আনোয়ারা–বাঁশখালী–চকরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক- দুই পাশে হাজারো অবৈধ স্থাপনা by আব্দুল কুদ্দুস ও এস এম হানিফ
(কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার হািজ বাজারে এবিসি মহাসড়কের জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট l প্রথম আলো) চট্টগ্রামের
এবিসি (আনোয়ারা-বাঁশখালী-চকরিয়া) আঞ্চলিক মহাসড়কের পেকুয়া অংশের দুই
পাশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে হাজারো দোকানপাট। জমি বেদখল হয়ে গেলেও
উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সওজ বিভাগের
কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্র জানায়, ১৫৮ কিলোমিটারের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের ওপর যানবাহনের চাপ কমানো এবং দূরত্ব কমিয়ে আনতে এবিসি মহাসড়ক
প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০০২ সালে ১১৩ কিলোমিটারের এ প্রকল্পের কাজ শুরু
হয়। চকরিয়া থেকে কক্সবাজারের খুরুশকুল পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটারের এবিসি সড়ক
সম্প্রসারণ সম্ভব হলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে প্রায় ৪৫
কিলোমিটার। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া
পর্যন্ত ৭৬ কিলোমিটারের রাস্তা ইতিমধ্যে নির্মাণ হয়েছে। এর মধ্যে
কক্সবাজারের পেকুয়া ও চকরিয়া অংশে পড়েছে ১৮ কিলোমিটার।
১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মহাসড়ক পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পেকুয়ার ১০ কিলোমিটারের দুই পাশে ছয়টি হাটবাজারসহ গড়ে উঠেছে কাঁচা-পাকা অন্তত এক হাজার দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও বহুতল ভবন। ফলে মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
হাজি বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই সড়কে যানবাহন তেমন চলে না। তাই দোকান খুলে ব্যবসা করছি। সরকার যখন বলবে, দোকান সরিয়ে নেব।’
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, সওজ বিভাগ এবিসি মহাসড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ করলেও কোনো সীমানা খুঁটি দেয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, সওজের কয়েকজন কর্মচারী এ জমিতে স্থাপনা তৈরির সুযোগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক বিভাগের সার্ভেয়ার (জরিপকারী) কর্মচারী এসে মাসে মাসে টাকা নিয়ে যান।
সওজের সার্ভেয়ার অনুপম শর্মা বলেন, জেলা শহর থেকে পেকুয়া ১২০ কিলোমিটার দূরে। তাই সরকারি এই জমি বেদখল হয়ে গেলেও ঠিকমতো তদারকি সম্ভব হচ্ছে না। গত পাঁচ বছরে তিনি চারবার সড়কটি পরিদর্শনে গিয়েছেন। তবে তিনি অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সওজ বিভাগ সূত্র আরও জানায়, ২০০২-০৩ অর্থবছরে সরকার মহাসড়কের জন্য টৈটং বাজার থেকে ইদমনি স্টেশন পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গা অধিগ্রহণ করে। এর মধ্যে সড়কের জন্য ১৮ ফুট প্রস্থ ও সড়কের দুই পাশে ৬২ ফুট করে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। আবার সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য নেওয়া হয় ১২০ ফুট জমি। ওই সময় ২৭৫ জন জমির মালিককে প্রায় ছয় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
সরেজমিন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কের পাশের জায়গা দখল করে টৈটং বাজারে ১৩০টি, হাজি বাজারে ৯০টি, ধনিয়াকাটা স্টেশনে ১১৭টি, পেকুয়া চৌমুহনী স্টেশনে ১৬৭টি, নন্দীর পাড়া স্টেশন ৫০টি দোকান ঘর ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে আরও ৫০টি দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
টৈটং বাজারে মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে ১৩টি দোকান নির্মাণ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান। হাসান বলেন, ১১ বছর আগে নিজের জায়গায় তিনি ১৩টি দোকান তৈরি করেন। সড়ক বিভাগের লোকজন ২০০৩ সালে অধিগ্রহণের নামে এই জমি কেড়ে নেয়। তিনি ক্ষতিপূরণও পাননি বলে দাবি করেন।
