কারাগারগুলোতে মানবিক বিপর্যয়- রাস না টানলে ভয়ঙ্কর পরিণতি
সারা
দেশে বিরোধী জোটের সাথে সংশ্লিষ্টদের অব্যাহত গ্রেফতারে দেশের
কারাগারগুলোতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে শুরু করেছে। দেশের প্রায় সব জেলেই
রাজনৈতিক বন্দীতে এমনভাবে ভরে ফেলা হয়েছে যে, সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক
গুণ বেশি বন্দী ঠেসে রাখা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেশের চোর-ডাকাত ও দাগি
আসামিদের ছেড়ে দিয়ে সেখানে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দিয়ে তা পূরণ করা হচ্ছে।
প্রতিদিনই নতুন নতুন বন্দী যোগ করা হচ্ছে। যাকে তাকে ধরে গাড়ি ভাঙচুরের
মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর ঠুনকো অভিযোগ এনে আটক ব্যক্তিদেরও জামিন
দেয়া হচ্ছে না আদালত থেকে। অনেক জেলে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, বন্দীরা রাতে
বা দিনে ঘুমোনোর কোনো জায়গাও পাচ্ছেন না। বাথরুমে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না
এক সেলে বহু গুণ বেশি বন্দী রাখার কারণে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দুঃসহ
পরিস্থিতির কারণে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর ও ভুক্তভোগী পরিবারের
বক্তব্য থেকে এমন বিপর্যয়কর চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।
বন্দীদের প্রতি কী ধরনের আচরণ করতে হবে, তাদের কী কী ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর সরকার এর কোনো ধার ধারছে না। কোনো কোনো দিন হাজার হাজার লোককে শুধু বিরোধী রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা, গাড়ি ভাঙচুরসহ নানা ধরনের মামলায় যুক্ত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কেউ কোনো ঘটনার সাথে আদৌ জড়িত কি না তা দেখার প্রয়োজন অনুভব করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকারি দলের কাছ থেকে বিরোধী জোটের সাথে যুক্তদের নাম নিয়ে রাত-বিরাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের। এ ধরনের অভিযানের মুুখে দেশের অনেক জেলায় লাখ লাখ মানুষ বাসাবাড়িতে যেতে বা ঘুমোতে পারছেন না। ব্যবসায়-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেকে। সরকারের এই দমন-পীড়ন লাইসেন্সের সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু পুলিশ। এরা ইচ্ছামতো যখন তখন যাকে তাকে আটক করে গ্রেফতারবাণিজ্য চালাচ্ছে। যাদের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছে তাদের ছেড়ে দিচ্ছে। যারা টাকা দিতে পারছে না তাদের চালান দিচ্ছে জেলে। এতে দেশে কত পরিবার যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মুখে পড়েছে তার কোনো হিসাব নেই। অন্য দিকে যারা গ্রেফতার হয়ে থানা হাজতে থাকছেন বা জেলে যাচ্ছেন তাদের দুর্দশারও কোনো সীমা থাকছে না। দেশের কোনো আইনেই এ অবস্থা সৃষ্টির সুযোগ সরকারকে দেয়া হয়নি।
আমরা মনে করি, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের স্বার্থে বাংলাদেশের কারাগারগুলোর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। প্রয়োজনে এ জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া যেতে পারে। সরকার যদি অব্যাহতভাবে রাজনৈতিক কারণে কারাগারের ভেতরের অসহায় মানুষের ওপর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে রাখে, তাহলে আন্তর্জাতিক তদন্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই। শাসকদেরও মনে রাখা উচিত, আজ বিরোধী রাজনীতিকদের যে পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে সেই একই ধরনের অবস্থায় তাদেরও পড়তে হতে পারে। আইনের সব বিধান পালন ও মানবাধিকার বজায় রাখা এ ক্ষেত্রে সবার জন্য সুরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে।
বন্দীদের প্রতি কী ধরনের আচরণ করতে হবে, তাদের কী কী ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর সরকার এর কোনো ধার ধারছে না। কোনো কোনো দিন হাজার হাজার লোককে শুধু বিরোধী রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা, গাড়ি ভাঙচুরসহ নানা ধরনের মামলায় যুক্ত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কেউ কোনো ঘটনার সাথে আদৌ জড়িত কি না তা দেখার প্রয়োজন অনুভব করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকারি দলের কাছ থেকে বিরোধী জোটের সাথে যুক্তদের নাম নিয়ে রাত-বিরাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের। এ ধরনের অভিযানের মুুখে দেশের অনেক জেলায় লাখ লাখ মানুষ বাসাবাড়িতে যেতে বা ঘুমোতে পারছেন না। ব্যবসায়-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেকে। সরকারের এই দমন-পীড়ন লাইসেন্সের সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু পুলিশ। এরা ইচ্ছামতো যখন তখন যাকে তাকে আটক করে গ্রেফতারবাণিজ্য চালাচ্ছে। যাদের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছে তাদের ছেড়ে দিচ্ছে। যারা টাকা দিতে পারছে না তাদের চালান দিচ্ছে জেলে। এতে দেশে কত পরিবার যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মুখে পড়েছে তার কোনো হিসাব নেই। অন্য দিকে যারা গ্রেফতার হয়ে থানা হাজতে থাকছেন বা জেলে যাচ্ছেন তাদের দুর্দশারও কোনো সীমা থাকছে না। দেশের কোনো আইনেই এ অবস্থা সৃষ্টির সুযোগ সরকারকে দেয়া হয়নি।
আমরা মনে করি, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের স্বার্থে বাংলাদেশের কারাগারগুলোর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। প্রয়োজনে এ জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া যেতে পারে। সরকার যদি অব্যাহতভাবে রাজনৈতিক কারণে কারাগারের ভেতরের অসহায় মানুষের ওপর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে রাখে, তাহলে আন্তর্জাতিক তদন্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই। শাসকদেরও মনে রাখা উচিত, আজ বিরোধী রাজনীতিকদের যে পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে সেই একই ধরনের অবস্থায় তাদেরও পড়তে হতে পারে। আইনের সব বিধান পালন ও মানবাধিকার বজায় রাখা এ ক্ষেত্রে সবার জন্য সুরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে।
No comments