আরডিএর বিপণিবিতান বরাদ্দের আগেই বেদখল
(আরডিএর নির্মাণাধীন ডি–ব্লক সুপার মার্কেটটি বরাদ্দের আগেই বেদখল হয়ে গেছে) রাজশাহী
আন্তজেলা বাস টার্মিনালে নির্মাণাধীন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ)
‘ডি ব্লক সুপার মার্কেট’টি বরাদ্দ দেওয়ার আগেই বেদখল হয়ে গেছে। কোনো
কোনো দখলদার এক বছরের বেশি সময় ধরে এই বিপণিবিতানে অবৈধভাবে ব্যবসা
করছেন। তাঁদের কাছ থেকে আরডিএ কোনো ভাড়া পাচ্ছে না।
আরডিএ সূত্রে জানা গেছে, নগরের নওদাপাড়া এলাকায় আন্তজেলা বাস টার্মিনালের উত্তর দিকে বিপণিবিতানটি নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের শেষ দিকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী মার্কেটের দৈর্ঘ্য হবে ৩৫০ ফুট। প্রতিটি দোকানঘর চওড়ায় হবে ১৫ ফুট, সঙ্গে ৫ ফুট বারান্দা থাকবে। বিপণিবিতানটি প্রথমে চার তলাবিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত ছিল। পরে তা পরিবর্তন করে দোতলা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, ঠিকাদার তাঁর নিজের টাকায় বিপণিবিতানটি নির্মাণ করবেন। এরপর তিনি ক্রেতার নামের তালিকাসহ নির্মিত দোকান কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করবেন। তখন কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার মনোনীত ক্রেতাদের নামে দোকানের বরাদ্দপত্র ইস্যু করবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর ক্রেতা সেই দোকানে ব্যবসা শুরু করবেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বে-পশ্চিমে দীর্ঘ ডি ব্লক সুপার মার্কেটটি এখনো নির্মাণ শেষ হয়নি। ওপরের দিকে লোহার রডগুলো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। কাজ শেষ না হওয়ায় কিছু দোকান ব্যবহারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ দোকান দখল হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা দোকানের দখল নিতে নিজে থেকে শাটার লাগিয়েছেন। দোকানে বিদ্যুৎ-সংযোগও নিয়েছেন। অথচ বরাদ্দ না পেলে সেই দোকানে বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ার কথা নয়।
একসঙ্গে পাঁচটি দোকানের দখল নিয়েছেন মাসুদ রানা নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি চারটি দোকান মিলিয়ে একটি খাবার হোটেল করেছেন। নাম দিয়েছেন তৃপ্তি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। কীভাবে দোকান পেয়েছেন—জানতে চাইলে মাসুদ রানা বলেন, তিনি নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকার তৃপ্তি হোটেলের মূল মালিক মাহাবুবের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন। দোকানপ্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে ভাড়া দেন। এক বছর ধরে তিনি এভাবে ব্যবসা করছেন।
মার্কেটের একটি দোকানে প্রসাধনসামগ্রীর ব্যবসা করছেন শামীম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। দোকান বরাদ্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নগরে মাস্টারপাড়া এলাকার নূরে আলমের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে তিনি ব্যবসা করছেন। বরাদ্দ পেয়েছেন কি না, তা নূরে আলমই বলতে পারবেন। বিপণিবিতানের দুই পাশে আরডিএর পক্ষ থেকে দুটি বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়েছে। তাতে লেখা: ‘নির্মাণাধীন ডি ব্লক সুপার মার্কেটটি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মার্কেট দখল ও ব্যবসা পরিচালনা করা সম্পূর্ণরূপে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’। ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি দোকানের কোনো ক্রেতার তালিকা আরডিএর কাছে জমা দেননি। কাজ এখনো বাকি রয়েছে। আরডিএ কাউকে দোকান বরাদ্দ দেয়নি। এরই মধ্যে শাটার লাগিয়ে বেআইনিভাবে দোকানের দখল নেওয়া হচ্ছে।
