আন্দোলনের নতুন ছকে বিএনপি by মঈন উদ্দিন খান
টানা অবরোধ-হরতালের মধ্যেই আন্দোলনের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। ঢাকায় বড় ধরনের শোডাউনের কথাও ভাবা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের আরো সক্রিয় করতে এ ধরনের কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে বলে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক নেতা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ মাসের মধ্যে যেকোনো সময় মাঠে নামতে পারেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের নেতাকর্মীরা।
অন্য দিকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আন্দোলন প্রশ্নে অনমনীয় অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শিগগিরই আন্দোলনের ফল পাওয়া যাবে এমন ‘বার্তাও’ তার কাছে রয়েছে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, অবরোধের ৪৩ দিন পার হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে ২০ দলের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্রসফায়ার, হত্যা, গুমের শিকার হয়েছেন প্রায় ১০০ নেতাকর্মী। অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সারা দেশে নেতাকর্মীরা ঘরবাড়িছাড়া। এ অবস্থায় বিএনপির সামনে আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ রেখেই আন্দোলন কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ‘একঘেয়েমি’ কাটাতে নেতাকর্মীদের কিভাবে মাঠে নামানো যায়, তা গুরুত্বসহকারে ভাবা হচ্ছে। আন্দোলনের সাথে যুক্ত নেতারা বলছেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নেতাকর্মীরা সরকারের ‘দমন কৌশল’ এড়িয়ে আন্দোলনে রয়েছেন। মাঠে নেমে একত্রে শোডাউন করতে পারলে এই আন্দোলন আরো বেগবান হবে। সরকারকেও ২০ দলের ‘শক্তি’ সম্পর্কে জানান দেয়া যাবে।
দলের শীর্ষ এক নেতা নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ২০ দলীয় জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন শুরুর পর তার ছেলেকে হারিয়েছেন। এক দিকে যেমন তাকে শোক বইতে হচ্ছে, অন্য দিকে তিনি রয়েছেন ‘গৃহবন্দী’ অবস্থায়। তারপরও কঠিন মনোবল নিয়ে তিনি আন্দোলন চালিয়ে নিচ্ছেন। ‘বিজয়’ অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পিছপা হবেন না। প্রয়োজনে মার্চজুড়েও আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন তিনি।
গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সাথে ৩ জানুয়ারি থেকে অবস্থান করছেন মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা। নয়া দিগন্তকে তিনি আন্দোলন প্রশ্নে খালেদা জিয়ার অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘কঠোর মনোভাব ও যথেষ্ট দৃঢ়তা নিয়েই আন্দোলন প্রশ্নে অনমনীয় অবস্থানে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বিশ্বাস করেন, খুব কম সময়ের মধ্যেই আন্দোলন একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে।’ শিরিন সুলতানা বলেন, ‘খালেদা জিয়া মনে করেন, চলমান আন্দোলন ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। ইতোমধ্যে এই আন্দোলনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। অনেক রক্ত ঝরেছে। এই অবস্থায় দাবি আদায় না করে পিছু হঠার কোনো সুযোগ নেই।’
শিরিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা যখন ম্যাডামকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন কথা বলি, তখন তিনি বলেন, গ্রেফতার করুক। আমাকে তো ওরা বন্দী করেই রেখেছে।’
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জানান, খালেদা জিয়া আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে সবাইকে ধৈর্যসহকারে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশান কার্যালয়েই অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার ডাকে ৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। এর মধ্যেই গুলশান কার্যালয় ঘিরে বহু বৈরী ঘটনার জন্ম হয়। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎসংযোগ, টেলিফোনলাইন, ডিশলাইন, ইন্টারনেটলাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎসংযোগ ২০ ঘণ্টা পর চালু করে দেয়া হলেও অন্যান্য সংযোগ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কার্যালয়ে খাবার প্রবেশেও এখন বাধা দেয়ার নিত্য অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
