সংকটের সমাধান কোন পথে? by সামিনা আহমেদ
কোনো
পক্ষ তাদের অবস্থান থেকে নড়তে চায় না বলেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট
মারাত্মক পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক লড়াইয়ের লাইন অধিকতর সঙ্গিন
হয়ে ওঠায় এখানে সামরিক হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের ৫
জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দল-বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশকে পুলিশ নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশে সর্বশেষ
পর্যায়ের রাজনৈতিক গোলযোগ শুরু হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিক্ষোভের ডাক দেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি ও তার জোট সঙ্গীরা
সংসদ নির্বাচন বয়কট করে। যার ফলে শেখ হাসিনা নতুন করে ৫ বছরের জন্য সরকার
গঠনের সুযোগ লাভ করেন।
বিশ্লেষক মনে করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় সর্বশেষ রাউন্ডের রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দেয়। এ পর্যন্ত সহিংসতায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অথচ এই দল দুটি পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে অধিকাংশ সময় পালা করে দেশ শাসন করেছে। বারংবার হরতাল ও লাগাতার অবরোধের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় ৮শ' যানবাহনে পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। এতে গাড়িগুলো পুড়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার টিভি স্টেশনের দু'জন মালিককে গ্রেফতার করেছে।
প্রতিদিনের সহিংসতা এখন নির্বাচন-পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দ্রুত সংকট নিরসনের পন্থা উদ্ভাবন করতে ব্যর্থ হলে এটা সমাধানের অযোগ্য অবস্থায় চলে যেতে পারে এবং দেশকে মারাত্মকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারণ কী? বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলো উভয় দলই অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যখন সংসদে ছিল, তখনও যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে তারাই বিরোধী দল হিসেবে সরকারের বৈধতা পুরোপুরি স্বীকার করে নেননি। বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে তখন হরতালসহ সংসদীয় রীতিনীতিবহির্ভূত ও অবৈধ উপায় অবলম্বন করে। আর সরকারি দল অবৈধ পন্থায় বিরোধী দলের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
বিজয়ীরাই সব ক্ষমতার মালিক_ এ ধরনের মানসিকতার কারণে গত নির্বাচন বয়কট করা বিএনপি সরকার পতনের জন্য রাস্তার লড়াই শুরু করে। সরকার এর প্রত্যুত্তরে বিএনপি জোটের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতারসহ কঠোর নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এতে উত্তেজনা চরম আকার নেয়।
সহিংসতা এখন নির্বাচন-পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে। উত্তেজনার পারদ ক্রমেই উপরের দিকে উঠছে। রাজনৈতিক সংকট কি ধীরে ধীরে সমাধানের অযোগ্য অবস্থানে চলে যাচ্ছে? সহিংসতার কারণে সংকট দ্রুত সমাধানের অযোগ্য অবস্থায় চলে যাচ্ছে। এতে সংলাপ বা সমঝোতা মরীচিকা হয়ে উঠছে। কোনো সমঝোতা না হলে সরকার সাময়িকভাবে হয়তো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে সহিংসতার রাশ টেনে ধরতে পারে। কিন্তু এর পরিণতিতে বারবার সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকবে। তাছাড়া সহিংসতা আরও বিস্তৃত এবং গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতির এমন একটি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পেঁৗছতে পারে, যাতে সামরিক হস্তক্ষেপ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
চলমান সংকটে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে বিচার বিভাগ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে কি? মানুষ যাকে ভয় পায় সেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সরকারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। বিচার বিভাগই একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যারা কাগজে-কলমে হলেও সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং বিরোধী দলের সংবিধানবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের রাশ টেনে ধরতে পারে।
এই রাজনৈতিক সংকটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন পরস্পরকে শত্রুজ্ঞান করছে, তখন জিহাদি সংগঠনগুলো তাদের আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এই দুই দলকেই শত্রু মনে করে। এই সংকট জিইয়ে থাকলে ইসলামী জিহাদি সংগঠনগুলোর শক্তি বৃদ্ধি পাবে। যেসব উগ্রপন্থি ইসলামী সংগঠন ইতিপূর্বে অনেকটা নিশ্চুপ ছিল তাদেরও পুনরুজ্জীবন ঘটছে।
জামায়াতে ইসলামীও তাদের ঘাঁটি এলাকাগুলোতে মারাত্মক সহিংস কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটাচ্ছে। সাম্প্রতিক ভয়ঙ্কর কয়েকটি হামলার জন্য এই দলকেই দায়ী করা হচ্ছে। এ ধরনের হামলার ঘটনা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও দেখা গেছে। এটা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে হুমকিগ্রস্ত করছে। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ রীতিনীতিও এতে হুমকির মুখে রয়েছে।
বাংলাদেশি সমাজের মেরুকরণটা কেমন? বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ দলীয় লাইনে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত। উভয় বড় দলকে তাদের বক্তব্য শুনতে বাধ্য করার মতো কার্যকারিতাকে সীমিত করে ফেলেছে। কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে। তবে এটা একটা বিশেষ চ্যালেঞ্জ।
সহিংসতা বন্ধ করা ও উভয়পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফেরানোর জন্য কী করা প্রয়োজন? উভয়পক্ষকেই সংকট সমাধানে সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে পার্টি সিনিয়রিটির নিম্নপর্যায় পর্যন্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে। বিএনপিকে তাদের সহিংস পার্টি কর্মীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং সরকারকে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে হবে। আর এটা সম্ভব করতে হলে সর্বাগ্রে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে অনুধাবন করতে হবে যে, তাদের এই আরোপিত সংঘাতের কারণে তারা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠান সম্ভব হবে।
