গাইবান্ধায় র্যাবের গুলিতে শিবিরকর্মী নিহত
গাইবান্ধার
পলাশবাড়ীতে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শিবিরকর্মী মোস্তফা মঞ্জিল
(৩২) নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে
উপজেলার বুড়িরঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মঞ্জিল গাইবান্ধা সদরের
সাহাপাড়া ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের জসিজার মাস্টারের ছেলে। গতকাল সন্ধ্যা
৭টায় মঞ্জিলের নিজবাড়ি মিরপুর গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক
কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ দিকে মোস্তফা মঞ্জিল গুলিতে নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে তার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশী বাড়িতে ভিড় জমায়। মঞ্জিলের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তার বৃদ্ধা মা ও তার স্ত্রীর আহাজারিতে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। এ সময় তার অবুঝ তিন বছরের শিশু নাজনীন তার মা ও দাদীর আহাজারিতে শুধুই ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
মোস্তফা মঞ্জিলের মা মরিয়ম বেগম বিলাপ করে বলেন, আমার ছেলে কোনো খারাপ কিছু সাথে জড়িত ছিল না। আমার ছেলে ইসলামি দল করার কারণে ও মিছিলে আল্লাহু আকবার বলে তাকবির দিত বলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার চাই। বেশ কয়েক দিন থেকে তার সাথে দেখা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন গত এক সপ্তাহে প্রশাসনের লোক তিন দফায় এসে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে আসবারপত্র, ধানের বেড় ও আলমারি ভাঙচুর করে। এরপর থেকে মোস্তফা মঞ্জিল বাড়ি ছাড়া।
নিহত মঞ্জিলের স্ত্রী উলফাত জাহান জানান, কয়েকদিন আগে তার স্বামী তাকে ফোনে বলেছিল ভালোভাবে থেকো। আমি ভালো আছি। ইসলামের দল করি বলে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তার হত্যার বিচার চাই। এ সময় উলফাত জাহান কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
প্রতিবেশী সালমা খাতুন জানান, মোস্তফা মঞ্জিল ধর্মের রাজনীতি করত এর জন্য কি তাকে জীবন দিতে হলো। যদি তাই হয় তাহলে বাংলার সব মুসল্লিদের হত্যা করা হোক। এই বৃদ্ধা মায়ের সন্তানকে কে ফিরিয়ে দেবে। তার বুকফাটা আর্তনাদ কে শুনবে। কে থামাবে। এ হত্যার বিচার চাই।
এ দিকে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (এডি) আশরাফ হোসেন ছিদ্দিক জানান, ভোর ৫টার দিকে র্যাবের একটি টহল দল গাইবান্ধা ক্যাম্পে ফিরছিল। পথে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের বুড়িরঘর এলাকায় পৌঁছলে র্যাবের গাড়ি ল্য করে পেট্রলবোমা ও গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। আত্মরার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মোস্তফা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি পেট্রলবোমা, একটি বিদেশী পিস্তল, একটি দেশী বন্দুক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি বাস গাইবান্ধা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে গাইবান্ধা সদরের তুলসীঘাট এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘটনাস্থলে শিশুসহ চারজন ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো চারজনের মৃত্যু হয়। নিহত মোস্তফা মঞ্জিল ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি।
এ দিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গতকাল সকালে বাসুদেবপুর স্কুলের একটি গাছের নিচ থেকে নাইটগার্ড শফিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। তিনি জামায়াত সমর্থক ছিলেন বলে জানায় এলাকাবাসী। তিনি ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তার ফারুক (১৮), শারমীন (১৪) ও শাম্মী (৮) নামে তিন সন্তান রয়েছে।
নিহত শফিকুলের স্ত্রী রশিদা বেগম জানান, আমার নিরাপরাধ স্বামীকে বুট চাপা দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তিনি বলেন, এখন আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকব।
এ দিকে মোস্তফা মঞ্জিল গুলিতে নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে তার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশী বাড়িতে ভিড় জমায়। মঞ্জিলের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তার বৃদ্ধা মা ও তার স্ত্রীর আহাজারিতে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। এ সময় তার অবুঝ তিন বছরের শিশু নাজনীন তার মা ও দাদীর আহাজারিতে শুধুই ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
মোস্তফা মঞ্জিলের মা মরিয়ম বেগম বিলাপ করে বলেন, আমার ছেলে কোনো খারাপ কিছু সাথে জড়িত ছিল না। আমার ছেলে ইসলামি দল করার কারণে ও মিছিলে আল্লাহু আকবার বলে তাকবির দিত বলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার চাই। বেশ কয়েক দিন থেকে তার সাথে দেখা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন গত এক সপ্তাহে প্রশাসনের লোক তিন দফায় এসে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে আসবারপত্র, ধানের বেড় ও আলমারি ভাঙচুর করে। এরপর থেকে মোস্তফা মঞ্জিল বাড়ি ছাড়া।
নিহত মঞ্জিলের স্ত্রী উলফাত জাহান জানান, কয়েকদিন আগে তার স্বামী তাকে ফোনে বলেছিল ভালোভাবে থেকো। আমি ভালো আছি। ইসলামের দল করি বলে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তার হত্যার বিচার চাই। এ সময় উলফাত জাহান কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
প্রতিবেশী সালমা খাতুন জানান, মোস্তফা মঞ্জিল ধর্মের রাজনীতি করত এর জন্য কি তাকে জীবন দিতে হলো। যদি তাই হয় তাহলে বাংলার সব মুসল্লিদের হত্যা করা হোক। এই বৃদ্ধা মায়ের সন্তানকে কে ফিরিয়ে দেবে। তার বুকফাটা আর্তনাদ কে শুনবে। কে থামাবে। এ হত্যার বিচার চাই।
এ দিকে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (এডি) আশরাফ হোসেন ছিদ্দিক জানান, ভোর ৫টার দিকে র্যাবের একটি টহল দল গাইবান্ধা ক্যাম্পে ফিরছিল। পথে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের বুড়িরঘর এলাকায় পৌঁছলে র্যাবের গাড়ি ল্য করে পেট্রলবোমা ও গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। আত্মরার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মোস্তফা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি পেট্রলবোমা, একটি বিদেশী পিস্তল, একটি দেশী বন্দুক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি বাস গাইবান্ধা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে গাইবান্ধা সদরের তুলসীঘাট এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘটনাস্থলে শিশুসহ চারজন ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো চারজনের মৃত্যু হয়। নিহত মোস্তফা মঞ্জিল ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি।
এ দিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গতকাল সকালে বাসুদেবপুর স্কুলের একটি গাছের নিচ থেকে নাইটগার্ড শফিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। তিনি জামায়াত সমর্থক ছিলেন বলে জানায় এলাকাবাসী। তিনি ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তার ফারুক (১৮), শারমীন (১৪) ও শাম্মী (৮) নামে তিন সন্তান রয়েছে।
নিহত শফিকুলের স্ত্রী রশিদা বেগম জানান, আমার নিরাপরাধ স্বামীকে বুট চাপা দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তিনি বলেন, এখন আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকব।
No comments