সওজ বিভাগ, চকরিয়ার উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহিদুল আলম জানান, ২০০২-০৩ সালে সওজ ছয় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই জমি হুকুম দখল করেছিল। কিন্তু তদারকির অভাবে বেশ কিছু জমি বেদখলে চলে গেছে। ২০১১ সালে ৫০-৬০ জন দখলদারকে উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের জুন মাসে বন্যার পানিতে কাগজপত্র নষ্ট হলে ওই উচ্ছেদ কার্যক্রম থেমে যায়।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সওজ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, সম্প্রতি তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। শিগগিরই তিনি এবিসি সড়ক পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মহাসড়ক পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পেকুয়ার ১০ কিলোমিটারের দুই পাশে ছয়টি হাটবাজারসহ গড়ে উঠেছে কাঁচা-পাকা অন্তত এক হাজার দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও বহুতল ভবন। ফলে মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
হাজি বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই সড়কে যানবাহন তেমন চলে না। তাই দোকান খুলে ব্যবসা করছি। সরকার যখন বলবে, দোকান সরিয়ে নেব।’
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, সওজ বিভাগ এবিসি মহাসড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ করলেও কোনো সীমানা খুঁটি দেয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, সওজের কয়েকজন কর্মচারী এ জমিতে স্থাপনা তৈরির সুযোগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক বিভাগের সার্ভেয়ার (জরিপকারী) কর্মচারী এসে মাসে মাসে টাকা নিয়ে যান।
সওজের সার্ভেয়ার অনুপম শর্মা বলেন, জেলা শহর থেকে পেকুয়া ১২০ কিলোমিটার দূরে। তাই সরকারি এই জমি বেদখল হয়ে গেলেও ঠিকমতো তদারকি সম্ভব হচ্ছে না। গত পাঁচ বছরে তিনি চারবার সড়কটি পরিদর্শনে গিয়েছেন। তবে তিনি অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সওজ বিভাগ সূত্র আরও জানায়, ২০০২-০৩ অর্থবছরে সরকার মহাসড়কের জন্য টৈটং বাজার থেকে ইদমনি স্টেশন পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গা অধিগ্রহণ করে। এর মধ্যে সড়কের জন্য ১৮ ফুট প্রস্থ ও সড়কের দুই পাশে ৬২ ফুট করে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। আবার সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য নেওয়া হয় ১২০ ফুট জমি। ওই সময় ২৭৫ জন জমির মালিককে প্রায় ছয় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
সরেজমিন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কের পাশের জায়গা দখল করে টৈটং বাজারে ১৩০টি, হাজি বাজারে ৯০টি, ধনিয়াকাটা স্টেশনে ১১৭টি, পেকুয়া চৌমুহনী স্টেশনে ১৬৭টি, নন্দীর পাড়া স্টেশন ৫০টি দোকান ঘর ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে আরও ৫০টি দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
টৈটং বাজারে মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে ১৩টি দোকান নির্মাণ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান। হাসান বলেন, ১১ বছর আগে নিজের জায়গায় তিনি ১৩টি দোকান তৈরি করেন। সড়ক বিভাগের লোকজন ২০০৩ সালে অধিগ্রহণের নামে এই জমি কেড়ে নেয়। তিনি ক্ষতিপূরণও পাননি বলে দাবি করেন।
সওজ বিভাগ, চকরিয়ার উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহিদুল আলম জানান, ২০০২-০৩ সালে সওজ ছয় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই জমি হুকুম দখল করেছিল। কিন্তু তদারকির অভাবে বেশ কিছু জমি বেদখলে চলে গেছে। ২০১১ সালে ৫০-৬০ জন দখলদারকে উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের জুন মাসে বন্যার পানিতে কাগজপত্র নষ্ট হলে ওই উচ্ছেদ কার্যক্রম থেমে যায়।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সওজ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, সম্প্রতি তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। শিগগিরই তিনি এবিসি সড়ক পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন।
No comments