‘ঘুষ’ হিসেবে রেফারিদের যৌনকর্মী সরবরাহ!
শুনানি চলার সময় ডিং। ছবি: বিবিসি |
ফুটবলে
ম্যাচ ফিক্সিং শব্দটা এলেই সিঙ্গাপুর নামটা চলে আসছে। সিঙ্গাপুর যেন
ফিক্সারদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে! সেখানে ম্যাচ ফিক্সিং কেবল অর্থ কড়ির
বিনিময়েই হচ্ছে না, কখনো কখনো তাতে যৌনকর্মীও ব্যবহার করা হচ্ছে! এরিক
ডিং, সিঙ্গাপুরের একজন আলোচিত ম্যাচ ফিক্সার। ৩২ বছর বয়সী ডিং স্থানীয় এক
নৈশ ক্লাবের স্বত্বাধিকারী। বছর দুয়েক আগে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন
কাপের একটি ম্যাচে অফিশিয়াল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিন লেবানিজ
রেফারি। ম্যাচে রেফারি ছিলেন আলী সাবাগ, সহকারী হিসেবে আলী ইদ ও আবদুল্লাহ
তালেব। তিনজনকেই ম্যাচের আগে ঘুষ হিসেবে যৌনকর্মী সরবরাহ করেছিলেন ডিং! পরে
ওই তিন ম্যাচ অফিশিয়ালকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাদ পড়েননি মূল হোতা
ডিংও। গত জুলাইয়ে ডিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়
সিঙ্গাপুরের একটি নিম্ন আদালত তাঁকে সাড়ে তিন বছরের জেল দেন। বিষয়টি
সেখানেই নিষ্পত্তি হয়নি, গড়ায় উচ্চ আদালত অবধি। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার
সব শুনানি শেষে সিঙ্গাপুরের উচ্চ আদালত রায় দেন, ‘ডিংয়ের তিন বছরের জেল
পর্যাপ্ত নয়। ’ বিচারক চান সেং ওন বলেন, ‘ডিং যে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত,
তাদের জাল অনেক বড়। ’ বিচারক আরও বলেন, ‘ঘুষের ধরন এবং যে খেলার জন্য
ম্যাচ ফিক্সিং করা হয়েছিল, তাতে ডিংয়ের সাজা যৌক্তিক মাত্রায় বাড়াতে
হবে। ’ আরও ১৮ মাস বাড়িয়ে মোট পাঁচ বছরের জেল সাজা হয়েছে ডিংয়ের। এর
আগে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রেফারি সাবাগের ছয় আর ইদ ও তালেবের তিন মাসের
জেল হয়েছে। তথ্যসূত্র: এএফপি ও বিবিসি।
No comments