তা করেও হরতালই দিল বিএনপি
সংলাপের লক্ষ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে ‘নমনীয়’ মনোভাব দেখালেও শেষতক এ সপ্তাহের হরতাল কর্মসূচির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৭২ ঘণ্টার হরতাল শেষে আবারও ৪৮ ঘণ্টার হরতাল বাড়িয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। ফলে আজ বুধবার ভোর ছয়টা থেকে আগামী শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত হরতাল চলবে। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লা জোটের পক্ষে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। পাশাপাশি কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল, শুক্রবার দলের নিখোঁজ নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের জন্য মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া এবং প্রার্থনার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে এসব কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। একই দাবিতে গত রোববার থেকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল দেওয়া হয়। আজ ভোর ছয়টায় তা শেষ হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, দেশ-বিদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে ছাড় দেওয়ার চিন্তা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে কয়েক দিনের জন্য হরতাল প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে ঢাকায় বড় আকারের একটি সমাবেশ করার চিন্তা করা হচ্ছিল। সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনিও বিএনপির চেয়ারপারসনকে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। কিন্তু সালাহ উদ্দিন আহমদের খোঁজ না পাওয়ায় আর হরতাল না দেওয়ার চিন্তা থেকে আপাতত সরে আসেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে। সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের না করে উল্টো প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাস অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি চলছে। টানা এ কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে দলের ভেতরে কথাবার্তা ছিল। কিন্তু সালাহ উদ্দিন আহমদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দলে শক্ত প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের যতটা এগিয়ে আসা উচিত ছিল, তারা তা করেনি। আমরা তো পরাজয় মেনে নিতে পারি না।’
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো ২০-দলীয় জোটের বিবৃতিতেও এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদকে “গ্রেপ্তার” করে নিয়ে যাওয়ার পর সাত দিন অতিবাহিত হলেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া কিংবা আদালতে হাজির করা হয়নি। সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদারসহ দেশব্যাপী আরও অনেক নেতা-কর্মীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে সাজানো গল্প ফাঁদা হয়েছে এবং শীর্ষ পর্যায় থেকে উৎকট ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হয়েছে। এতে সালাহ উদ্দিনের পরিবারের এবং আমাদের উৎকণ্ঠা তীব্র হচ্ছে। তাঁর মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাকে উধাও করে ফেলার মতো ধৃষ্টতাকে কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
বিবৃতিতে ৭২ ঘণ্টার হরতালের পর আরও ৪৮ ঘণ্টা হরতাল বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়, ‘সরকারের সীমাহীন অপকর্ম ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সব পথ তারা রুদ্ধ করেছে। বিরোধী দলের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনার সুযোগ নেই। এসবের প্রকৃত চিত্র সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার সুযোগও সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশব্যাপী অবরোধের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা রাখা হয়নি।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে এসব কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। একই দাবিতে গত রোববার থেকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল দেওয়া হয়। আজ ভোর ছয়টায় তা শেষ হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, দেশ-বিদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে ছাড় দেওয়ার চিন্তা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে কয়েক দিনের জন্য হরতাল প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে ঢাকায় বড় আকারের একটি সমাবেশ করার চিন্তা করা হচ্ছিল। সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনিও বিএনপির চেয়ারপারসনকে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। কিন্তু সালাহ উদ্দিন আহমদের খোঁজ না পাওয়ায় আর হরতাল না দেওয়ার চিন্তা থেকে আপাতত সরে আসেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে। সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের না করে উল্টো প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাস অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি চলছে। টানা এ কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে দলের ভেতরে কথাবার্তা ছিল। কিন্তু সালাহ উদ্দিন আহমদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দলে শক্ত প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের যতটা এগিয়ে আসা উচিত ছিল, তারা তা করেনি। আমরা তো পরাজয় মেনে নিতে পারি না।’
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো ২০-দলীয় জোটের বিবৃতিতেও এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সালাহ উদ্দিন আহমদকে “গ্রেপ্তার” করে নিয়ে যাওয়ার পর সাত দিন অতিবাহিত হলেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া কিংবা আদালতে হাজির করা হয়নি। সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদারসহ দেশব্যাপী আরও অনেক নেতা-কর্মীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে সাজানো গল্প ফাঁদা হয়েছে এবং শীর্ষ পর্যায় থেকে উৎকট ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হয়েছে। এতে সালাহ উদ্দিনের পরিবারের এবং আমাদের উৎকণ্ঠা তীব্র হচ্ছে। তাঁর মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাকে উধাও করে ফেলার মতো ধৃষ্টতাকে কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
বিবৃতিতে ৭২ ঘণ্টার হরতালের পর আরও ৪৮ ঘণ্টা হরতাল বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়, ‘সরকারের সীমাহীন অপকর্ম ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সব পথ তারা রুদ্ধ করেছে। বিরোধী দলের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনার সুযোগ নেই। এসবের প্রকৃত চিত্র সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার সুযোগও সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশব্যাপী অবরোধের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা রাখা হয়নি।’
No comments