কার্যালয়ে অবস্থানকারী নেতারা নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘এরকম নানামুখী প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আন্দোলন প্রশ্নে দৃঢ়চেতা রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলছেন, ‘আন্দোলন সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছবেই’।
অন্য দিকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আন্দোলন প্রশ্নে অনমনীয় অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শিগগিরই আন্দোলনের ফল পাওয়া যাবে এমন ‘বার্তাও’ তার কাছে রয়েছে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, অবরোধের ৪৩ দিন পার হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে ২০ দলের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্রসফায়ার, হত্যা, গুমের শিকার হয়েছেন প্রায় ১০০ নেতাকর্মী। অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সারা দেশে নেতাকর্মীরা ঘরবাড়িছাড়া। এ অবস্থায় বিএনপির সামনে আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ রেখেই আন্দোলন কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ‘একঘেয়েমি’ কাটাতে নেতাকর্মীদের কিভাবে মাঠে নামানো যায়, তা গুরুত্বসহকারে ভাবা হচ্ছে। আন্দোলনের সাথে যুক্ত নেতারা বলছেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নেতাকর্মীরা সরকারের ‘দমন কৌশল’ এড়িয়ে আন্দোলনে রয়েছেন। মাঠে নেমে একত্রে শোডাউন করতে পারলে এই আন্দোলন আরো বেগবান হবে। সরকারকেও ২০ দলের ‘শক্তি’ সম্পর্কে জানান দেয়া যাবে।
দলের শীর্ষ এক নেতা নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ২০ দলীয় জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন শুরুর পর তার ছেলেকে হারিয়েছেন। এক দিকে যেমন তাকে শোক বইতে হচ্ছে, অন্য দিকে তিনি রয়েছেন ‘গৃহবন্দী’ অবস্থায়। তারপরও কঠিন মনোবল নিয়ে তিনি আন্দোলন চালিয়ে নিচ্ছেন। ‘বিজয়’ অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পিছপা হবেন না। প্রয়োজনে মার্চজুড়েও আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন তিনি।
গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সাথে ৩ জানুয়ারি থেকে অবস্থান করছেন মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা। নয়া দিগন্তকে তিনি আন্দোলন প্রশ্নে খালেদা জিয়ার অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘কঠোর মনোভাব ও যথেষ্ট দৃঢ়তা নিয়েই আন্দোলন প্রশ্নে অনমনীয় অবস্থানে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বিশ্বাস করেন, খুব কম সময়ের মধ্যেই আন্দোলন একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে।’ শিরিন সুলতানা বলেন, ‘খালেদা জিয়া মনে করেন, চলমান আন্দোলন ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। ইতোমধ্যে এই আন্দোলনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। অনেক রক্ত ঝরেছে। এই অবস্থায় দাবি আদায় না করে পিছু হঠার কোনো সুযোগ নেই।’
শিরিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা যখন ম্যাডামকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন কথা বলি, তখন তিনি বলেন, গ্রেফতার করুক। আমাকে তো ওরা বন্দী করেই রেখেছে।’
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জানান, খালেদা জিয়া আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে সবাইকে ধৈর্যসহকারে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশান কার্যালয়েই অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার ডাকে ৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। এর মধ্যেই গুলশান কার্যালয় ঘিরে বহু বৈরী ঘটনার জন্ম হয়। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎসংযোগ, টেলিফোনলাইন, ডিশলাইন, ইন্টারনেটলাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎসংযোগ ২০ ঘণ্টা পর চালু করে দেয়া হলেও অন্যান্য সংযোগ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কার্যালয়ে খাবার প্রবেশেও এখন বাধা দেয়ার নিত্য অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
কার্যালয়ে অবস্থানকারী নেতারা নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘এরকম নানামুখী প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আন্দোলন প্রশ্নে দৃঢ়চেতা রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলছেন, ‘আন্দোলন সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছবেই’।
No comments