আরডিএর সাবেক স্টেট অফিসার শেখ কামরুজ্জামান বলেন, ওই বিপণিবিতানের দোকান কাউকে এখনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। যাঁরা দোকানঘর দখল করেছেন, তাঁদের মৌখিকভাবে নিষেধ করেছেন। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
আরডিএ সূত্রে জানা গেছে, নগরের নওদাপাড়া এলাকায় আন্তজেলা বাস টার্মিনালের উত্তর দিকে বিপণিবিতানটি নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের শেষ দিকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী মার্কেটের দৈর্ঘ্য হবে ৩৫০ ফুট। প্রতিটি দোকানঘর চওড়ায় হবে ১৫ ফুট, সঙ্গে ৫ ফুট বারান্দা থাকবে। বিপণিবিতানটি প্রথমে চার তলাবিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত ছিল। পরে তা পরিবর্তন করে দোতলা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, ঠিকাদার তাঁর নিজের টাকায় বিপণিবিতানটি নির্মাণ করবেন। এরপর তিনি ক্রেতার নামের তালিকাসহ নির্মিত দোকান কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করবেন। তখন কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার মনোনীত ক্রেতাদের নামে দোকানের বরাদ্দপত্র ইস্যু করবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর ক্রেতা সেই দোকানে ব্যবসা শুরু করবেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বে-পশ্চিমে দীর্ঘ ডি ব্লক সুপার মার্কেটটি এখনো নির্মাণ শেষ হয়নি। ওপরের দিকে লোহার রডগুলো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। কাজ শেষ না হওয়ায় কিছু দোকান ব্যবহারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ দোকান দখল হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা দোকানের দখল নিতে নিজে থেকে শাটার লাগিয়েছেন। দোকানে বিদ্যুৎ-সংযোগও নিয়েছেন। অথচ বরাদ্দ না পেলে সেই দোকানে বিদ্যুৎ-সংযোগ পাওয়ার কথা নয়।
একসঙ্গে পাঁচটি দোকানের দখল নিয়েছেন মাসুদ রানা নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি চারটি দোকান মিলিয়ে একটি খাবার হোটেল করেছেন। নাম দিয়েছেন তৃপ্তি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। কীভাবে দোকান পেয়েছেন—জানতে চাইলে মাসুদ রানা বলেন, তিনি নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকার তৃপ্তি হোটেলের মূল মালিক মাহাবুবের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন। দোকানপ্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে ভাড়া দেন। এক বছর ধরে তিনি এভাবে ব্যবসা করছেন।
মার্কেটের একটি দোকানে প্রসাধনসামগ্রীর ব্যবসা করছেন শামীম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। দোকান বরাদ্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নগরে মাস্টারপাড়া এলাকার নূরে আলমের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে তিনি ব্যবসা করছেন। বরাদ্দ পেয়েছেন কি না, তা নূরে আলমই বলতে পারবেন। বিপণিবিতানের দুই পাশে আরডিএর পক্ষ থেকে দুটি বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়েছে। তাতে লেখা: ‘নির্মাণাধীন ডি ব্লক সুপার মার্কেটটি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মার্কেট দখল ও ব্যবসা পরিচালনা করা সম্পূর্ণরূপে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’। ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি দোকানের কোনো ক্রেতার তালিকা আরডিএর কাছে জমা দেননি। কাজ এখনো বাকি রয়েছে। আরডিএ কাউকে দোকান বরাদ্দ দেয়নি। এরই মধ্যে শাটার লাগিয়ে বেআইনিভাবে দোকানের দখল নেওয়া হচ্ছে।
আরডিএর সাবেক স্টেট অফিসার শেখ কামরুজ্জামান বলেন, ওই বিপণিবিতানের দোকান কাউকে এখনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। যাঁরা দোকানঘর দখল করেছেন, তাঁদের মৌখিকভাবে নিষেধ করেছেন। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
No comments