চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার by তাসনীম হাসান
গত রোববার ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে নাসিম সিয়াম (বাঁয়ে), গত বছর ২৪ আগস্ট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মিছিলে কোমরে পিস্তলসহ আলাউদ্দিন l ফাইল ছবি |
চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে গুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই
নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে নাসিম সিয়ামকে গত
রোববার সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়। অপরজন এস এম
আলাউদ্দিন গত বছরের ২৪ আগস্ট কোমরে পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিলে অংশ
নিয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টায় নাসিম সিয়ামকে শাহ আমানত হলের সামনে থেকে এবং আলাউদ্দিনকে উত্তর ক্যাম্পাসে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিলুপ্ত কমিটির মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন দেড় বছর আগে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। নাসিম লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। দুজনই ছাত্রলীগের সিএফসি (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের হয়ে রাজনীতি করছেন।
হাটহাজারী থানার তদন্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা দুজন ওই দিন শিক্ষকদের ধাওয়া করার সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ধারালো অস্ত্র হাতে নাসিম সিয়ামের ছবিও প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে।
কোমরে পিস্তলসহ আলাউদ্দিনের ছবি গত বছরের ২৫ আগস্ট প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ছাত্রলীগের ‘ভিএক্স’ (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) এবং ‘সিএফসি’ ও ‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’ পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিএক্স পক্ষের নেতা ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয় আলাউদ্দিনকে।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকেই বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত ছবিতে সিয়ামের সঙ্গে আরও একজনকে ধারালো অস্ত্রসহ দেখা গেছে। তাঁর পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরটি বিভাগের (শিক্ষা, গবেষণা ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) শিক্ষার্থী নিয়াজ উদ্দিন। গত বছরের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের ভিএক্স পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশের হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক মঞ্জুর আহমদ বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলার অন্যতম আসামি নিয়াজ উদ্দিন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের মধ্যে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে, আর অন্যজন নাসিম সিয়ামকে রোববারের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা গেছে।
সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে সিয়ামের সঙ্গে দেখা যাওয়া নিয়াজের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, তাঁকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। পাশাপাশি আজীবন কেন বহিষ্কার করা হবে না—এই মর্মে নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি এখনো তার জবাব দেননি।
পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টায় নাসিম সিয়ামকে শাহ আমানত হলের সামনে থেকে এবং আলাউদ্দিনকে উত্তর ক্যাম্পাসে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিলুপ্ত কমিটির মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন দেড় বছর আগে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। নাসিম লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। দুজনই ছাত্রলীগের সিএফসি (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের হয়ে রাজনীতি করছেন।
হাটহাজারী থানার তদন্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা দুজন ওই দিন শিক্ষকদের ধাওয়া করার সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ধারালো অস্ত্র হাতে নাসিম সিয়ামের ছবিও প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে।
কোমরে পিস্তলসহ আলাউদ্দিনের ছবি গত বছরের ২৫ আগস্ট প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ছাত্রলীগের ‘ভিএক্স’ (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) এবং ‘সিএফসি’ ও ‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’ পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিএক্স পক্ষের নেতা ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয় আলাউদ্দিনকে।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকেই বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত ছবিতে সিয়ামের সঙ্গে আরও একজনকে ধারালো অস্ত্রসহ দেখা গেছে। তাঁর পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরটি বিভাগের (শিক্ষা, গবেষণা ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) শিক্ষার্থী নিয়াজ উদ্দিন। গত বছরের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের ভিএক্স পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশের হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক মঞ্জুর আহমদ বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলার অন্যতম আসামি নিয়াজ উদ্দিন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের মধ্যে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে, আর অন্যজন নাসিম সিয়ামকে রোববারের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা গেছে।
সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে সিয়ামের সঙ্গে দেখা যাওয়া নিয়াজের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, তাঁকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। পাশাপাশি আজীবন কেন বহিষ্কার করা হবে না—এই মর্মে নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি এখনো তার জবাব দেননি।
No comments