ডয়েচে ভেলে থেকে ভাষান্তর
সুভাষ সাহা
ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়া প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ও সিনিয়র এশিয়া উপদেষ্টা
বিশ্লেষক মনে করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় সর্বশেষ রাউন্ডের রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দেয়। এ পর্যন্ত সহিংসতায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অথচ এই দল দুটি পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে অধিকাংশ সময় পালা করে দেশ শাসন করেছে। বারংবার হরতাল ও লাগাতার অবরোধের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় ৮শ' যানবাহনে পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। এতে গাড়িগুলো পুড়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার টিভি স্টেশনের দু'জন মালিককে গ্রেফতার করেছে।
প্রতিদিনের সহিংসতা এখন নির্বাচন-পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দ্রুত সংকট নিরসনের পন্থা উদ্ভাবন করতে ব্যর্থ হলে এটা সমাধানের অযোগ্য অবস্থায় চলে যেতে পারে এবং দেশকে মারাত্মকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারণ কী? বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলো উভয় দলই অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যখন সংসদে ছিল, তখনও যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে তারাই বিরোধী দল হিসেবে সরকারের বৈধতা পুরোপুরি স্বীকার করে নেননি। বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে তখন হরতালসহ সংসদীয় রীতিনীতিবহির্ভূত ও অবৈধ উপায় অবলম্বন করে। আর সরকারি দল অবৈধ পন্থায় বিরোধী দলের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
বিজয়ীরাই সব ক্ষমতার মালিক_ এ ধরনের মানসিকতার কারণে গত নির্বাচন বয়কট করা বিএনপি সরকার পতনের জন্য রাস্তার লড়াই শুরু করে। সরকার এর প্রত্যুত্তরে বিএনপি জোটের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতারসহ কঠোর নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এতে উত্তেজনা চরম আকার নেয়।
সহিংসতা এখন নির্বাচন-পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে। উত্তেজনার পারদ ক্রমেই উপরের দিকে উঠছে। রাজনৈতিক সংকট কি ধীরে ধীরে সমাধানের অযোগ্য অবস্থানে চলে যাচ্ছে? সহিংসতার কারণে সংকট দ্রুত সমাধানের অযোগ্য অবস্থায় চলে যাচ্ছে। এতে সংলাপ বা সমঝোতা মরীচিকা হয়ে উঠছে। কোনো সমঝোতা না হলে সরকার সাময়িকভাবে হয়তো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে সহিংসতার রাশ টেনে ধরতে পারে। কিন্তু এর পরিণতিতে বারবার সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকবে। তাছাড়া সহিংসতা আরও বিস্তৃত এবং গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতির এমন একটি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পেঁৗছতে পারে, যাতে সামরিক হস্তক্ষেপ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
চলমান সংকটে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে বিচার বিভাগ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে কি? মানুষ যাকে ভয় পায় সেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সরকারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। বিচার বিভাগই একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যারা কাগজে-কলমে হলেও সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং বিরোধী দলের সংবিধানবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের রাশ টেনে ধরতে পারে।
এই রাজনৈতিক সংকটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন পরস্পরকে শত্রুজ্ঞান করছে, তখন জিহাদি সংগঠনগুলো তাদের আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এই দুই দলকেই শত্রু মনে করে। এই সংকট জিইয়ে থাকলে ইসলামী জিহাদি সংগঠনগুলোর শক্তি বৃদ্ধি পাবে। যেসব উগ্রপন্থি ইসলামী সংগঠন ইতিপূর্বে অনেকটা নিশ্চুপ ছিল তাদেরও পুনরুজ্জীবন ঘটছে।
জামায়াতে ইসলামীও তাদের ঘাঁটি এলাকাগুলোতে মারাত্মক সহিংস কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটাচ্ছে। সাম্প্রতিক ভয়ঙ্কর কয়েকটি হামলার জন্য এই দলকেই দায়ী করা হচ্ছে। এ ধরনের হামলার ঘটনা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও দেখা গেছে। এটা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে হুমকিগ্রস্ত করছে। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ রীতিনীতিও এতে হুমকির মুখে রয়েছে।
বাংলাদেশি সমাজের মেরুকরণটা কেমন? বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ দলীয় লাইনে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত। উভয় বড় দলকে তাদের বক্তব্য শুনতে বাধ্য করার মতো কার্যকারিতাকে সীমিত করে ফেলেছে। কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে। তবে এটা একটা বিশেষ চ্যালেঞ্জ।
সহিংসতা বন্ধ করা ও উভয়পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফেরানোর জন্য কী করা প্রয়োজন? উভয়পক্ষকেই সংকট সমাধানে সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে পার্টি সিনিয়রিটির নিম্নপর্যায় পর্যন্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে। বিএনপিকে তাদের সহিংস পার্টি কর্মীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং সরকারকে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে হবে। আর এটা সম্ভব করতে হলে সর্বাগ্রে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে অনুধাবন করতে হবে যে, তাদের এই আরোপিত সংঘাতের কারণে তারা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠান সম্ভব হবে।
ডয়েচে ভেলে থেকে ভাষান্তর
সুভাষ সাহা
ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়া প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ও সিনিয়র এশিয়া উপদেষ্টা
No comments