সৈকতে প্রেমের ফাঁদ
চট্টগ্রামের
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রেম করতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে তরুণ-তরুণীরা।
সমুদ্রের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা শতাধিক টংয়ের দোকানের ভেতরে কেবিন দেখে
সহজেই ঢুকে পড়ছে উঠতি প্রেমিক-প্রেমিকার দল। আর সেখানেই ঘটছে নানা আপত্তিকর
ঘটনা। একবার সেখানে পা দিয়ে পুনরায় টাকা-পয়সা নিয়ে ফিরে এসেছে এমন জুটি
খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আলাপকালে জানান অনেকে। ভুক্তভোগীরা জানান,
প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য একান্তে সময় কাটাতে সেখানে টংয়ের দোকানগুলোর
লোভনীয় অফার খুব সহজেই কাছে টানে যে কাউকে। স্কুল-কলেজ পালিয়ে প্রতিদিনই
সেখানে দেখা মিলে কয়েক হাজার জুটির। ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া যুবক-যুবতীরা সময়
কাটায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেকে চট্টগ্রামের বাইরে থেকে মেয়েদের ভাড়া করে
নিয়ে এসে এখানে ফুর্তি করে দিনরাত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জোড়া জুটি গত ১লা জানুয়ারি একান্তে সময় কাটাতে যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। সেখানে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই তারা নিজেদের আরও আপন করে নিতে ঢুকে পড়ে সমুদ্রের দক্ষিণ পাশে গড়ে ওঠা একটি টংয়ের দোকানে। দুই ঘণ্টা সময় কাটানোর পর মেয়েটি ও ছেলেটির বিভিন্ন অন্তরঙ্গ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে এক কর্মচারী। বিষয়টি হঠাৎ প্রেমিক-প্রেমিকার নজরে এলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আশপাশের কিছু লোক এগিয়ে এসে তাদের চিৎকার না দেয়ার নির্দেশ দেন। এই সময় এক ব্যক্তি বলেন, আপনারা এখানে খারাপ কাজ করবেন। আর আমরা ভিডিও করলে দোষ। চুপচাপ ৫০০০ টাকা বিল দিয়ে চলে যান। এই কথা শুনে ছেলেটি ও মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়লে তাদের কাছ থেকে পুরো টাকাটা আদায় করে ওই সিন্ডিকেটের লোকজন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছেলেটি নিজের নাম মনসুর আহমেদ বলে প্রকাশ করতে রাজি হন। তিনি বলেন, ঘটনাটি এমনভাবে হয়েছে যে এখন থানায় গিয়ে মামলা করতে ভয় পাচ্ছি। কারণ, যদি বাসার লোকজন জেনে যায় তাহলে মহাবিপদ হবে। তাছাড়া মেয়েটির সামাজিক মর্যাদাও ক্ষুণ্ন হবে। আমরা ঠিক করেছি বিচে আর যাব না। সরজমিনে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাড়ে গড়ে ওঠা দোকানগুলোয় প্রবেশ করে দেখা যায়, সেখানকার বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে ১৫-৩০ বছরের ছেলে মেয়ে। এসব দোকান স্থানীয়ভাবে প্রেমলীলা বলে পরিচিত তরুণ-তরুণীদের কাছে। এখানকার একেকটি বেঞ্চে যে কেউ চাইলে শুয়ে বসে কাটাতে পারবেন। রয়েছে কেবিন দিয়ে আলাদা কক্ষ। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই আসলে ভেতরে কি হচ্ছে। জানতে চাইলে দিদারুল আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার দোকানের কোন নাম নেই। দিদারের হোটেল বললে যে কেউ চিনিয়ে দেবে। যখন যা খুশি লাগলে বলবেন। মদ, বিয়ার, হুইস্কি, রাম সবই আছে। সমুদ্রের দুই ধারেই রয়েছে এসব প্রেমলীলা। উত্তর পাশের একটি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অন্তরঙ্গ অবস্থায় বসে আছে ১০-১২টি জুটি। যারা প্রকাশ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনে মগ্ন। দোকানের কর্মচারী আবছার দৌড়ে এসে বলেন, স্যার কি লাগবে। দুপুর পর্যন্ত সব বুকিং। ওরা গেলে তারপর আপনারা বসতে পারবেন। কয়জন আছেন বলে যান। খাবার দাবার তৈরি হওয়ার আগে বিচ থেকে একটু ঘুরে আসেন। তারপর এখানে আসলে দেখবেন গরম লাগছে। বিয়ার খাবেন। ব্যবস্থা করে দেবো।
