কনের বয়স ৬০, বরের ১৮
৬০ বছরের আয়েশা বিয়ে করলেন। এটা তার
দ্বিতীয় বিয়ে। বরের বয়স ১৮। নাম আবু সাঈদ। অনেকে তাকে আবু বলে ডাকে। বিয়ের
আগে আয়েশাও তাকে এ নামেই ডেকেছে। ভাগ্যের লেখা দু’জনের মধ্যে পরিচয় এরপর
প্রেম বিয়ে। আয়েশা চায়ের দোকানি। হালুয়াঘাট সদরের রাংরাপাড়া একাডেমি মোড়ে
তার চা দোকান। এলাকাবাসী জানায়, আয়েশা বেগম রাংরাপাড়া একাডেমি মোড়ের একজন
চায়ের দোকানি। তার স্বামী প্রায় ১৫ বছর আগে মারা গেছে। আয়েশা বেগমের ২
কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে, কন্যাদের বিয়ে দিয়েছেন, নাতি-নাতনীও রয়েছে।
অপরদিকে আবু সাইদ নলকুড়া গ্রামের রহিমা খাতুনের ছেলে। ছোটবেলায় তার পিতার
মৃত্যু হয়। মানুষের বাড়িতে কাজ করে তার মা রহিমা দিনাতিপাত করে। এলাকাবাসী
জানায়, আবু সাইদ আয়েশার বাড়িতে মাটিকাটার কাজ করত। সেখান থেকে তাদের
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে উক্ত প্রেমের সম্পর্ক জোরালো হলে গত
১৩ই জানুয়ারি তারা ময়মনসিংহ জেলা নোটারি পাবলিকে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিটের
মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে। বৃদ্ধ বয়সে কেন কম বয়সী যুবককে বিয়ে করলেন
জানতে চাইলে, আয়েশা খাতুন বলেন, এ বয়সে আমি একজন আমার মাথার ছাতা খুঁজে
পেয়েছি। আবু সাইদের কাছে এত বুড়ো মহিলাকে বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে সে
জানায় আমার চোখ দিয়ে তো দেখতে পান না, যদি আমার চোখ দিয়ে দেখতেন তাহলে এমন
বলতেন না, আমার ভাল লেগেছে, আমরা ভালবেসে বিয়ে করেছি এখানে বয়স বা দোষের
কি? উৎসুক জনতা বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন এই নবদম্পতিকে দেখতে আসছে। এ
ঘটনায় আয়েশা খাতুনের আত্মীয়স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ ও এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য
সৃষ্টি করেছে।
No comments