জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠিকে গতানুগতিক বলছে আ.লীগ by আবদুর রশিদ
জাতিসংঘের
মহাসচিব বান কি মুনের পাঠানো চিঠির গুরুত্ব না দিলেও জবাব দেবে ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগ সরকার। দলটির মতে, এই চিঠি গতানুগতিক, গুরুত্ব দেওয়ার কিছু
নেই। জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি দেওয়ায় দলটি কোনো চাপ অনুভব করছে না।
আওয়ামী লীগের দুজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম
আলোকে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের পাঠানো চিঠির উপাদান নিয়ে দলীয় ফোরামে
কোনো আলোচনা করেননি প্রধানমন্ত্রী। কবে করবেন, তা–ও তাঁরা জানেন না। তবে
তাঁরা জেনেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠিতে বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনা করা
এবং একই সঙ্গে সহিংসতা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। ওই দুই নেতার মতে, আওয়ামী
লীগ সরকার এখন সহিংসতা বন্ধেরই প্রয়াস চালাচ্ছে। সরকার এখন সেদিকেই নজর
দিচ্ছে। সহিংসতা বন্ধ করলেই কেবল বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তবে
সহিংসতা বন্ধ হলে কী নিয়ে, কখন, কীভাবে আলোচনা হবে, সেটা তাঁরা বলতে
পারেননি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলোচনা হবে না, এটা কেউ বলছে না। তবে এর আগে সন্ত্রাস-নাশকতা শুড বি স্টপড। এটা বন্ধ না হলে কিছুই হবে না।’ জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান সাড়া দেবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব আহ্বানই নিচ্ছি। তবে এই হুমকি দিয়ে কিছু করা যায় না। বিএনপিও পারবে না।’
এটাকে কি আপনারা আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপ হিসেবে দেখছেন কি না, জানতে চাইলে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি কোনো চাপ নয়। আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশে একে একে যাঁরা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এসেছেন, তাঁদের সবার সঙ্গে আপনাদের কথা হয়েছে। সেখানে কোথাও কোনো চাপের কথা নেই। আমরা শুধু খেয়াল রাখব, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সরকারের কোনো কর্মকাণ্ড সমালোচনার মুখে না পড়ে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, চিঠির একটা জবাব যাবে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতিসংঘের স্পিরিট হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান। বর্তমান সরকার সেই কাজটিই করছে। আর যদি নির্বাচনের জন্য সংলাপের কথা বলা হয়, তাহলে সেটা তো এখনো আসেনি।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানাব, উনি আগে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানাবেন। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা বন্ধ থাকুক, এটা কেউ বিশ্বাস করে না। সহিংসতা, পেট্রলবোমা কি রাজনীতি? তারা যে মানুষ হত্যা করছে, এ জন্য কি তাদের অনুশোচনা আছে? জাতিসংঘ মহাসচিব যদি প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনা করা ও সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানান, তাহলে ওই চিঠি ইতিবাচকভাবে নেওয়া যেতে পারে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আমলে নেওয়া যেতে পারে। তবে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাদের সঙ্গে আলোচনার দ্বিপাক্ষিক ভিত্তি হতে পারে না।’ জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির স্বার্থে যেটা ভালো, সেটাই প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করবেন বলে আমার দল মনে করে।’
জানা গেছে, দুই চিঠিতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বের প্রসঙ্গটি টানেন বান কি মুন। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সূচকের পাশাপাশি আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানকারী অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জাতিসংঘের আগ্রহের বিষয় বলে বান কি মুন উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের চলমান সহিংসতায় জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগের কথা তুলে ধরে নিরপরাধ লোকজন সহিংসতার শিকার হওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানান বান কি মুন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলোচনা হবে না, এটা কেউ বলছে না। তবে এর আগে সন্ত্রাস-নাশকতা শুড বি স্টপড। এটা বন্ধ না হলে কিছুই হবে না।’ জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান সাড়া দেবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব আহ্বানই নিচ্ছি। তবে এই হুমকি দিয়ে কিছু করা যায় না। বিএনপিও পারবে না।’
এটাকে কি আপনারা আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপ হিসেবে দেখছেন কি না, জানতে চাইলে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি কোনো চাপ নয়। আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশে একে একে যাঁরা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এসেছেন, তাঁদের সবার সঙ্গে আপনাদের কথা হয়েছে। সেখানে কোথাও কোনো চাপের কথা নেই। আমরা শুধু খেয়াল রাখব, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সরকারের কোনো কর্মকাণ্ড সমালোচনার মুখে না পড়ে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, চিঠির একটা জবাব যাবে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতিসংঘের স্পিরিট হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান। বর্তমান সরকার সেই কাজটিই করছে। আর যদি নির্বাচনের জন্য সংলাপের কথা বলা হয়, তাহলে সেটা তো এখনো আসেনি।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানাব, উনি আগে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানাবেন। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা বন্ধ থাকুক, এটা কেউ বিশ্বাস করে না। সহিংসতা, পেট্রলবোমা কি রাজনীতি? তারা যে মানুষ হত্যা করছে, এ জন্য কি তাদের অনুশোচনা আছে? জাতিসংঘ মহাসচিব যদি প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনা করা ও সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানান, তাহলে ওই চিঠি ইতিবাচকভাবে নেওয়া যেতে পারে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আমলে নেওয়া যেতে পারে। তবে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাদের সঙ্গে আলোচনার দ্বিপাক্ষিক ভিত্তি হতে পারে না।’ জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির স্বার্থে যেটা ভালো, সেটাই প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করবেন বলে আমার দল মনে করে।’
জানা গেছে, দুই চিঠিতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বের প্রসঙ্গটি টানেন বান কি মুন। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সূচকের পাশাপাশি আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানকারী অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের স্বার্থে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জাতিসংঘের আগ্রহের বিষয় বলে বান কি মুন উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের চলমান সহিংসতায় জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগের কথা তুলে ধরে নিরপরাধ লোকজন সহিংসতার শিকার হওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানান বান কি মুন।
No comments