যে কেলেঙ্কারি রুসেফের গলার কাঁটা
(ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ও ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান দিলমা রুসেফ। ছবি: এএফপি) প্রথমবার
বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন দিলমা রুসেফ। কিন্তু দ্বিতীয়
মেয়াদের নির্বাচনে তিনি হারতে বসেছিলেন। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বী এসিও নেভিসের চেয়ে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন রুসেফ। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল
কোম্পানি পেট্রোব্রাসের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা রুসেফের জয়ের পথে বড়
বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বলা যায়, এটা তাঁর গলার কাঁটার মতো।
পেট্রোব্রাসের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ
করেছে দ্য ইকোনোমিস্ট সাময়িকী।‘করাপশন ইন ব্রাজিল, দ্য বিগ অয়েলি’
শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে তেল কোম্পানির আর্থিক কেলেঙ্কারির নানা দিক তুলে
ধরা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পোট্রোব্রাসের আর্থিক কেলেঙ্কারি এখনো অশুভ সংকেত হিসেবে রুসেফের মাথার ওপর ঝুলছে। এ কেলেঙ্কারি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গত বছরের মার্চে নতুন করে এ ঘটনা আবার শুরু হয়। অর্থ পাচারের তদন্তে পেট্রোব্রাসের ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল মেয়াদ পর্যন্ত থাকা প্রেসিডেন্ট পাওলো রবার্তো কস্তাকে আটক করে কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশ। কস্তা এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন। কস্তার দাবি, তাঁর বিভাগ থেকে যেসব কোম্পানি কাজ পেয়েছে, সেগুলোর শতকরা ৩ শতাংশ মূল্য রাজনৈতিক দলের ক্ষুদ্র তহবিলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৮ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে পুলিশ। পেট্রোব্রাসের এ কেলেঙ্কারিকে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত নভেম্বরে ব্রাজিলের ছয়টি বড় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২৪ জন নির্বাহী কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশ। এঁদের সঙ্গে পেট্রোব্রাসের সাবেক এক নির্বাহী প্রধানও রয়েছেন। এ ছাড়া কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ৩০ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। আবার তাঁদের অধিকাংশই দিলমা রুসেফের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে যুক্ত।
এ দুর্নীতি রুসেফের জ্ঞাতসারে হয়েছে—এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগের প্রেসিডেন্ট লুলা দি সিলভার মন্ত্রিসভার জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন রুসেফ। এ কারণে রুসেফ পেট্রোব্রাসের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর ওই সময়ে এসব আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। পেট্রোব্রাসের সাবেক ব্যবস্থাপকের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান মারিয়া দাস গ্রে অ্যাস ফস্টার এবং অন্যান্য নির্বাহীদের অনিয়মের ব্যাপারে কোম্পানিকে তিনি অবহিত করেছেন। কিন্তু অন্য কর্মকর্তাদের অনিয়মের ব্যাপারে ফস্টার কিছু জানেন—কোম্পানি এমন অভিযোগ অগ্রাহ্য করেছে। ফস্টার রুসেফের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। এ কেলেঙ্কারি আগামী দিনগুলোতে প্রধান শিরোনাম হবে। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত এমন ২৮ রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম বলেছেন কস্তা। তাঁরা সবাই আবার সংসদীয় বিশেষ সুবিধা ভোগ করছেন। একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন।
এদিকে গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় পেট্রোব্রাসের শেয়ার মূল্য অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। শেয়ারের দরপতন ক্ষুদ্র শেয়ার মালিকদের উত্তেজিত করেছে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের প্রিভডেন্স নগরের ক্ষতিগ্রস্ত এক বিনিয়োগকারী নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় রুসেফকে সম্ভাব্য সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পেট্রোব্রাস দুর্নীতিবিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে। সবদিক বিবেচনা করে ২০১৫ সালে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পোট্রোব্রাসের আর্থিক কেলেঙ্কারি এখনো অশুভ সংকেত হিসেবে রুসেফের মাথার ওপর ঝুলছে। এ কেলেঙ্কারি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গত বছরের মার্চে নতুন করে এ ঘটনা আবার শুরু হয়। অর্থ পাচারের তদন্তে পেট্রোব্রাসের ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল মেয়াদ পর্যন্ত থাকা প্রেসিডেন্ট পাওলো রবার্তো কস্তাকে আটক করে কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশ। কস্তা এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন। কস্তার দাবি, তাঁর বিভাগ থেকে যেসব কোম্পানি কাজ পেয়েছে, সেগুলোর শতকরা ৩ শতাংশ মূল্য রাজনৈতিক দলের ক্ষুদ্র তহবিলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৮ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে পুলিশ। পেট্রোব্রাসের এ কেলেঙ্কারিকে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত নভেম্বরে ব্রাজিলের ছয়টি বড় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২৪ জন নির্বাহী কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশ। এঁদের সঙ্গে পেট্রোব্রাসের সাবেক এক নির্বাহী প্রধানও রয়েছেন। এ ছাড়া কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ৩০ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। আবার তাঁদের অধিকাংশই দিলমা রুসেফের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে যুক্ত।
এ দুর্নীতি রুসেফের জ্ঞাতসারে হয়েছে—এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগের প্রেসিডেন্ট লুলা দি সিলভার মন্ত্রিসভার জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন রুসেফ। এ কারণে রুসেফ পেট্রোব্রাসের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর ওই সময়ে এসব আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। পেট্রোব্রাসের সাবেক ব্যবস্থাপকের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান মারিয়া দাস গ্রে অ্যাস ফস্টার এবং অন্যান্য নির্বাহীদের অনিয়মের ব্যাপারে কোম্পানিকে তিনি অবহিত করেছেন। কিন্তু অন্য কর্মকর্তাদের অনিয়মের ব্যাপারে ফস্টার কিছু জানেন—কোম্পানি এমন অভিযোগ অগ্রাহ্য করেছে। ফস্টার রুসেফের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। এ কেলেঙ্কারি আগামী দিনগুলোতে প্রধান শিরোনাম হবে। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত এমন ২৮ রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম বলেছেন কস্তা। তাঁরা সবাই আবার সংসদীয় বিশেষ সুবিধা ভোগ করছেন। একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন।
এদিকে গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় পেট্রোব্রাসের শেয়ার মূল্য অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। শেয়ারের দরপতন ক্ষুদ্র শেয়ার মালিকদের উত্তেজিত করেছে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের প্রিভডেন্স নগরের ক্ষতিগ্রস্ত এক বিনিয়োগকারী নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় রুসেফকে সম্ভাব্য সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পেট্রোব্রাস দুর্নীতিবিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে। সবদিক বিবেচনা করে ২০১৫ সালে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
No comments