বিএনপিকে নির্মূল করা সম্ভব নয় -এমাজউদ্দীন আহমেদ
গণতন্ত্র
ও ভোটাধিকার রক্ষার এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য
করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদ। বলেছেন,
চলমান সঙ্কটের মূল হলো- গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন। বিনা ভোটে ১৫৪ জন এমপি
নির্বাচিত হয়েছেন। তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। তাদের যদি একটু
সম্মান ও সম্ভ্রম থাকতো তাহলে তারাই ভোটাধিকারের জন্য এই আন্দোলন করতো।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন (এ্যাটকো)-এর
সভাপতি আলহাজ মোসাদ্দেক আলী ফালুর মুক্তির দাবিতে ‘ফালু মুক্তি পরিষদ’
আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের সমালোচনা করে এমাজউদ্দীন
আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রধান দুটি দল হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাদের
বিস্তৃতি ৬৮ হাজার গ্রাম পর্যায়ে। এখন একটি দল আরেকটি দলকে নির্মূল করার
চেষ্ঠায় লিপ্ত। তারা একজন আরেকজনকে প্রতিপক্ষ নয়, শত্রু ভাবে। কিন্তু
আগামী ২০৫০ সাল পর্যন্ত এই দুটি দল প্রভাব বিস্তার করে যাবে। তাদের নির্মূল
করা যাবে না। তাই তাদের মধ্যে সহাবস্থান, সহমর্মিতা ও সমঝোতা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, আপনি চিন্তা করে দেখবেন-
বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দেশ। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে যদি একটু হৃদ্যতা
থাকতো এবং তারা যদি একসঙ্গে কাজ করতেন তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতো। অতীত
ভুলে আপনারা সামনের দিকে তাকান। গাড়ি পোড়ানোর দায়ে নিজের বিরুদ্ধে মামলা
দায়ের সমালোচনা করে বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, আমার ৮২ বছর বয়স
হয়েছে। আমি ঢিল ছুড়তে জানি না। কেউ কষ্ট পায় এমন শক্ত কথাও বলি না, কেউ
ব্যথিত হয় এমন লেখাও লেখি না। তারপরও আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা
হয়েছে। মোসাদ্দেক আলী ফালুর মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ফালু শুধু
গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকই নন, তিনি ছোট ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধদের জন্য প্রতিষ্ঠান
গড়েছেন। আশা করছি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। অবিলম্বে ফালুর বিরুদ্ধে
দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তি দেবে। আলোচনা সভায়
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর জিন্নাতুন নেসা তাহমিদা বেগম, বিএফইউজে
(একাংশ)-এর সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ড্যাব-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম
বাচ্চুসহ এনটিভির কলা-কুশলী ও শিল্পীরা বক্তব্য রাখেন।
No comments