প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর পেরোতেই ককটেল
(রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে গতকাল ককটেল হামলার পর সন্দেহভাজন এক রিকশাচালককে মারধর করেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা l ছবি: প্রথম আলো) প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার গাড়িবহর গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার পার হওয়ার পরপরই
ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনায় জড়িত
সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া ওই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া দুটি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা তিনটার দিকে তাঁর গাড়িবহর কারওয়ান বাজার পাতাল সড়কের (আন্ডারপাস) প্রবেশমুখ পার হওয়ার দুই-তিন মিনিট পর সেখানে অন্তত চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার এএসআই মাহবুবুর রহমান আহত হন। পরে তাঁকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জনতা হারুন নামের এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ ঘটনার পর বিকেল পাঁচটার দিকে শাহবাগ থানা এলাকায় শিক্ষা ভবনের সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যাওয়া একটি মিছিলকে লক্ষ্য করে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মিছিলে থাকা লোকজন ধাওয়া করে তিনজনকে ধরে পিটুনি দেন। ককটেল বিস্ফোরণে আহত ১০ জন ও গণপিটুনিতে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিরা হলেন আবু তাহের, মাইনুল, নাজু, লিখন, আলফাজ উদ্দিন, আবদুল কুদ্দুস, সেলিম হোসেন ওরফে আনু, শাহ আলম, ওবায়দুল ও হায়দার আলী। তাঁদের কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, রামপুরা থেকে মিছিল নিয়ে তাঁরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
গণপিটুনির শিকার তিনজন হলেন নাজমুল হোসেন, রইস উদ্দিন ও আদর আলী। নাজমুল ঢাকা মেডিকেলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
রইস উদ্দিন নিজেকে রিকশাচালক দাবি করে বলেন, মালিবাগ থেকে রিকশা নিয়ে তিনি হাইকোর্টের সামনে গিয়েছিলেন। তিনি মালিবাগ মাটির মসজিদের সামনে থাকেন। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। আহত আদর আলীর দাবি, তিনি শাহবাগে একটি ফুলের দোকানে কাজ করেন। রাতে শিশুপার্ক প্রাঙ্গণে ঘুমান।
শিক্ষা ভবনের সামনে দায়িত্বরত শাহবাগ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনির শিকার তিনজন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মতিঝিলে যুবলীগের আরেকটি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসেদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে পিটুনি দেন মিছিলকারীরা। বাসেদুর সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি পল্টনের একটি মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তিনি ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত নন।
ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা মতিঝিল থানার এসআই মাসুম বিল্লাহ বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বাসেদুর জড়িত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। পুলিশি হেফাজতে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এ ছাড়া ওই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া দুটি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা তিনটার দিকে তাঁর গাড়িবহর কারওয়ান বাজার পাতাল সড়কের (আন্ডারপাস) প্রবেশমুখ পার হওয়ার দুই-তিন মিনিট পর সেখানে অন্তত চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার এএসআই মাহবুবুর রহমান আহত হন। পরে তাঁকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জনতা হারুন নামের এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ ঘটনার পর বিকেল পাঁচটার দিকে শাহবাগ থানা এলাকায় শিক্ষা ভবনের সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যাওয়া একটি মিছিলকে লক্ষ্য করে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মিছিলে থাকা লোকজন ধাওয়া করে তিনজনকে ধরে পিটুনি দেন। ককটেল বিস্ফোরণে আহত ১০ জন ও গণপিটুনিতে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিরা হলেন আবু তাহের, মাইনুল, নাজু, লিখন, আলফাজ উদ্দিন, আবদুল কুদ্দুস, সেলিম হোসেন ওরফে আনু, শাহ আলম, ওবায়দুল ও হায়দার আলী। তাঁদের কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, রামপুরা থেকে মিছিল নিয়ে তাঁরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
গণপিটুনির শিকার তিনজন হলেন নাজমুল হোসেন, রইস উদ্দিন ও আদর আলী। নাজমুল ঢাকা মেডিকেলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
রইস উদ্দিন নিজেকে রিকশাচালক দাবি করে বলেন, মালিবাগ থেকে রিকশা নিয়ে তিনি হাইকোর্টের সামনে গিয়েছিলেন। তিনি মালিবাগ মাটির মসজিদের সামনে থাকেন। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। আহত আদর আলীর দাবি, তিনি শাহবাগে একটি ফুলের দোকানে কাজ করেন। রাতে শিশুপার্ক প্রাঙ্গণে ঘুমান।
শিক্ষা ভবনের সামনে দায়িত্বরত শাহবাগ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনির শিকার তিনজন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মতিঝিলে যুবলীগের আরেকটি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসেদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে পিটুনি দেন মিছিলকারীরা। বাসেদুর সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি পল্টনের একটি মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তিনি ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত নন।
ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা মতিঝিল থানার এসআই মাসুম বিল্লাহ বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বাসেদুর জড়িত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। পুলিশি হেফাজতে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
No comments