স্থানীয় সচেতন মহল জানায়, পতেঙ্গা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে শক্তিশালী চক্রটি এসব অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিছুদিন থাকার পর উচ্ছেদ হলেও আবার সেখানে এসব দোকান তৈরি করে ব্যবসা চালায় ওই চক্র। প্রতি মাসেই পতেঙ্গা থানার একশ্রেণীর কর্মকর্তার আয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। লোকজন সামাজিক চক্ষুলজ্জার ভয়ে প্রতারিত হওয়ার পরও থানায় মামলা করেন না বলে জানা যায়। বেশির ভাগই চেপে যায় পুরো ঘটনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ওসি কাজী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই এলাকায় কোন ধরনের অপকর্ম হতে দিচ্ছি না। সাগরের পাড় হচ্ছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। এখানে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ চলবে না। যদি কেউ প্রতারণার শিকার হন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জোড়া জুটি গত ১লা জানুয়ারি একান্তে সময় কাটাতে যায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। সেখানে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই তারা নিজেদের আরও আপন করে নিতে ঢুকে পড়ে সমুদ্রের দক্ষিণ পাশে গড়ে ওঠা একটি টংয়ের দোকানে। দুই ঘণ্টা সময় কাটানোর পর মেয়েটি ও ছেলেটির বিভিন্ন অন্তরঙ্গ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে এক কর্মচারী। বিষয়টি হঠাৎ প্রেমিক-প্রেমিকার নজরে এলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আশপাশের কিছু লোক এগিয়ে এসে তাদের চিৎকার না দেয়ার নির্দেশ দেন। এই সময় এক ব্যক্তি বলেন, আপনারা এখানে খারাপ কাজ করবেন। আর আমরা ভিডিও করলে দোষ। চুপচাপ ৫০০০ টাকা বিল দিয়ে চলে যান। এই কথা শুনে ছেলেটি ও মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়লে তাদের কাছ থেকে পুরো টাকাটা আদায় করে ওই সিন্ডিকেটের লোকজন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছেলেটি নিজের নাম মনসুর আহমেদ বলে প্রকাশ করতে রাজি হন। তিনি বলেন, ঘটনাটি এমনভাবে হয়েছে যে এখন থানায় গিয়ে মামলা করতে ভয় পাচ্ছি। কারণ, যদি বাসার লোকজন জেনে যায় তাহলে মহাবিপদ হবে। তাছাড়া মেয়েটির সামাজিক মর্যাদাও ক্ষুণ্ন হবে। আমরা ঠিক করেছি বিচে আর যাব না। সরজমিনে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাড়ে গড়ে ওঠা দোকানগুলোয় প্রবেশ করে দেখা যায়, সেখানকার বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে ১৫-৩০ বছরের ছেলে মেয়ে। এসব দোকান স্থানীয়ভাবে প্রেমলীলা বলে পরিচিত তরুণ-তরুণীদের কাছে। এখানকার একেকটি বেঞ্চে যে কেউ চাইলে শুয়ে বসে কাটাতে পারবেন। রয়েছে কেবিন দিয়ে আলাদা কক্ষ। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই আসলে ভেতরে কি হচ্ছে। জানতে চাইলে দিদারুল আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার দোকানের কোন নাম নেই। দিদারের হোটেল বললে যে কেউ চিনিয়ে দেবে। যখন যা খুশি লাগলে বলবেন। মদ, বিয়ার, হুইস্কি, রাম সবই আছে। সমুদ্রের দুই ধারেই রয়েছে এসব প্রেমলীলা। উত্তর পাশের একটি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অন্তরঙ্গ অবস্থায় বসে আছে ১০-১২টি জুটি। যারা প্রকাশ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনে মগ্ন। দোকানের কর্মচারী আবছার দৌড়ে এসে বলেন, স্যার কি লাগবে। দুপুর পর্যন্ত সব বুকিং। ওরা গেলে তারপর আপনারা বসতে পারবেন। কয়জন আছেন বলে যান। খাবার দাবার তৈরি হওয়ার আগে বিচ থেকে একটু ঘুরে আসেন। তারপর এখানে আসলে দেখবেন গরম লাগছে। বিয়ার খাবেন। ব্যবস্থা করে দেবো।
স্থানীয় সচেতন মহল জানায়, পতেঙ্গা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে শক্তিশালী চক্রটি এসব অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিছুদিন থাকার পর উচ্ছেদ হলেও আবার সেখানে এসব দোকান তৈরি করে ব্যবসা চালায় ওই চক্র। প্রতি মাসেই পতেঙ্গা থানার একশ্রেণীর কর্মকর্তার আয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। লোকজন সামাজিক চক্ষুলজ্জার ভয়ে প্রতারিত হওয়ার পরও থানায় মামলা করেন না বলে জানা যায়। বেশির ভাগই চেপে যায় পুরো ঘটনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ওসি কাজী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই এলাকায় কোন ধরনের অপকর্ম হতে দিচ্ছি না। সাগরের পাড় হচ্ছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। এখানে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ চলবে না। যদি কেউ প্রতারণার শিকার হন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।’
No comments