পুলিশ প্রধানের বক্তব্য ধৃষ্টতাপূর্ণ- বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে: ২০ দল
বিজয়
অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে
২০ দলীয় জোট। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়। ২০ দলীয় জোট
নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি এবং বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের আটককৃত নেতাকর্মীদের
নিঃশর্ত মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি
জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর
থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্রমাগতভাবে মানুষের অধিকারগুলো
সংকুচিত করেছে। বিশেষভাবে গণতন্ত্রে যে বিরোধী দলের বিশেষ একটি জায়গা আছে
সেটিকে তারা কখনই বিশ্বাস করেনি। গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের সকল
কর্মকান্ডকে বানচাল করতে তারা দমননীতি অবলম্বন করেছে। তাদের দমননীতি
অমানবিক, মধ্যযুগীয় এবং নাজি ফ্যাসিষ্টদের সমতুল্য। শুধুমাত্র কথা বলা,
সভা, সমাবেশের অধিকারগুলোই তারা হরণ করেনি বরং নাজিদের কায়দায় বিরোধী দলের
নেতৃবৃন্দকে অবরুদ্ধ, কারারুদ্ধ, মিথ্যা মামলাতেই জড়ানো হয়নি, অনেককে
পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমাজের
নানাস্তরের মানুষসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম,
গুপ্তহত্যা ও ক্রসফায়ারের নির্মম শিকার হতে হয়েছে। ফলে এই পৈশাচিক
দুঃশাসনকে মোকাবিলা করার জন্য ২০ দলীয় জোট গঠন হওয়ার পর থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে
মানুষের হারানো অধিকার পুনঃরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের
অসংখ্য নেতাকর্মীদের হত্যা করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর আওয়ামী
মহাজোট সরকার অবৈধ একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে আরো বেশি নির্দয় ও
নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানুষের ভোটাধিকার পুনঃরুদ্ধার, বাক, ব্যক্তি ও সমাবেশের অধিকার আদায়, সর্বত্র নিরাপত্তাহীনতা থেকে দেশের মানুষের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দূরীভুত করতে গণমানুষের অবরোধ কর্মসূচির ওপর সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর কাপুরোষোচিত বর্বর হামলার নিদর্শনগুলো দেখলে মনে হয় সরকার মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ২০ দলীয় জোট নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ১৪ দিন ধরে নিজ কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ রেখে কার্যালয়ের চারিদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ইট, বালু, কাঠের ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং দেশব্যাপী শত সহস্র নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখা, হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, এজেন্টদের দিয়ে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে পরিকল্পিত নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো, প্রকাশ্যে বুকে গুলি করার নির্দেশ ইত্যাদি ভয়ংকর পরিস্থিতি এখন এদেশে বিরাজমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষ্ঠুর কর্মযজ্ঞে নামানো হয়েছে দলীয় চেতনায় উজ্জীবিত বেশকিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের। আর এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে বেসামাল দলীয় ক্যাডারদের। যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে যৌথবাহিনী আওয়ামী প্রতিহিংসার চেতনা নিয়ে ছাত্রদলের এক নেতাকে হত্যা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন দিয়ে ছারখার করে দিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৩রা জানুয়ারী থেকে অবরুদ্ধ করার পর থেকে সারাদেশে চালানো হচ্ছে হিংস্র তান্ডব, রক্ত ঝরানো হচ্ছে বিভিন্ন জনপদে। এ ছাড়া দেশের প্রখ্যাত কূটনীতিক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রিয়াজ রহমানও এই দুঃশাসনের ছোবল থেকে রেহাই পাননি। ক্ষমতাসীনদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যৌথবাহিনীর পাশাপাশি এখন নাকি সেনাবাহিনীও নামবে। বিবৃতিতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী এবং সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে একটি প্রশ্ন রেখে বলা হয়, তারা কী ৫ শতাংশ ভোটের অবৈধ সরকারের নির্দেশ শুনবে নাকি ৯৫ শতাংশ মানুষের পক্ষে থাকবে? এদেশে অত্যাচারীরা কোনোদিনই টিকতে পারেনি। বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে আরো বলা হয়, তারা যেন ক্ষমতাসীন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রতিশোধবাসনার যন্ত্রে পরিণত না হন, কারণ এ দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের বেতন নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অগ্রহণযোগ্য ও নিষ্ঠুর দুর্ব্যবহারের কবলে গোটা জাতি আজ অপমানিত। বৃহস্পতিবার বিজিবি মহাপরিচালক এবং শুক্রবার মহাপুলিশ পরিদর্শকের বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত ও হতবাক করেছে।
