রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে হবে -বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রস্তাব
(রাজধানীর বনানীতে গতকাল গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘গণতান্ত্রিকতার পুনর্বিবেচনা: ফলাফলের জন্য ঐকমত্য’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য দেন আকবর আলি খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান (ডান থেকে তৃতীয়), রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহানসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা l ছবি: প্রথম আলো) প্রতি
পাঁচ বছর পর পর নির্বাচনের আগে ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে দেশে যে সংঘাতের
সৃষ্টি হচ্ছে, তার একটি স্থায়ী সমাধান দরকার। আর তা করতে হলে রাষ্ট্রপতি ও
প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে। রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা
বাড়াতে হবে এবং জনগণের সরাসরি ভোটে তাঁকে নির্বাচিত করতে হবে। জাতীয়
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গণভোটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে এ প্রস্তাব করেছেন। গতকাল শনিবার নীতি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এবং আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যাসোসিয়েশন (আইপিএসএ) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিকতার পুনর্বিবেচনা: ফলাফলের জন্য ঐকমত্য’ শীর্ষক এক কর্মশালায় নাগরিকেরা এসব কথা বলেন।
নাগরিকদের কয়েকজন দেশের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করেন। যাতে কোনো ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে দলকে ভোট দিয়ে পরে ভোটের অনুপাত অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্ব রাখা যায়। সংসদের দুই স্তরে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয়—দুই সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করার প্রস্তাবও করা হয়।
রাজধানীর বনানীতে সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, বর্তমানে ২০-দলীয় জোটের যে হরতাল চলছে, তা নিকৃষ্ট সন্ত্রাস। রাজনৈতিক দলগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে তারা আর সাধারণ মানুষকে তাদের কর্মসূচিতে জড়ো করতে পারছে না। উল্টো সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রলবোমা মেরে কর্মসূচি পালন করছে।
দেশের আমলাতন্ত্র এমনভাবে দলীয়করণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, কোনোভাবেই সেই ক্ষতি পোষানো কঠিন হয়ে যাবে। এ মন্তব্য করে রেহমান সোবহান বলেন, সাংসদেরা তাঁদের নির্বাচনী এলাকাকে জমিদারি হিসেবে দেখেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও অগণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এমনভাবে দানা বেঁধেছে যে তারা এ থেকে আর বের হতে পারছে না। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এর পরও আমি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।’
সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে হবে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশের মধ্যেও ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নির্বাচন হলেই সমস্যার সমাধান হবে না—এ মন্তব্য করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, দেশের আমলাতন্ত্র ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ—এই দুই দলে ভাগ হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচন কমিশন যত ভালোই হোক না কেন, কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ না হলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তুললে বর্তমান সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদে সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আকবর আলি খান মনে করেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা একজন সেকশন অফিসারের চেয়েও কম। কেননা, এই কর্মকর্তারা সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত করে মত দিতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির দ্বিমত করার সুযোগ নেই। হরতালের বিকল্প হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোটের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করে সবকিছু পরিবর্তন করা কঠিন। তবে সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভাগাভাগি করা যেতে পারে। কেননা, এর আগে আমরা দেখেছি, সরকারপ্রধানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি অল্প একটু দ্বিমত করায় তাঁকে রেললাইন দিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো রওনক জাহান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থা ও গণভোটের সমালোচনা করে বলেন, এই ব্যবস্থার কিছু প্রায়োগিক সমস্যা রয়েছে। আইনের বদল, নতুন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবস্থা চালু করা যায়। কিন্তু তার প্রয়োগ সব সময় করা যায় না। কেননা, নীতি ও বাস্তবতার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়ে যায়।
রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে করা নিজের একটি সাম্প্রতিক গবেষণার উদাহরণ টেনে রওনক জাহান বলেন, ওই গবেষণায় দেখা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র নেই। দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো সাংসদ সংসদে দাঁড়িয়ে দ্বিমত করেন না, যদি পরেরবার মনোনয়ন না পান! তাই সবার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রায়ণ বেশি জরুরি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সিপিডির ট্রাস্টি এম সাইদুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও আইপিএসএর সভাপতি জিল্লুর রহমান খান বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাত ও সংকট মোকাবিলায় দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে দুই স্তরের সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের জন্য কোয়ালিশন সরকারব্যবস্থা চালু করারও সুপারিশ করেন তিনি।
