‘জঙ্গিবাদ’ আরোপ : ক্ষমতা স্থায়ীকরণে নয়া কৌশল by ড. আবদুল লতিফ মাসুম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত ৯/১১-এর মর্মান্তিক ঘটনাবলি সমসাময়িক পৃথিবীর গতানুগতিক রাজনীতিকে ওলটপালট করে দেয়। ¯œায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী কাক্সিক্ষত যুদ্ধহীন শান্তিময় পৃথিবী, যুদ্ধ আর অশান্তিতে ভরে ওঠে। যুদ্ধের ব্যাকরণে সংযোজিত হয়, ‘অপ্রথাগত যুদ্ধ’ (Non-conventional war) বা ‘রাষ্ট্রবহির্ভূত যুদ্ধ’ (War beyond state)-এর মতো শব্দাবলি। সভ্যতার দ্বন্দ্ব তত্ত্বের পটভূমিতে গোটা ইসলামি দুনিয়া হয়ে দাঁড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শত্রু। এ প্রক্রিয়ার একপর্যায়ে পেন্টাগনের সূত্র মতে বাংলাদেশ হয়ে দাঁড়ায় ‘আগামীর আফগানিস্তান’। ঘটনাবলির বিস্তৃতি না ঘটিয়ে এককথায় বলা যায় ৯/১১-এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ঘটে ১/১১-এর নাটকীয় অধ্যায়। পূর্বসিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্য ইকোনোমিস্ট-এর তথ্য মোতাবেক বস্তা বস্তা টাকা আর একটি ‘প্যাকেজ ডিল’-এর আওতায় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ।
জঙ্গিবাদের জিকির তুলে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হলেও বিগত ছয় বছরে তাদের দেখা মেলেনি। এখন যখন একটি অবৈধ নির্বাচন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন প্রান্তিক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে তখন শাসককুলে আবার জঙ্গিবাদের জিকির উঠেছে। উদ্দেশ্য পুরনো ইস্যু পুনরুজ্জীবিত করে যারা ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করেছিল তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
এখন সারা পৃথিবীতে যেখানেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে সেখানেই শাসকগোষ্ঠী জঙ্গিবাদ তথা সন্ত্রাসবাদের প্রেতাত্মা আবিষ্কার করছে। উদাহরণ হিসেবে সিরিয়ায় যখন বাসার আল আসাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন সূচিত হয় তখন তিনি পাশ্চাত্যের সমর্থন পাওয়ার জন্য ওই আন্দোলনকে বিন লাদেনের সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা বলে অভিহিত করেছিলেন। গাদ্দাফি পাশ্চাত্যকে তুষ্ট করার জন্য শেষের দিকে ভোল পাল্টিয়ে বলেছিলেন, মৌলবাদীদের কুকুরের মতো হত্যা করা উচিত। সাম্প্রতিক জ্বলন্ত উদাহরণ মিসর। সামরিক বাহিনী যখন নির্বাচিত আল ইখওয়ান সরকারকে উৎখাত করে তখন তারা সন্ত্রাসবাদের যুক্তিই উপস্থাপন করে। এভাবে নতুন করে পুরনো জুজুর ভয় দেখিয়ে গদি নিরাপদ করতে চাইছে সরকার।
বিগত ছয় বছরের সরকারের নির্মমতার দীর্ঘ আলোচনায় না গিয়ে সরাসরি চলমান আন্দোলনে আসি। সূচিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রাজনীতির মাধ্যমে মোকাবেলা না করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরের মতো তিনটি রণকৌশল গ্রহণ করে। প্রথমত শক্তি প্রয়োগ, দ্বিতীয়ত অনৈতিক-অমানবিক পথ গ্রহণ এবং তৃতীয়ত আন্তর্জাতিক মহলে প্রতারণা-প্রচারণার আশ্রয় গ্রহণ।
সরকারি শক্তি প্রয়োগের সবচেয়ে বেআইনি উদাহরণ হচ্ছে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ। ইতোমধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ১৮ জন। (প্রথম আলো, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সম্ভাবনাময় নেতৃত্বকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে সরকার। রাজনৈতিক কর্মীদের বা আন্দোলনকারীদের ধরে নিয়ে গুলি করছে সরকার। নিত্যদিন হত্যা, গুম এবং নির্মম নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। সরকারি দল এবং তার অঙ্গসংগঠন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিরোধী নেতাদের হত্যা জখম নির্যাতন করছে। গত এক মাসে এ ধরনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৮৫। (প্রথম আলো, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতা জেলে অথবা অজ্ঞাত বাস করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ রহমান খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার পরপরই গুলিবিদ্ধ হন। আরেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু একই কারণে গ্রেফতার হন। সারা দেশে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিদিন গণমাধ্যমে গ্রেফতারির খবর আসছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মামলায় লাখ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। জেলখানাগুলোতে ধারণক্ষমতার তিনগুণ লোক রয়েছে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়, সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ কারা প্রদর্শন করছে, সরকার না বিরোধী দল? গত এক মাসে সংঘটিত নির্মম নিষ্ঠুরতাকে কি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলা যায় না?
