অবরোধে বিপর্যস্ত চিংড়ি শিল্প শ্রমিকদের মানবেতর জীবন by জিয়াউল হক মিজান
টানা
অবরোধ এবং হরতালের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত চিংড়ি শিল্পে
বিপর্যয় নেমে এসেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় নতুন অর্ডার তো আসছেই না, বরং
সময়মতো সরবরাহ করতে না পারায় বাতিল হচ্ছে একের পর এক শিপমেন্ট। হাতে আর
কোনো কাজ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট,
যশোর, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলার লাখ লাখ চিংড়িশ্রমিক। আর বাধ্য হয়ে ১২০০
থেকে ১৪০০ টাকার বাগদা ও গলদা চিংড়ি কৃষকেরা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে
দিচ্ছেন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তায় এ খাতের
উদ্যোক্তাদের প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান
সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে মোট ৯০টি চিংড়ি প্রক্রিয়াকারক ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে আছে ৫৬টি। বাকিগুলো কক্সবাজার এলাকায়। এ শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছেন ১০ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী এবং লাখ লাখ চিংড়িচাষি ও শ্রমিকের জীবন-জীবিকা। দেশী-বিদেশী নানা সমস্যায় জর্জরিত এমনিতেই অনেক চিংড়ি প্রক্রিয়াকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকা অর্ধশত প্রতিষ্ঠানেরও হরতাল-অবরোধের কারণে এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অবিলম্বে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ লোক মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হবেন বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত হিমায়িত চিংড়ি। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, কক্সবাজার প্রভৃতি জেলায় সবচেয়ে বেশি চিংড়ি চাষ হয়। এ দেশের ‘সাদা সোনা’ খ্যাত বাগদা ও গলদা চিংড়ি জাপান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, বেলজিয়াম, তাইওয়ান, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, চীন, ইতালি, মরিশাস, ইউএই, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস, ডেমোনিকান রিপাবলিকসহ পৃথিবীর দেশে দেশে রফতানি হচ্ছে এ চিংড়ি। রাজনৈতিক অস্থিরতা তথা হরতাল ও অবরোধের কারণে চাষিরা ফ্রিজার গাড়িতে চিংড়ি পরিবহন করতে পারছেন না। এতে অনেক সময় পথেই চিংড়িতে পচন ধরছে। ফলে চাষি ও রফতানিকারকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রূপসা চিংড়ি বণিক সমিতির কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের সমিতির সদস্যসংখ্যা চার শ’ জনের মতো। হরতাল-অবরোধের কারণে আমরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছি। যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আয়-রোজগার না থাকলেও ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। সারা বছর যে শ্রমিকেরা আমাদের সাথে কাজ করেছেন, এখন কাজ না থাকলেও বাধ্য হয়ে তাদেরকে খাইয়ে-পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই এখন পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন। সামনে সুদিন এলেও ব্যবসায় চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে হিমায়িত গাড়ি ছাড়া যাচ্ছে না। ফলে চিংড়ি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে যারা মাছ পাঠানোর চেষ্টা করছেন, সেগুলো রাস্তাতেই পচে যাচ্ছে। ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকার চিংড়ি বাধ্য হয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যায় ভুগছে দেশের চিংড়ি খাত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বিদেশে চরম ভাবমূর্তি সঙ্কটে ভুগছে দেশের সম্ভাবনাময় রফতানি খাত। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিনদিন কমে যাচ্ছে উৎপাদন। তালিকাভুক্ত ৯০টির মধ্যে যে ৪২টি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে সেগুলোর বার্ষিক চাহিদা সাড়ে তিন লাখ টনের মতো। অথচ দেশে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৭০ হাজার টনের মতো চিংড়ি। ফলে কারখানাগুলোর উৎপাদনক্ষমতার প্রায় সবটুকুই থেকে যাচ্ছে অব্যবহৃত। অথচ ব্যাংকঋণের ওপর সুদ, শ্রমিকদের মজুরি, অবকাঠামো ও প্রশাসনিক ব্যয়সহ সব খরচই চালু আছে আগের মতো। এ কারণে কারখানাগুলোর আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রতিবেশী ভারতে বর্তমানে প্রতি হেক্টরে চিংড়ি উৎপাদন হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ কেজি। থাইল্যান্ডে ১৫০০ থেকে ২০০০ কেজি এবং ভিয়েতনামে ২৫০০ থেকে ৩০০০ কেজি। অথচ বাংলাদেশে উৎপাদন হয় হেক্টরপ্রতি গড়ে মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি চিংড়ি। বাংলাদেশে চিংড়ি উৎপাদন এত কম হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানান, আমাদের দেশের অনেক চাষি এখনো সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করছেন। ব্যাংকঋণ না পাওয়া এবং ঋণ পেলেও সময়মতো না পাওয়ায় ল্যমাত্রা অনুযায়ী চিংড়ি চাষ হচ্ছে না। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও এলাকাভিত্তিক অপপ্রচারেও চিংড়ি চাষ হ্রাস পাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে এই শিল্পে।
