ডাক্তার মশাইর ‘কসাইখানা’ by মহিউদ্দীন জুয়েল
চট্টগ্রাম
নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথায় অবস্থিত লাইসেন্সবিহীন ভিশন কমিউনিটি চক্ষু
হাসপাতাল। কয়েকটি পুরাতন ভবনের মাঝখানের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এটি
নির্মাণ করা হয়েছে। যার চারপাশেই রয়েছে রূপালী ব্যাংকের অফিস ও নানা
পণ্যসামগ্রীর দোকান।
মাত্র একটি ডক্টরস রুম ও একটি ড্রেসিং রুম দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। কিন্তু নীতিমালায় এভাবে হাসপাতাল নির্মাণের নিয়ম নেই। জরাজীর্ণ ভবনে ও রাস্তার পাশে হাসপাতাল নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও পুরানো একটি ভবনের নিচ তলায় ও সড়কের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে বহদ্দারহাট কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল নামের আরেকটি চিকিৎসা কেন্দ্র।
ভবনটির কয়েকটি কক্ষে থাকেন হাসপাতালটির দায়িত্বে থাকা এক ডাক্তারের পরিবারও। পাশের একটি কক্ষে চলে চক্ষু চিকিৎসা! হাসপাতালটির বাইরে লেখা আছে বহদ্দারহাট কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল। কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখা গেল বে-কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল (অলাভজনক দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল) নাম সংবলিত আরেকটি সাইনবোর্ড।
নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ী এলাকার চট্টগ্রাম আই কেয়ার হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে একটি দশতলা ভবনের নিচ তলায়, সড়কের পাশেই। মাত্র দুইটি কক্ষেই দেয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। যেখানে একই সঙ্গে রাখা হয়েছে একটি চশমার দোকানও।
এভাবে চট্টগ্রামে চলছে চক্ষু চিকিৎসার নামে ভয়াবহ প্রতারণা। কোন চেম্বার নয়, যেনো কসাইখানা। চিকিৎসার নামে চলছে এখানে ঠকবাজি। হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ছানিসহ চোখের জটিল অপারেশন করতে হলে চক্ষু হাসপাতালে থাকতে হবে অফতালমস্কো, রেটিনাস্কোপ, ফ্লিটলেম্প, গলিওস্কো, মাইক্রোস্কোপ, ফেকোসহ অত্যাধুনিক সব মেশিন। কিন্তু চট্টগ্রামের অর্ধডজন বেসরকারি চক্ষু হাসপাতাল ঘুরে দেখা মেলেনি এমন কোন সরঞ্জামাদির। অথচ যেকোন জটিল অপারেশন করে চোখের আলো ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে অলিতেগলিতে গড়ে ওঠা লাইসেন্সবিহীন অর্ধশত চক্ষু হাসপাতাল। রোগীর আস্থা অর্জন করতে এসব হাসপাতালে আবার ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বিদেশী ডিগ্রি নেয়া নামীদামি ডাক্তারদের নাম! চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চোখ হারানোর শঙ্কাই থাকে প্রবল।
সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বলেন, মহানগরীতে প্রায় অর্ধশত লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল আছে। কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই এরা চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। হাসপাতাল রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন করার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও কেউ যোগাযোগ করেনি। তাই লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের তালিকা করছি আমরা। এরপর অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনার বিষয়ে ১৯৮২ সালের ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস রেগুলেশন (অর্ডিনেন্স)’ নীতিমালাটি বিদ্যমান আছে। এই নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রাইভেট হাসপাতালের ক্ষেত্রে ১০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনার জন্য তিনজন এমবিবিএস ডাক্তার, ছয়জন ডিপ্লোমা নার্স, ছয়জন আয়া ও তিনজন সুইপার থাকতে হবে। তবে এমন নিয়ম থাকলেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালগুলোতে এর কিছুই মানা হচ্ছে না। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানান, চোখের ছানি, লেন্স কিংবা নরমাল অপারেশন কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। যার জন্য প্রয়োজন ইনডাইরেক্ট অফতালমস্কো, এ ও বি স্কেল, বায়োমেট্রিসহ অত্যাধুনিক মেশিন। তাছাড়া চোখ অপারেশনের আগে বেশকিছু নিয়মও মানতে হয়। অপারেশনের আগে কোন রোগীর চোখ থেকে পানি পড়ার সমস্যা থাকলে অপারেশনের আগে পানি বন্ধ করার চিকিৎসা করতে হবে।
