নারীদের গতিরোধ করছে মৌলবাদীরা: সুলতানা কামাল
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। ছবিটি রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো |
আইন
ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেছেন, দেশের সব
পর্যায়ে অবদান রাখছেন নারীরা। কিন্তু ধর্মের নামে নারীদের গতিরোধ করছে
ধর্মান্ধ জঙ্গি ও মৌলবাদীরা। তাদের প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মকে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি ‘সহিংসতামুক্ত মানবিক রাজনীতি চাই, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণীর সকল পর্যায়ে নারী-পুরুষের সম-অংশীদারত্ব চাই’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করে। সুলতানা কামাল বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা প্রায় মুক্তিযুদ্ধের মতো হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা দেশের বিরোধিতা করেছিল, এখনও তারা সক্রিয় রয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা হলেই সমাজের উন্নয়নে পরিবর্তন আসবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের নারী ও শিশুরা অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। পেট্রলবোমা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না গর্ভবতী নারীরা। তাই এমন সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে অবিলম্বে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নারী, শিশুসহ মানুষ হত্যা বন্ধ, বর্তমান সংকট উত্তরণে সরকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
সুলতানা কামালের সভাপত্বিতে সমাবেশে নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি হাজেরা সুলতানা, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি পরিচালক শীপা হাফিজা, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী সদস্য উম্মে হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি ‘সহিংসতামুক্ত মানবিক রাজনীতি চাই, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণীর সকল পর্যায়ে নারী-পুরুষের সম-অংশীদারত্ব চাই’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করে। সুলতানা কামাল বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা প্রায় মুক্তিযুদ্ধের মতো হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা দেশের বিরোধিতা করেছিল, এখনও তারা সক্রিয় রয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা হলেই সমাজের উন্নয়নে পরিবর্তন আসবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের নারী ও শিশুরা অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। পেট্রলবোমা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না গর্ভবতী নারীরা। তাই এমন সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে অবিলম্বে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নারী, শিশুসহ মানুষ হত্যা বন্ধ, বর্তমান সংকট উত্তরণে সরকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
সুলতানা কামালের সভাপত্বিতে সমাবেশে নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি হাজেরা সুলতানা, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি পরিচালক শীপা হাফিজা, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী সদস্য উম্মে হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments