বাচ্চা হাতিটিকে বাঁচানোর লড়াই by আবদুল কুদ্দুস
টেকনাফের নাফ নদী থেকে উদ্ধার হওয়া বাচ্চা হাতিটিকে সুস্থ করে তুলতে খাওয়ানো হচ্ছে দিনে ২০ লিটার দুধ l প্রথম আলো |
বিজিবির
টহল দল দেখে পাচারকারীরা নদীতে ছুড়ে ফেলেছিল বাচ্চা হাতিটিকে। লোনা পানি
খেয়ে এবং অভুক্ত থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল প্রাণীটি। তবে ছয় মাস বয়সী শাবকটি
বনকর্মীদের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যা পাচ্ছে এখন। দৈনিক ২০ লিটার দুধ
খেয়ে সুস্থও হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে।
টেকনাফ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা বাচ্চা হাতিটির নতুন আবাস কক্সবাজারের চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ২ মার্চ বিকেলে নাফ নদীতে পাচারকারী চক্রের কাছ থেকে হাতিটিকে উদ্ধার করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। ওই দিন গভীর রাতে বনকর্মীরা এটিকে টেকনাফ থেকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে আসেন। তবে উদ্ধার হওয়া হাতিটি সম্পর্কে দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে বন বিভাগ ও বিজিবির কাছ থেকে। বন বিভাগের দাবি, হাতিটিকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফে পাচার করা হচ্ছিল। অপর দিকে, বিজিবি দাবি করেছে, টেকনাফ থেকে মিয়ানমারে পাচারের সময় হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়।
৬ মার্চ চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা গেছে, দুধ খেয়ে ও পরিচর্যা পেয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে হাতিটি। প্রতিদিন অন্তত ২০ লিটার দুধ দিতে হচ্ছে খাবার হিসেবে।
কী করে উদ্ধার করা হলো হাতিটিকে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, নৌকাযোগে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারে হাতি পাচার করা হচ্ছে—এমন খবরের ভিত্তিতে বিজিবির টহল দল নাফ নদীতে নামে। তাদের দেখে পাচারকারীরা নৌকা থেকে বাচ্চা হাতিটি নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে এটি উদ্ধার করে টেকনাফ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি, বাচ্চা হাতিটিকে মিয়ানমার থেকে পাচার করে টেকনাফে আনা হচ্ছিল। এ বিষয়ে কক্সবাজার (দক্ষিণ) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবদুল আওয়াল সরকার বলেন, বাচ্চা হাতিটি মিয়ানমার থেকে টেকনাফ পাচার হচ্ছিল । ওই দিন রাত ১১টায় হাতিটি টেকনাফ থেকে গাড়িতে করে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম দাবি করেন, টেকনাফ থেকে হাতির বাচ্চা পাচারের কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা খবর দিলে বিজিবির সদস্যরা সমুদ্র উপকূল থেকে হাতিটি উদ্ধার করেন। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমান, সার্কাসে ব্যবহারের জন্য সম্ভবত এই বাচ্চা হাতিটি আনা হচ্ছিল। বাচ্চা হাতি আটকের ঘটনা এই অঞ্চলে এটাই প্রথম বলে জানান তাঁরা।
টেকনাফ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা বাচ্চা হাতিটির নতুন আবাস কক্সবাজারের চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ২ মার্চ বিকেলে নাফ নদীতে পাচারকারী চক্রের কাছ থেকে হাতিটিকে উদ্ধার করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। ওই দিন গভীর রাতে বনকর্মীরা এটিকে টেকনাফ থেকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে আসেন। তবে উদ্ধার হওয়া হাতিটি সম্পর্কে দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে বন বিভাগ ও বিজিবির কাছ থেকে। বন বিভাগের দাবি, হাতিটিকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফে পাচার করা হচ্ছিল। অপর দিকে, বিজিবি দাবি করেছে, টেকনাফ থেকে মিয়ানমারে পাচারের সময় হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়।
৬ মার্চ চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা গেছে, দুধ খেয়ে ও পরিচর্যা পেয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে হাতিটি। প্রতিদিন অন্তত ২০ লিটার দুধ দিতে হচ্ছে খাবার হিসেবে।
কী করে উদ্ধার করা হলো হাতিটিকে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, নৌকাযোগে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারে হাতি পাচার করা হচ্ছে—এমন খবরের ভিত্তিতে বিজিবির টহল দল নাফ নদীতে নামে। তাদের দেখে পাচারকারীরা নৌকা থেকে বাচ্চা হাতিটি নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে এটি উদ্ধার করে টেকনাফ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি, বাচ্চা হাতিটিকে মিয়ানমার থেকে পাচার করে টেকনাফে আনা হচ্ছিল। এ বিষয়ে কক্সবাজার (দক্ষিণ) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবদুল আওয়াল সরকার বলেন, বাচ্চা হাতিটি মিয়ানমার থেকে টেকনাফ পাচার হচ্ছিল । ওই দিন রাত ১১টায় হাতিটি টেকনাফ থেকে গাড়িতে করে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম দাবি করেন, টেকনাফ থেকে হাতির বাচ্চা পাচারের কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা খবর দিলে বিজিবির সদস্যরা সমুদ্র উপকূল থেকে হাতিটি উদ্ধার করেন। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমান, সার্কাসে ব্যবহারের জন্য সম্ভবত এই বাচ্চা হাতিটি আনা হচ্ছিল। বাচ্চা হাতি আটকের ঘটনা এই অঞ্চলে এটাই প্রথম বলে জানান তাঁরা।
No comments