ঔদ্ধতপূর্ণ এবং এখতিয়ার বহির্ভুত এই বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিজিবির হাতে মারণাস্ত্র জনগণের টাকায় কেনা। এটি কোন দল বা ব্যক্তির প্রাইভেট বাহিনী নয়। পুলিশের আইজি বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে মনে হয় একজন ছাত্রলীগের নেতা পুলিশের পোশাক পরে বক্তব্য রাখছে। পুলিশের আইজির বক্তব্য নজীরবিহীন ও চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। তাদের মনে রাখা উচিস কোন অপকর্মই কখনও চিরদিনের জন্য মাটিচাপা থাকে না। জনগণ সকল ঔদ্ধত্য, অহংকার এবং নিষ্ঠুর অনাচরের বিচার করবেই। ২০ দলীয় জোট বিজিবির মহাপরিচালক এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের এখতিয়ার বহির্ভুত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানুষের ভোটাধিকার পুনঃরুদ্ধার, বাক, ব্যক্তি ও সমাবেশের অধিকার আদায়, সর্বত্র নিরাপত্তাহীনতা থেকে দেশের মানুষের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দূরীভুত করতে গণমানুষের অবরোধ কর্মসূচির ওপর সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর কাপুরোষোচিত বর্বর হামলার নিদর্শনগুলো দেখলে মনে হয় সরকার মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ২০ দলীয় জোট নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ১৪ দিন ধরে নিজ কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ রেখে কার্যালয়ের চারিদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ইট, বালু, কাঠের ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং দেশব্যাপী শত সহস্র নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখা, হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, এজেন্টদের দিয়ে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে পরিকল্পিত নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো, প্রকাশ্যে বুকে গুলি করার নির্দেশ ইত্যাদি ভয়ংকর পরিস্থিতি এখন এদেশে বিরাজমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষ্ঠুর কর্মযজ্ঞে নামানো হয়েছে দলীয় চেতনায় উজ্জীবিত বেশকিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের। আর এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে বেসামাল দলীয় ক্যাডারদের। যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে যৌথবাহিনী আওয়ামী প্রতিহিংসার চেতনা নিয়ে ছাত্রদলের এক নেতাকে হত্যা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন দিয়ে ছারখার করে দিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৩রা জানুয়ারী থেকে অবরুদ্ধ করার পর থেকে সারাদেশে চালানো হচ্ছে হিংস্র তান্ডব, রক্ত ঝরানো হচ্ছে বিভিন্ন জনপদে। এ ছাড়া দেশের প্রখ্যাত কূটনীতিক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রিয়াজ রহমানও এই দুঃশাসনের ছোবল থেকে রেহাই পাননি। ক্ষমতাসীনদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যৌথবাহিনীর পাশাপাশি এখন নাকি সেনাবাহিনীও নামবে। বিবৃতিতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী এবং সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে একটি প্রশ্ন রেখে বলা হয়, তারা কী ৫ শতাংশ ভোটের অবৈধ সরকারের নির্দেশ শুনবে নাকি ৯৫ শতাংশ মানুষের পক্ষে থাকবে? এদেশে অত্যাচারীরা কোনোদিনই টিকতে পারেনি। বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে আরো বলা হয়, তারা যেন ক্ষমতাসীন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রতিশোধবাসনার যন্ত্রে পরিণত না হন, কারণ এ দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের বেতন নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অগ্রহণযোগ্য ও নিষ্ঠুর দুর্ব্যবহারের কবলে গোটা জাতি আজ অপমানিত। বৃহস্পতিবার বিজিবি মহাপরিচালক এবং শুক্রবার মহাপুলিশ পরিদর্শকের বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত ও হতবাক করেছে।
ঔদ্ধতপূর্ণ এবং এখতিয়ার বহির্ভুত এই বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিজিবির হাতে মারণাস্ত্র জনগণের টাকায় কেনা। এটি কোন দল বা ব্যক্তির প্রাইভেট বাহিনী নয়। পুলিশের আইজি বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে মনে হয় একজন ছাত্রলীগের নেতা পুলিশের পোশাক পরে বক্তব্য রাখছে। পুলিশের আইজির বক্তব্য নজীরবিহীন ও চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। তাদের মনে রাখা উচিস কোন অপকর্মই কখনও চিরদিনের জন্য মাটিচাপা থাকে না। জনগণ সকল ঔদ্ধত্য, অহংকার এবং নিষ্ঠুর অনাচরের বিচার করবেই। ২০ দলীয় জোট বিজিবির মহাপরিচালক এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের এখতিয়ার বহির্ভুত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
No comments