কর্মশালা শেষে জিল্লুর রহমান খানের লেখা বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্ব ও স্বাধীনতা সংগ্রাম বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। সঞ্চালনা করেন ইউনিসেফের সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।
দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে এ প্রস্তাব করেছেন। গতকাল শনিবার নীতি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এবং আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যাসোসিয়েশন (আইপিএসএ) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিকতার পুনর্বিবেচনা: ফলাফলের জন্য ঐকমত্য’ শীর্ষক এক কর্মশালায় নাগরিকেরা এসব কথা বলেন।
নাগরিকদের কয়েকজন দেশের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করেন। যাতে কোনো ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে দলকে ভোট দিয়ে পরে ভোটের অনুপাত অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্ব রাখা যায়। সংসদের দুই স্তরে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয়—দুই সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করার প্রস্তাবও করা হয়।
রাজধানীর বনানীতে সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, বর্তমানে ২০-দলীয় জোটের যে হরতাল চলছে, তা নিকৃষ্ট সন্ত্রাস। রাজনৈতিক দলগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে তারা আর সাধারণ মানুষকে তাদের কর্মসূচিতে জড়ো করতে পারছে না। উল্টো সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রলবোমা মেরে কর্মসূচি পালন করছে।
দেশের আমলাতন্ত্র এমনভাবে দলীয়করণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, কোনোভাবেই সেই ক্ষতি পোষানো কঠিন হয়ে যাবে। এ মন্তব্য করে রেহমান সোবহান বলেন, সাংসদেরা তাঁদের নির্বাচনী এলাকাকে জমিদারি হিসেবে দেখেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও অগণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এমনভাবে দানা বেঁধেছে যে তারা এ থেকে আর বের হতে পারছে না। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এর পরও আমি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।’
সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে হবে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশের মধ্যেও ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নির্বাচন হলেই সমস্যার সমাধান হবে না—এ মন্তব্য করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, দেশের আমলাতন্ত্র ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ—এই দুই দলে ভাগ হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচন কমিশন যত ভালোই হোক না কেন, কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ না হলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তুললে বর্তমান সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদে সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আকবর আলি খান মনে করেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা একজন সেকশন অফিসারের চেয়েও কম। কেননা, এই কর্মকর্তারা সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত করে মত দিতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির দ্বিমত করার সুযোগ নেই। হরতালের বিকল্প হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোটের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করে সবকিছু পরিবর্তন করা কঠিন। তবে সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভাগাভাগি করা যেতে পারে। কেননা, এর আগে আমরা দেখেছি, সরকারপ্রধানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি অল্প একটু দ্বিমত করায় তাঁকে রেললাইন দিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো রওনক জাহান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থা ও গণভোটের সমালোচনা করে বলেন, এই ব্যবস্থার কিছু প্রায়োগিক সমস্যা রয়েছে। আইনের বদল, নতুন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবস্থা চালু করা যায়। কিন্তু তার প্রয়োগ সব সময় করা যায় না। কেননা, নীতি ও বাস্তবতার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়ে যায়।
রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে করা নিজের একটি সাম্প্রতিক গবেষণার উদাহরণ টেনে রওনক জাহান বলেন, ওই গবেষণায় দেখা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র নেই। দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো সাংসদ সংসদে দাঁড়িয়ে দ্বিমত করেন না, যদি পরেরবার মনোনয়ন না পান! তাই সবার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রায়ণ বেশি জরুরি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সিপিডির ট্রাস্টি এম সাইদুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও আইপিএসএর সভাপতি জিল্লুর রহমান খান বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাত ও সংকট মোকাবিলায় দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে দুই স্তরের সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের জন্য কোয়ালিশন সরকারব্যবস্থা চালু করারও সুপারিশ করেন তিনি।
কর্মশালা শেষে জিল্লুর রহমান খানের লেখা বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্ব ও স্বাধীনতা সংগ্রাম বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। সঞ্চালনা করেন ইউনিসেফের সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।
No comments