আটকের পর গুলিতে কানসাটে ছাত্রদল নেতা নিহত by মো. তারেক রহমান
যৌথবাহিনীর
অভিযানের মধ্যে র্যাবের হাতে আটকের পর চাঁপাই নবাবগঞ্জের কানসাটে এক
ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত মতিউর রহমান শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর
ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন। বিএনপির দাবি, আটকের পর তাকে
পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড এবং যৌথবাহিনীর অভিযানের
প্রতিবাদে রবি ও সোমবার রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
অন্যদিকে র্যাবের দাবি, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে আটকের পর তাকে নিয়ে গেলে
সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোলাগুলির মধ্যে মতিউর নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল
থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব। এদিকে,
মতিউর নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তার বৃদ্ধ নানা ভোগু বিশ্বাস মারা গেছেন।
গতকাল বেলা ১টার দিকে তিনি মারা যান।
র্যাব-৫ চাঁপাই নবাবগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান পাভেল জানান, বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় শ্যামপুর নারী কল্যাণ স্কুলের কাছ থেকে মতিউর, হজরত ও শ্যামলকে আটক করা হয়। আটককৃত হজরত শিবগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের তৈয়মুর রহমানের ছেলে ও শ্যামল জহুরপুর এলাকার মুখার্জির ছেলে। র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, শিবগঞ্জের কানসাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, ট্রাকে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত। মেজর কামরুজ্জামান পাভেলের দাবি, পরে মতিউরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার সময় কানসাট বাজার এলাকায় গেলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থান করা মতিউরের সহযোগীরা র্যাবের ওপর গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আটককৃত মতিউর পালানোর চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মতিউর নিহত হয়। পরে মতিউরের লাশ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার দুপুরে নিহত মতিউর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাই নবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আটককৃত হজরত ও শ্যামল এখনও র্যাবের হেফাজতে রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
ওদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক কুইজ জানান, নিহত মতিউর রহমান শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং কানসাট সোলেমান ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিঞা বলেন, মতিউর রহমানকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা বা একটি জিডিও নেই। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র সাজানো নাটক মাত্র। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আইনশৃঙ্খলার নামে হত্যাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, শিবগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে যৌথবাহিনী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। এমনকি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকেই পুরো শিবগঞ্জে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল সকালে উপজেলার মুসলিমপুর, ধোবড়া, শ্যামপুর, কানসাট ও রসুলপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। গ্রামগুলোয় নেই মানুষজনের আনাগোনা। নারীরা নিজ নিজ বাড়িতে এক রকম অবরুদ্ধ প্রায়। তারাও জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। মুসলিমপুর গ্রামের সুলতানা বেগম নামে এক বৃদ্ধা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বাবারে হামার বাড়িতে কোন ব্যাটা ছাইলা (ছেলে মানুষ) নাই। বাড়িতে কোন বাজার নাই, দোকানপাট সব বন্ধ, কি খাইয়া বাঁচবো। হামরা সরকারের কাছে কিছু চাহি না, শুধু একটু শান্তি চাহি।’ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই সব এলাকার হাটবাজার, দোকানপাট ও সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
র্যাব-৫ চাঁপাই নবাবগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান পাভেল জানান, বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় শ্যামপুর নারী কল্যাণ স্কুলের কাছ থেকে মতিউর, হজরত ও শ্যামলকে আটক করা হয়। আটককৃত হজরত শিবগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের তৈয়মুর রহমানের ছেলে ও শ্যামল জহুরপুর এলাকার মুখার্জির ছেলে। র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, শিবগঞ্জের কানসাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, ট্রাকে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত। মেজর কামরুজ্জামান পাভেলের দাবি, পরে মতিউরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার সময় কানসাট বাজার এলাকায় গেলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থান করা মতিউরের সহযোগীরা র্যাবের ওপর গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আটককৃত মতিউর পালানোর চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মতিউর নিহত হয়। পরে মতিউরের লাশ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার দুপুরে নিহত মতিউর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাই নবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আটককৃত হজরত ও শ্যামল এখনও র্যাবের হেফাজতে রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
ওদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক কুইজ জানান, নিহত মতিউর রহমান শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং কানসাট সোলেমান ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিঞা বলেন, মতিউর রহমানকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা বা একটি জিডিও নেই। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র সাজানো নাটক মাত্র। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আইনশৃঙ্খলার নামে হত্যাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, শিবগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে যৌথবাহিনী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। এমনকি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকেই পুরো শিবগঞ্জে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল সকালে উপজেলার মুসলিমপুর, ধোবড়া, শ্যামপুর, কানসাট ও রসুলপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। গ্রামগুলোয় নেই মানুষজনের আনাগোনা। নারীরা নিজ নিজ বাড়িতে এক রকম অবরুদ্ধ প্রায়। তারাও জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। মুসলিমপুর গ্রামের সুলতানা বেগম নামে এক বৃদ্ধা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বাবারে হামার বাড়িতে কোন ব্যাটা ছাইলা (ছেলে মানুষ) নাই। বাড়িতে কোন বাজার নাই, দোকানপাট সব বন্ধ, কি খাইয়া বাঁচবো। হামরা সরকারের কাছে কিছু চাহি না, শুধু একটু শান্তি চাহি।’ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই সব এলাকার হাটবাজার, দোকানপাট ও সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
No comments