এফবিআই যেন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পায়, আলোচনা না করেই চলে গেলেন এফবিআই সদস্যরা
ব্লগার
ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার তদন্তে এফবিআইকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ
দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তার পিতা অজয় রায়। তিনি বলেছেন, আমি চাই এ হত্যা
রহস্য উদঘাটনে এফবিআই যেন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পায়। গতকাল নিজ বাসায়
তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। ওদিকে, অভিজিৎ রায়ের হত্যার ১০ দিন পেরিয়ে
গেলেও কিলারদের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি গোয়েন্দা পুলিশ। উগ্রপন্থি একাধিক
জঙ্গি সংগঠনকে সন্দেহে রেখে তদন্ত কাজ করলেও তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা
কর্মকর্তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি ঠিক কারা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে
জড়িত। তবে ফেসবুকে যেসব নামে উগ্রপন্থি দলের সদস্যরা অভিজিৎকে আগে থেকেই
হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল তাদের একটি তালিকা করেছে গোয়েন্দারা। প্রযুক্তির
সহায়তায় এসব হুমকিদাতার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তিগত
সহায়তা নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব
ইনভেস্টিগেশন-এফবিআইয়ের কাছ থেকে। গতকাল এফবিআই সদস্যরা অভিজিতের পিতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অজয় রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঢাকা
মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের
ঘটনাটি ডিবি তদন্ত করছে। অভিজিতের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় ও ঘটনার গুরুত্ব
বিবেচনা করে তদন্তে সহায়তা করছে এফবিআই। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের
প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এফবিআই আমাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে।
বিশেষ করে সোশাল মিডিয়া অভিজিৎকে বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকি দেয়া তথ্যের
রেকর্ডও শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত
জোরেশোরে চলছে। ডিবির তদন্তের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উগ্রপন্থি একাধিক দলকে সন্দেহে রেখে অনুসন্ধান চলছে। বিশেষ করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকেই সন্দেহের তালিকায় প্রথমে রাখা হয়েছে। আনসারুল্লাহ প্রধান জসিমউদ্দিন রাহমানী জেলে যাওয়ার পর সংগঠনটি পরিচালনা করে আসছিল ইজাজ ও রানা নামে দুই যুবক। তাদের অবস্থান শনাক্তে ও গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রযুক্তিগত বিষয় খতিয়ে তারা জানতে পেরেছে অভিজিৎকে বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকি দেয়া লোকজনের অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন। এছাড়া বাংলাদেশেও অবস্থানকারী অনেকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এসব হুমকিদাতার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। সূত্র জানায়, এরই মধ্যে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেয়া আলোচিত তরুণ ফারাবীকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তার কাছ থেকে হুমকির বাইরে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে তদন্তসংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, তারা বইমেলা থেকে যে ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছেন তাতে অভিজিতের অবস্থানই এখনও শনাক্ত করতে পারেননি। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অভিজিৎকে আসলে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিজিতের অন্য ছবির মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ থেকে অভিজিৎকে শনাক্তের চেষ্টা করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। একাজে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা করছে এফবিআই সদস্যরা। বইমেলার ফুটেজে অভিজিৎকে পাওয়া গেলে তার সঙ্গে অনুসরণকারী সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্টরা। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) হাসান আরাফাত জানান, অনেক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে তদন্ত চলছে। তদন্তে সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল অভিজিৎ হত্যার তদন্তে সহযোগিতার জন্য আসা এফবিআই প্রতিনিধি দল অভিজিতের পিতা অজয় রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে যান। এ সময় তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও এফবিআই সদস্যরা অজয় রায়ের কাছ থেকে অভিজিৎ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে চান। অজয় রায় তাদের অভিজিতের জীবনযাপন ও হুমকি-ধমকির বিস্তারিত তথ্য তাদের কাছে তুলে ধরেন। দুপুরে বাসায় ফিরে অজয় রায় সাংবাদিকদের বলেন, মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে আমাকে যেতে বলেছিল। তারা আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমি তাদের অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন অপরাধীদের খুঁজে বের করা হয়। তিনি জানান, জঙ্গি ও মৌলবাদীরা অভিজিৎকে হত্যা করেছে বলে তাদের ধারণা। ৩-৪ বছর পর অভিজিৎ দেশে এসেছিল। কারও হুমকির কারণে সে ভীত বা আতঙ্কিত ছিল না। বরং পরিবারের সদস্যরাই তাকে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। অজয় রায় বলেন, আমার ধারণা ছিল, কেউ তাকে মারধর বা ধমক দিতে পারে। কিন্তু একেবারে মেরে ফেলবে এটা ভাবিনি। তিনি হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য আসা এফবিআই প্রতিনিধি দলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানান।
মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উগ্রপন্থি একাধিক দলকে সন্দেহে রেখে অনুসন্ধান চলছে। বিশেষ করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকেই সন্দেহের তালিকায় প্রথমে রাখা হয়েছে। আনসারুল্লাহ প্রধান জসিমউদ্দিন রাহমানী জেলে যাওয়ার পর সংগঠনটি পরিচালনা করে আসছিল ইজাজ ও রানা নামে দুই যুবক। তাদের অবস্থান শনাক্তে ও গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রযুক্তিগত বিষয় খতিয়ে তারা জানতে পেরেছে অভিজিৎকে বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকি দেয়া লোকজনের অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন। এছাড়া বাংলাদেশেও অবস্থানকারী অনেকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এসব হুমকিদাতার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। সূত্র জানায়, এরই মধ্যে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেয়া আলোচিত তরুণ ফারাবীকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তার কাছ থেকে হুমকির বাইরে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে তদন্তসংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, তারা বইমেলা থেকে যে ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছেন তাতে অভিজিতের অবস্থানই এখনও শনাক্ত করতে পারেননি। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অভিজিৎকে আসলে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিজিতের অন্য ছবির মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ থেকে অভিজিৎকে শনাক্তের চেষ্টা করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। একাজে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা করছে এফবিআই সদস্যরা। বইমেলার ফুটেজে অভিজিৎকে পাওয়া গেলে তার সঙ্গে অনুসরণকারী সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্টরা। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) হাসান আরাফাত জানান, অনেক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে তদন্ত চলছে। তদন্তে সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল অভিজিৎ হত্যার তদন্তে সহযোগিতার জন্য আসা এফবিআই প্রতিনিধি দল অভিজিতের পিতা অজয় রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে যান। এ সময় তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও এফবিআই সদস্যরা অজয় রায়ের কাছ থেকে অভিজিৎ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে চান। অজয় রায় তাদের অভিজিতের জীবনযাপন ও হুমকি-ধমকির বিস্তারিত তথ্য তাদের কাছে তুলে ধরেন। দুপুরে বাসায় ফিরে অজয় রায় সাংবাদিকদের বলেন, মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে আমাকে যেতে বলেছিল। তারা আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমি তাদের অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন অপরাধীদের খুঁজে বের করা হয়। তিনি জানান, জঙ্গি ও মৌলবাদীরা অভিজিৎকে হত্যা করেছে বলে তাদের ধারণা। ৩-৪ বছর পর অভিজিৎ দেশে এসেছিল। কারও হুমকির কারণে সে ভীত বা আতঙ্কিত ছিল না। বরং পরিবারের সদস্যরাই তাকে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। অজয় রায় বলেন, আমার ধারণা ছিল, কেউ তাকে মারধর বা ধমক দিতে পারে। কিন্তু একেবারে মেরে ফেলবে এটা ভাবিনি। তিনি হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য আসা এফবিআই প্রতিনিধি দলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানান।
আলোচনা না করেই চলে গেলেন এফবিআই সদস্যরা
ব্লগার
ও লেখক অভিজিৎ হত্যার তদন্ত নিয়ে আলোচনা না করেই মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)
পুলিশ কার্যালয় থেকে ফিরে গেলেন এফবিআই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। রোববার বেলা
১১টা ৩৮ মিনিটে এফবিআই প্রতিনিধিদলের চার সদস্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রবেশ
করেন। ১৪ মিনিট অবস্থানের পর ১১টা ৫২ মিনিটে বেরিয়ে যান তারা। আজ অভিজিৎ
হত্যাকান্ড নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম,
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণের ডিসি কৃষ্ণপদ রায়সহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে
তাদের বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনা না করেই তারা কেন বেরিয়ে গেলেন তা
জানা যায়নি।
No comments