পানি বন্ধ না করে অপারেশন করা হলে নানা সমস্যাসহ চোখ হারানোর সম্ভাবনাও থাকে। তবে যত্রতত্র গড়ে ওঠা লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালগুলোতে এসব নিয়মের কোনটিই মানা হচ্ছে না। চোখ স্পর্শকাতর অঙ্গ হওয়ায় এটিকেই ব্যবসার উপকরণ করে গড়ে উঠছে একের পর এক লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অধীর রঞ্জন দাশ বলেন, লাইসেন্সের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ আরো বেশ কয়েকটি দপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। কোন ভবনের নিচে ও সড়কের ২০ ফুট দূরত্বের মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণ করার নিয়ম নেই। লাইসেন্স না পাওয়ার আগে হাসপাতালের কার্যক্রমও শুরু করা যাবে না।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেট হাসপাতালের লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবেদন ফরমে হাসপাতালের নাম, ঠিকানা, মোট শয্যা সংখ্যা, মালিকের বিস্তারিত পরিচয়, ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি, সেবা প্রদানের তালিকা, যেসব অস্ত্রোপচার করা হবে তার বিবরণ, যন্ত্রপাতির বিবরণ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বিস্তারিত বিবরণ, সার্বক্ষণিক ডাক্তারদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে আবেদন করতে হয়। পরবর্তী কার্যক্রম মনিটরিংয়ে রাখবেন সিভিল সার্জন। কাগজে কলমে এমন প্রক্রিয়া থাকলেও বাস্তবের ঘটনা একেবারেই ভিন্ন। সরজমিন জানা যায়, সার্জন ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর বড়ুয়া, ডা. এমএস ইসলাম (এমবিবিএস, এমডি, পিএইচডি চক্ষু ও স্ট্রেইন অরবিস ইউএসএ), ডা. সঞ্জয় কুমার নাথ এবং ডা. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (এমডি মেডিসিন ও এক্স মেডিক্যাল অফিসার নাইকো) তারা পরিচালনা করছেন লাইসেন্সবিহীন বহদ্দারহাট কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতালটি।
ভিশন কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার আব্দুর রহমান, ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, এমবিবিএস পিজিটি (চক্ষু) ডা. নেওয়াজ রাশেদ এবং ডা. নাজমুন নাহার। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আই কেয়ার হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন ডা. মাহবুবুর রহমান ও ডা. শারমিন আক্তার নিপা নামের দুইজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। অনুসন্ধানে যেসব ভুয়া হাসপাতাল বেরিয়ে এসেছে সেগুলো হলো- আগ্রাবাদ এলাকার চিটাগাং আই হাসপাতাল, বহদ্দারহাট বড় পুকুর পশ্চিমপাড়ের বহদ্দারহাট চক্ষু হাসপাতাল, দুই নম্বর মাইল এলাকার ন্যাশনাল চক্ষু হাসপাতাল, আগ্রাবাদ কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল, পাঠানটুলী এলাকার এ্যাপোলো চক্ষু হাসপাতাল, কলেজ বাজার রোডের কর্ণফুলী চক্ষু হাসপাতাল, আগ্রাবাদের সিগমা চক্ষু হাসপাতাল, ইপিজেড এলাকার চট্টগ্রাম সিটি আই হাসপাতাল ও আগ্রাবাদ চৌমুহনীর ভিশন চক্ষু হাসপাতাল। সিভিল সার্জন অফিসের মহানগর এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতালের তালিকায় এসব হাসপাতালের নাম নেই।
মাত্র একটি ডক্টরস রুম ও একটি ড্রেসিং রুম দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। কিন্তু নীতিমালায় এভাবে হাসপাতাল নির্মাণের নিয়ম নেই। জরাজীর্ণ ভবনে ও রাস্তার পাশে হাসপাতাল নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও পুরানো একটি ভবনের নিচ তলায় ও সড়কের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে বহদ্দারহাট কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল নামের আরেকটি চিকিৎসা কেন্দ্র।
ভবনটির কয়েকটি কক্ষে থাকেন হাসপাতালটির দায়িত্বে থাকা এক ডাক্তারের পরিবারও। পাশের একটি কক্ষে চলে চক্ষু চিকিৎসা! হাসপাতালটির বাইরে লেখা আছে বহদ্দারহাট কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল। কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখা গেল বে-কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল (অলাভজনক দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল) নাম সংবলিত আরেকটি সাইনবোর্ড।
নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ী এলাকার চট্টগ্রাম আই কেয়ার হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে একটি দশতলা ভবনের নিচ তলায়, সড়কের পাশেই। মাত্র দুইটি কক্ষেই দেয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। যেখানে একই সঙ্গে রাখা হয়েছে একটি চশমার দোকানও।
এভাবে চট্টগ্রামে চলছে চক্ষু চিকিৎসার নামে ভয়াবহ প্রতারণা। কোন চেম্বার নয়, যেনো কসাইখানা। চিকিৎসার নামে চলছে এখানে ঠকবাজি। হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ছানিসহ চোখের জটিল অপারেশন করতে হলে চক্ষু হাসপাতালে থাকতে হবে অফতালমস্কো, রেটিনাস্কোপ, ফ্লিটলেম্প, গলিওস্কো, মাইক্রোস্কোপ, ফেকোসহ অত্যাধুনিক সব মেশিন। কিন্তু চট্টগ্রামের অর্ধডজন বেসরকারি চক্ষু হাসপাতাল ঘুরে দেখা মেলেনি এমন কোন সরঞ্জামাদির। অথচ যেকোন জটিল অপারেশন করে চোখের আলো ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে অলিতেগলিতে গড়ে ওঠা লাইসেন্সবিহীন অর্ধশত চক্ষু হাসপাতাল। রোগীর আস্থা অর্জন করতে এসব হাসপাতালে আবার ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বিদেশী ডিগ্রি নেয়া নামীদামি ডাক্তারদের নাম! চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চোখ হারানোর শঙ্কাই থাকে প্রবল।
সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বলেন, মহানগরীতে প্রায় অর্ধশত লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল আছে। কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই এরা চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। হাসপাতাল রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন করার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও কেউ যোগাযোগ করেনি। তাই লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের তালিকা করছি আমরা। এরপর অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনার বিষয়ে ১৯৮২ সালের ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস রেগুলেশন (অর্ডিনেন্স)’ নীতিমালাটি বিদ্যমান আছে। এই নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রাইভেট হাসপাতালের ক্ষেত্রে ১০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনার জন্য তিনজন এমবিবিএস ডাক্তার, ছয়জন ডিপ্লোমা নার্স, ছয়জন আয়া ও তিনজন সুইপার থাকতে হবে। তবে এমন নিয়ম থাকলেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালগুলোতে এর কিছুই মানা হচ্ছে না। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানান, চোখের ছানি, লেন্স কিংবা নরমাল অপারেশন কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। যার জন্য প্রয়োজন ইনডাইরেক্ট অফতালমস্কো, এ ও বি স্কেল, বায়োমেট্রিসহ অত্যাধুনিক মেশিন। তাছাড়া চোখ অপারেশনের আগে বেশকিছু নিয়মও মানতে হয়। অপারেশনের আগে কোন রোগীর চোখ থেকে পানি পড়ার সমস্যা থাকলে অপারেশনের আগে পানি বন্ধ করার চিকিৎসা করতে হবে।
পানি বন্ধ না করে অপারেশন করা হলে নানা সমস্যাসহ চোখ হারানোর সম্ভাবনাও থাকে। তবে যত্রতত্র গড়ে ওঠা লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালগুলোতে এসব নিয়মের কোনটিই মানা হচ্ছে না। চোখ স্পর্শকাতর অঙ্গ হওয়ায় এটিকেই ব্যবসার উপকরণ করে গড়ে উঠছে একের পর এক লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অধীর রঞ্জন দাশ বলেন, লাইসেন্সের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ আরো বেশ কয়েকটি দপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। কোন ভবনের নিচে ও সড়কের ২০ ফুট দূরত্বের মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণ করার নিয়ম নেই। লাইসেন্স না পাওয়ার আগে হাসপাতালের কার্যক্রমও শুরু করা যাবে না।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেট হাসপাতালের লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবেদন ফরমে হাসপাতালের নাম, ঠিকানা, মোট শয্যা সংখ্যা, মালিকের বিস্তারিত পরিচয়, ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি, সেবা প্রদানের তালিকা, যেসব অস্ত্রোপচার করা হবে তার বিবরণ, যন্ত্রপাতির বিবরণ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বিস্তারিত বিবরণ, সার্বক্ষণিক ডাক্তারদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে আবেদন করতে হয়। পরবর্তী কার্যক্রম মনিটরিংয়ে রাখবেন সিভিল সার্জন। কাগজে কলমে এমন প্রক্রিয়া থাকলেও বাস্তবের ঘটনা একেবারেই ভিন্ন। সরজমিন জানা যায়, সার্জন ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর বড়ুয়া, ডা. এমএস ইসলাম (এমবিবিএস, এমডি, পিএইচডি চক্ষু ও স্ট্রেইন অরবিস ইউএসএ), ডা. সঞ্জয় কুমার নাথ এবং ডা. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (এমডি মেডিসিন ও এক্স মেডিক্যাল অফিসার নাইকো) তারা পরিচালনা করছেন লাইসেন্সবিহীন বহদ্দারহাট কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতালটি।
ভিশন কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার আব্দুর রহমান, ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, এমবিবিএস পিজিটি (চক্ষু) ডা. নেওয়াজ রাশেদ এবং ডা. নাজমুন নাহার। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আই কেয়ার হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন ডা. মাহবুবুর রহমান ও ডা. শারমিন আক্তার নিপা নামের দুইজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। অনুসন্ধানে যেসব ভুয়া হাসপাতাল বেরিয়ে এসেছে সেগুলো হলো- আগ্রাবাদ এলাকার চিটাগাং আই হাসপাতাল, বহদ্দারহাট বড় পুকুর পশ্চিমপাড়ের বহদ্দারহাট চক্ষু হাসপাতাল, দুই নম্বর মাইল এলাকার ন্যাশনাল চক্ষু হাসপাতাল, আগ্রাবাদ কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল, পাঠানটুলী এলাকার এ্যাপোলো চক্ষু হাসপাতাল, কলেজ বাজার রোডের কর্ণফুলী চক্ষু হাসপাতাল, আগ্রাবাদের সিগমা চক্ষু হাসপাতাল, ইপিজেড এলাকার চট্টগ্রাম সিটি আই হাসপাতাল ও আগ্রাবাদ চৌমুহনীর ভিশন চক্ষু হাসপাতাল। সিভিল সার্জন অফিসের মহানগর এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতালের তালিকায় এসব হাসপাতালের নাম নেই।
No comments