সহিংসতা হলে টক শো ওয়ালারা কি করতেন?
বিএনপি’র
ভুলের খেসরাত জনগণ দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল
হক। বলেছেন, যারা টকশো করেন তারা বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন। কারণ তারা
কি বলছেন তা নিজেরাই জানেন না। ৫ই জানুয়ারি সমাবেশ করতে দিলে যদি হত্যা,
ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হতো, তখন টক- শোওয়ালারা কী করতেন? এর দায় পড়তো সরকারের
ওপর। শুক্রবার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
সন্ত্রাস ও নাশকতা রোধে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন। বিএনপি’র উদ্দেশে পুলিশের আইজি বলেন, একটা দলের প্রধান তিনি
যদি বেআইনি কাজ করেন তার কাছ থেকে জনগণ কি চাইবে। আপনারা ভোট প্রতিরোধ
করলেন, ভোটকেন্দ্রে লোক আসতে দিলেন না। ভোটের কেন্দ্রগুলো যেখান স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসা ছিল সেগুলো পুড়িয়ে দিলেন। মানুষ মারলেন, প্রিজাইডিং অফিসার,
জনগণকে ভোটের অধিকার দিলেন না। কেন? ভুল আপনারা করছেন, জনগণ খেসারত দিবে?
তা এই দেশে আমরা করতে দেবো না ইনশাআল্লাহ্। তিনি আরও বলেন, আমরা
গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে, আমরা নির্বাচিত সরকারের পক্ষে শেষ রক্তবিন্দু
দিয়ে কাজ করে যাবো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। কোন অপশক্তি, কোন সন্ত্রাসী বাংলার
মাটিতে কখনও তাদের অশুভ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ্ সেটা
আমরা নির্মূল করে ছাড়বো।
পুলিশের আইজিপি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ৫ই জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আন্দোলনের নামে ২৪ জনকে হত্যা করা করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। তাদের কৌশল মারো এবং পালিয়ে যাও। মুক্তিযুদ্ধে গেরিলারা হানাদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা করেছিলাম। তারা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে? তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে অন্দোলনের নামে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নাশকতা নির্মূলে কাজ করে যাবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করা হবে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিগুলোর দুর্বলতার কারণে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে মানবতা বিরোধী, সন্ত্রাসী, দেশ ও জনগণের শত্রুদের রুখতে হবে। অবরোধ আর হরতাল সংবিধান পরিপন্থি। হরতাল আর অবরোধের নামে যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। শুধু মিথ্যাচার করছে। এই অপশক্তিকে নির্মূল করতে হলে পুলিশের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শহীদুল হক বলেন, এখানে নাকি মহিলাদের ব্যবহার করা হয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। সেই বেগম রোকেয়ার জন্মভূমিতে আপনি যদি মৌলবাদীদের দোসর হয়ে যান, এর চেয়ে দুঃখের কিছু থাকতে পারে না। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সারা দেশের মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। সন্ত্রাসের মূল উৎপাটন করতে হবে।
জ্বালাও-পোড়াও হরতাল ও অবরোধকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের কোথাও লেখা নেই গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে হরতাল ও অবরোধ দিয়ে মানুষ মারা ও জনগণের সম্পদ নষ্ট করতে হবে। হরতাল-অবরোধের মতো সংবিধান পরিপন্থি কাজ করে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। সংবিধানে রয়েছে প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সমাবেশ করার অনুমতি।
বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি অনুমতি চাওয়ার এক মাস আগে ৫ই জানুয়ারির অনুমতি নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরে বিএনপি অনুমতি চায়। দু’দলকে একসঙ্গে অনুমতি দিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল তাই কাউকেই অনুমতি দেয়া হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ছিল ৫ই জানুয়ারি বিএনপি সমাবেশের নামে নাশকতা করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর মানুষ একবছর শান্তিতে ছিল। দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছিল। দারিদ্র্যতা কমেছে। স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে তারা অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এসব আর সহ্য করা হবে না। রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিভাগীয় কমিশনার মুহম্মদ দিলোয়ার বখত, ডিআইজি (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদার রহমান, মিঠাপুকুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জায়গীরহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তোজাম্মেল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক, মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এর আগে মিঠাপুকুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ে বাসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত রহিম বাদশা ও তার মা রহিমা বেগমের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হাসি বেগমকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন । গত ১৩ই জানুয়ারি রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর বাতাসন ফতেপুর নামকস্থানে খলিল এক্সক্লুসিভ পরিবহনের একটি নৈশ কোচে দুর্বৃত্তরা পেট্রল হামলা করে। এতে শিশুসহ ৫ যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশের আইজিপি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ৫ই জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আন্দোলনের নামে ২৪ জনকে হত্যা করা করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। তাদের কৌশল মারো এবং পালিয়ে যাও। মুক্তিযুদ্ধে গেরিলারা হানাদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা করেছিলাম। তারা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে? তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে অন্দোলনের নামে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নাশকতা নির্মূলে কাজ করে যাবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করা হবে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিগুলোর দুর্বলতার কারণে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে মানবতা বিরোধী, সন্ত্রাসী, দেশ ও জনগণের শত্রুদের রুখতে হবে। অবরোধ আর হরতাল সংবিধান পরিপন্থি। হরতাল আর অবরোধের নামে যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। শুধু মিথ্যাচার করছে। এই অপশক্তিকে নির্মূল করতে হলে পুলিশের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শহীদুল হক বলেন, এখানে নাকি মহিলাদের ব্যবহার করা হয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। সেই বেগম রোকেয়ার জন্মভূমিতে আপনি যদি মৌলবাদীদের দোসর হয়ে যান, এর চেয়ে দুঃখের কিছু থাকতে পারে না। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সারা দেশের মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। সন্ত্রাসের মূল উৎপাটন করতে হবে।
জ্বালাও-পোড়াও হরতাল ও অবরোধকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের কোথাও লেখা নেই গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে হরতাল ও অবরোধ দিয়ে মানুষ মারা ও জনগণের সম্পদ নষ্ট করতে হবে। হরতাল-অবরোধের মতো সংবিধান পরিপন্থি কাজ করে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। সংবিধানে রয়েছে প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সমাবেশ করার অনুমতি।
বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি অনুমতি চাওয়ার এক মাস আগে ৫ই জানুয়ারির অনুমতি নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরে বিএনপি অনুমতি চায়। দু’দলকে একসঙ্গে অনুমতি দিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল তাই কাউকেই অনুমতি দেয়া হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ছিল ৫ই জানুয়ারি বিএনপি সমাবেশের নামে নাশকতা করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর মানুষ একবছর শান্তিতে ছিল। দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছিল। দারিদ্র্যতা কমেছে। স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে তারা অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এসব আর সহ্য করা হবে না। রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিভাগীয় কমিশনার মুহম্মদ দিলোয়ার বখত, ডিআইজি (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদার রহমান, মিঠাপুকুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জায়গীরহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তোজাম্মেল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক, মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এর আগে মিঠাপুকুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ে বাসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত রহিম বাদশা ও তার মা রহিমা বেগমের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হাসি বেগমকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন । গত ১৩ই জানুয়ারি রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর বাতাসন ফতেপুর নামকস্থানে খলিল এক্সক্লুসিভ পরিবহনের একটি নৈশ কোচে দুর্বৃত্তরা পেট্রল হামলা করে। এতে শিশুসহ ৫ যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
No comments