সরকারের দ্বিতীয় রণকৌশল হচ্ছে অনৈতিক-অমানবিক ও বেআইনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আহূত সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে বরং ওই দিন জনসাধারণ যাতে আসতে না পারে সে জন্য সরকার পুরনো স্টাইলে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ বন্ধ করে দেয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তখন তাকে গেটে আটকে দেয়া হয়। তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইট-বালুর ট্রাক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। এভাবে ২০ দিন অবরুদ্ধ থাকেন তিনি। একপর্যায়ে তার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তার কার্যালয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়।
সরকারের তৃতীয় রণকৌশল হচ্ছে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে বিরূপ প্রচার। আমরা সবাই জানি যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটি ভোটারবিহীন অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বৈধতার সঙ্কটের সম্মুখীন হয়। প্রবল আন্তর্জাতিক চাপকে অগ্রাহ্য করলেও চলমান অবরোধ আন্দোলনের ফলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা আবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ অবস্থা উত্তরণের জন্য ক্ষমতাসীনেরা চলমান বৈধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে জঙ্গি কার্যক্রম বলে চালিয়ে দেয়ার রণকৌশল নিয়েছে। পাশ্চাত্য কর্তৃক মডারেট বলে অভিহিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ অপরাধী ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সরকারি খাতায় জঙ্গি খেতাব পাকাপোক্ত করেছে। এখন সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ‘জঙ্গি’ বলে প্রমাণিত করতে পারলে তাদের ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি দলের রণকৌশলে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গত ছয় বছরে যখনই বিরোধী জোট যেকোনো সমস্যাভিত্তিক বা নীতিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে তখনই তারা বলেছে এটি হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর একটি কৌশল। এখন অতি সাম্প্রতিক পেট্রল বোমাকে সম্বল করে বিগত ৪০ বছরের ঐতিহ্যবাহী একটি নিয়মতান্ত্রিক শক্তিকে সহসাই জঙ্গিবাদে বিশেষিত করতে চাইছে বর্তমান সরকার।
১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শয়ে শয়ে মানুষ হত্যা করা এটা কোন ধরনের রাজনীতি? এটা জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’। আওয়ামী লীগের বিগত কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিএনপিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস-এর সাথে তুলনা করা হয়। সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই’। ওই বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ সংবাদ ব্রিফিংয়ের একপর্যায়ে বলেন, এটা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম গত সপ্তাহে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিবাদ সভায় বলেন, ‘বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন। অন্যান্য দেশের জঙ্গি সংগঠনের মতো তাদেরও বিচার করতে হবে’। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামও ১৪ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে একই কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ ১৫ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন যে, বিএনপির আন্দোলনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, এ আন্দোলনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে যে, কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তান দূতাবাসের এক অকূটনৈতিক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং নানাবিধ অপকর্মের অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে সহায়তার অভিযোগ কোনো পক্ষ থেকেই উত্থাপিত হয়নি। এখন জনাব তোফায়েল ওই কর্মচারীর দেশত্যাগের ঘটনা উল্লেখ করে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার কথা বলছেন। গত সপ্তাহ থেকে লক্ষ করা যায় যে, অবরোধ আন্দোলনকে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র তথা জঙ্গি আন্দোলন হিসেবে প্রমাণ করার প্রয়াসে সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা বারবার একই কথা বলে যাচ্ছেন। এর উদ্দেশ্য হতে পারে আন্দোলনের মূল লক্ষ্য অর্থাৎ নতুন নির্বাচনের দাবিকে ধামাচাপা দেয়া, জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত পাশ্চাত্যকে প্রতারণা করা। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘসহ পাশ্চাত্যের প্রকাশ্য ভূমিকা রয়েছে। বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তিকে জঙ্গিবাদী তথা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী প্রমাণ করতে পারলে বিদেশী চাপ অনেকটা হ্রাস পাবে। উল্লেখ্য যে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি কূটনৈতিক সহানুভূতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ইমেজ উদ্ধারের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়। চলমান আন্দোলনকে সন্ত্রাসী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে প্রচারণা চালানোর জন্য বিদেশী মিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তথ্যাভিজ্ঞ সূত্রে জানা গেছে।
প্রধান বিরোধী জোটের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে জঙ্গি এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে তুলনা করেই ক্ষমতাসীনেরা ক্ষান্ত হয়নি বরং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগের চিন্তা করছে সরকার। একটি জনপ্রিয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয় বছর আগে জামিন অযোগ্য কম সময়ে বিচার এবং মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রেখে প্রণয়ন করা সন্ত্রাসবিরোধী আইন এখন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে চায় সরকার। এর লক্ষ্য চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। সন্ত্রাসীদের মনে ভীতি সৃষ্টি করা। সরকারি বিশ্লেষণে আরো বলা হয়, আইনটি খুবই শক্ত এবং এ আইনে দায়ের করা মামলা জামিন অযোগ্য। উল্লেখ্য যে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগের কথা বলেছিলেন। আইনটি প্রয়োগে প্রতিটি জেলায় একটি করে ট্রাইব্যুনাল গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকার উদ্দেশ্যমূলক চলমান আন্দোলনকে বিপথগামী করছে। আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো অস্পষ্টতা থাকার কথা নয়। এক বছর আগে যে বিতর্কিত নির্বাচনটি হয়েছিল সরকারি ভাষ্য মোতাবেকই তা ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। সুতরাং একটি নিয়মতান্ত্রিক এবং সবার অংশগ্রহণে আশু নির্বাচন জনগণের দাবি। গত এক বছরেও এ দাবি পূরণ হয়নি। সুতরাং বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে সূচিত হয়েছে আন্দোলন। যেকোনো আন্দোলন তা প্রথম বিশ্বে অথবা তৃতীয় বিশ্বে যদি স্বাভাবিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় মোকাবেলা করা না হয় তাহলে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে তা আরো প্রবল। অবশ্য কেউ-ই আন্দোলনে সহিংসতা নির্মমতা আশা করে না। তাই সরকারের উচিত আন্দোলনের মূল দাবি উপলব্ধি করা। চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে পাশ্চাত্যের যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যে ব্যক্ত হয়েছে তাতে মনে হয়েছে তাদের উপলব্ধিতেও ভিন্নতা এসেছে। গণতন্ত্র ও সুশাসনের লক্ষ্যে একদা তারা যে সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় তাদের মোহমুক্তি ঘটার কথা। অবশেষে একটি প্রবাদ দিয়ে শেষ করি: আপনি কিছু সময়ের জন্য সব মানুষকে বোকা বানাতে পারেন, কিন্তু আপনি সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারেন না। (Alexander k Mc Clure: 1904: 312)
লেখক : প্রফেসর সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
mal55ju@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.