প্রেসক্লাব ‘বহিরাগত’মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান
(জাতীয়
প্রেসক্লাবের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বের করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম
লীগ। একপর্যায়ে তারা ফটকের গেটের ওপর দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়।
ছবি: মনিরুল আলম) জাতীয়
প্রেসক্লাব ‘বহিরাগত’মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে
ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক নেতারা। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষকে
প্রেসক্লাব ‘বহিরাগত’মুক্ত করতে হবে। তা না করলে সাধারণ সদস্যরা ব্যবস্থা
নেবেন। তখন উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় তাঁদেরই (প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ) নিতে
হবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ার করেন। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে
প্রেসক্লাবে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য
উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রেসক্লাবের ভেতরে রয়েছেন। সংবাদ
ব্রিফিংয়ে প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেওয়া মির্জা ফখরুলসহ সব রাজনৈতিক
নেতা-কর্মীকে বের করে দিতে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়।
প্রেসক্লাবকে একটি রাজনৈতিক দলের আখড়া বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি
বলেন, এ কারণেই কর্তৃপক্ষ ফখরুলসহ নেতা-কর্মীদের রাতভর আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের জায়গা। এটাকে রাজনৈতিক কার্যালয় হতে
দেব না।’
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, ঢাকা জার্নালিস্ট ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ ব্রিফিংয়ের আগে বেলা একটার দিকে প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে তাঁকে বের করে দেওয়ার দাবিতে প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকেরা। প্রেসক্লাবের দোতলায় তাঁরা মিছিল করেন ও স্লোগান দেন। একই সময় প্রেসক্লাবের মূল ফটকে ফখরুলকে বের করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। প্রেসক্লাবের ভেতরও তাঁরা ঢোকার চেষ্টা করেন।
প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ বলেন, ‘প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের জন্য। এখানে কোনো বহিরাগতের জায়গা নেই। পেশাদার সাংবাদিকেরা এখানে থাকবেন। ভিন্ন মতের হলেও আমরা সহাবস্থান করব। আমরা কোনো লাঠালাঠি, মারামারি চাই না।’ সাংবাদিক নেতাদের মিছিল থেকে ‘রাজাকারের আস্তানা প্রেসক্লাবে হবে না’, ‘প্রেসক্লাবের পবিত্র মাটিতে বহিরাগতের ঠাঁই নাই’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ আগে পৌনে একটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। দলের শতাধিক নেতা-কর্মী প্রেসক্লাবের ফটকে ধাক্কা দেন। ভেতরে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, মির্জা ফখরুলকে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বের করে দিতে হবে। ফটকে ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়। পুলিশকে এ সময় নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। সকালে জানানো হয়, মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বাইরে আসেননি। প্রেসক্লাবের সামনে অনেক পুলিশ রয়েছে।
জানা গেছে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদের ঘরে রয়েছেন মির্জা ফখরুল। ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে রাজপথের কর্মসূচি গতকাল ঢুকে পড়েছিল জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রায় দিনভর সেখানে সরকার-সমর্থক ও বিরোধীদের বিভিন্ন কর্মসূচি, উত্তেজনা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। বেলা আড়াইটার দিকে অনেকটা আকস্মিকভাবে প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল। এর পর থেকে বেলা দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ক্লাবের ভেতরই অবস্থান করছেন। দলীয় সূত্র জানায়, রাতে তিনি গ্রেপ্তার হতে চান না। আজ সকালে গ্রেপ্তার হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাবের ভেতরই তিনি অপেক্ষা করছেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, ঢাকা জার্নালিস্ট ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ ব্রিফিংয়ের আগে বেলা একটার দিকে প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে তাঁকে বের করে দেওয়ার দাবিতে প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকেরা। প্রেসক্লাবের দোতলায় তাঁরা মিছিল করেন ও স্লোগান দেন। একই সময় প্রেসক্লাবের মূল ফটকে ফখরুলকে বের করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। প্রেসক্লাবের ভেতরও তাঁরা ঢোকার চেষ্টা করেন।
প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ বলেন, ‘প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের জন্য। এখানে কোনো বহিরাগতের জায়গা নেই। পেশাদার সাংবাদিকেরা এখানে থাকবেন। ভিন্ন মতের হলেও আমরা সহাবস্থান করব। আমরা কোনো লাঠালাঠি, মারামারি চাই না।’ সাংবাদিক নেতাদের মিছিল থেকে ‘রাজাকারের আস্তানা প্রেসক্লাবে হবে না’, ‘প্রেসক্লাবের পবিত্র মাটিতে বহিরাগতের ঠাঁই নাই’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ আগে পৌনে একটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। দলের শতাধিক নেতা-কর্মী প্রেসক্লাবের ফটকে ধাক্কা দেন। ভেতরে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, মির্জা ফখরুলকে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বের করে দিতে হবে। ফটকে ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়। পুলিশকে এ সময় নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। সকালে জানানো হয়, মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বাইরে আসেননি। প্রেসক্লাবের সামনে অনেক পুলিশ রয়েছে।
জানা গেছে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদের ঘরে রয়েছেন মির্জা ফখরুল। ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে রাজপথের কর্মসূচি গতকাল ঢুকে পড়েছিল জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রায় দিনভর সেখানে সরকার-সমর্থক ও বিরোধীদের বিভিন্ন কর্মসূচি, উত্তেজনা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। বেলা আড়াইটার দিকে অনেকটা আকস্মিকভাবে প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল। এর পর থেকে বেলা দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ক্লাবের ভেতরই অবস্থান করছেন। দলীয় সূত্র জানায়, রাতে তিনি গ্রেপ্তার হতে চান না। আজ সকালে গ্রেপ্তার হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাবের ভেতরই তিনি অপেক্ষা করছেন।
No comments