ভাবমূর্তি সঙ্কটই এ শিল্পের প্রধান সমস্যা দাবি করে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, কিছু অসৎ ও লোভী কারখানার মালিক, ডিপো মালিক ও মাছ সরবরাহকারী এ জন্য দায়ী। তারা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে বিশ্ববাজারে দেশের সুনাম ুণœ করছে। এর ফলে রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, এই শিল্প থেকে সরকার বছরে চার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও অতি লোভী এসব ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেয়ার জন্য কঠোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অতি লোভের কারণেই সম্ভাবনাময় চিংড়ি শিল্প দিনদিন পিছিয়ে পড়ছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আগের বছর সেরা রফতানিকারক হিসেবে জার্মান সরকার যে বাংলাদেশী রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণপদক দিয়েছিল, পরের বছর একই কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে একই সরকার। এটি অজ্ঞতা বা অশিক্ষার ফসল নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কোম্পানি নিশ্চয়ই অভাবের তাড়নায় পরের বছর থেকে চিংড়িতে পেরেক ঢোকাতে শুরু করেনি। এ রকম অতিলোভী ব্যবসায়ীদের দমন করতে না পারলে চিংড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে মোট ৯০টি চিংড়ি প্রক্রিয়াকারক ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে আছে ৫৬টি। বাকিগুলো কক্সবাজার এলাকায়। এ শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছেন ১০ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী এবং লাখ লাখ চিংড়িচাষি ও শ্রমিকের জীবন-জীবিকা। দেশী-বিদেশী নানা সমস্যায় জর্জরিত এমনিতেই অনেক চিংড়ি প্রক্রিয়াকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকা অর্ধশত প্রতিষ্ঠানেরও হরতাল-অবরোধের কারণে এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অবিলম্বে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ লোক মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হবেন বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত হিমায়িত চিংড়ি। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, কক্সবাজার প্রভৃতি জেলায় সবচেয়ে বেশি চিংড়ি চাষ হয়। এ দেশের ‘সাদা সোনা’ খ্যাত বাগদা ও গলদা চিংড়ি জাপান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, বেলজিয়াম, তাইওয়ান, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, চীন, ইতালি, মরিশাস, ইউএই, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস, ডেমোনিকান রিপাবলিকসহ পৃথিবীর দেশে দেশে রফতানি হচ্ছে এ চিংড়ি। রাজনৈতিক অস্থিরতা তথা হরতাল ও অবরোধের কারণে চাষিরা ফ্রিজার গাড়িতে চিংড়ি পরিবহন করতে পারছেন না। এতে অনেক সময় পথেই চিংড়িতে পচন ধরছে। ফলে চাষি ও রফতানিকারকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রূপসা চিংড়ি বণিক সমিতির কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের সমিতির সদস্যসংখ্যা চার শ’ জনের মতো। হরতাল-অবরোধের কারণে আমরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছি। যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আয়-রোজগার না থাকলেও ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। সারা বছর যে শ্রমিকেরা আমাদের সাথে কাজ করেছেন, এখন কাজ না থাকলেও বাধ্য হয়ে তাদেরকে খাইয়ে-পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই এখন পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন। সামনে সুদিন এলেও ব্যবসায় চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে হিমায়িত গাড়ি ছাড়া যাচ্ছে না। ফলে চিংড়ি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে যারা মাছ পাঠানোর চেষ্টা করছেন, সেগুলো রাস্তাতেই পচে যাচ্ছে। ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকার চিংড়ি বাধ্য হয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যায় ভুগছে দেশের চিংড়ি খাত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বিদেশে চরম ভাবমূর্তি সঙ্কটে ভুগছে দেশের সম্ভাবনাময় রফতানি খাত। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিনদিন কমে যাচ্ছে উৎপাদন। তালিকাভুক্ত ৯০টির মধ্যে যে ৪২টি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে সেগুলোর বার্ষিক চাহিদা সাড়ে তিন লাখ টনের মতো। অথচ দেশে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৭০ হাজার টনের মতো চিংড়ি। ফলে কারখানাগুলোর উৎপাদনক্ষমতার প্রায় সবটুকুই থেকে যাচ্ছে অব্যবহৃত। অথচ ব্যাংকঋণের ওপর সুদ, শ্রমিকদের মজুরি, অবকাঠামো ও প্রশাসনিক ব্যয়সহ সব খরচই চালু আছে আগের মতো। এ কারণে কারখানাগুলোর আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রতিবেশী ভারতে বর্তমানে প্রতি হেক্টরে চিংড়ি উৎপাদন হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ কেজি। থাইল্যান্ডে ১৫০০ থেকে ২০০০ কেজি এবং ভিয়েতনামে ২৫০০ থেকে ৩০০০ কেজি। অথচ বাংলাদেশে উৎপাদন হয় হেক্টরপ্রতি গড়ে মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি চিংড়ি। বাংলাদেশে চিংড়ি উৎপাদন এত কম হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানান, আমাদের দেশের অনেক চাষি এখনো সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করছেন। ব্যাংকঋণ না পাওয়া এবং ঋণ পেলেও সময়মতো না পাওয়ায় ল্যমাত্রা অনুযায়ী চিংড়ি চাষ হচ্ছে না। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও এলাকাভিত্তিক অপপ্রচারেও চিংড়ি চাষ হ্রাস পাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে এই শিল্পে।
ভাবমূর্তি সঙ্কটই এ শিল্পের প্রধান সমস্যা দাবি করে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, কিছু অসৎ ও লোভী কারখানার মালিক, ডিপো মালিক ও মাছ সরবরাহকারী এ জন্য দায়ী। তারা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে বিশ্ববাজারে দেশের সুনাম ুণœ করছে। এর ফলে রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, এই শিল্প থেকে সরকার বছরে চার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও অতি লোভী এসব ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেয়ার জন্য কঠোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অতি লোভের কারণেই সম্ভাবনাময় চিংড়ি শিল্প দিনদিন পিছিয়ে পড়ছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আগের বছর সেরা রফতানিকারক হিসেবে জার্মান সরকার যে বাংলাদেশী রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণপদক দিয়েছিল, পরের বছর একই কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে একই সরকার। এটি অজ্ঞতা বা অশিক্ষার ফসল নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কোম্পানি নিশ্চয়ই অভাবের তাড়নায় পরের বছর থেকে চিংড়িতে পেরেক ঢোকাতে শুরু করেনি। এ রকম অতিলোভী ব্যবসায়ীদের দমন করতে না পারলে চিংড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
No comments