ব্ল্যাকবক্সের সন্ধানে অভিযান চলছে, আরও লাশ উদ্ধার
(ইন্দোনেশিয়ার জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ারএশিয়ার কিউজেড৮৫০১ ফ্লাইটের বিমানের অন্তত ৩৭ অরোহীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ান উদ্ধারকর্মীরা এ কথা জানিয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, বহু খোঁজাখুঁজি করেও এখন পর্যন্ত বিমানটির জীবিত কোনো আরোহীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ৩২০-২০০ এয়ারবাসটির ভগ্নাবশেষ ও ব্ল্যাকবক্সের সন্ধানে বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটির ভগ্নাবশেষ এখনও অগভীর অঞ্চলে রয়েছে। ওই ভগ্নাবশেষ ও ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা গেলে বিমানটি ধ্বংসের কারণ জানা যাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর বিবিসির।) জাভা
সাগরে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় গতকাল সোমবার এয়ারএশিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ ও ব্ল্যাকবক্সের সন্ধান ও মৃতদেহ উদ্ধারে অভিযান
পুনরায় শুরু হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ধ্বংসাবশেষ ও মৃতদেহ ভেসে দূরে
চলে যাওয়ার আশঙ্কায় অনুসন্ধানের এলাকাও বাড়ানো হয়েছে। খবর বিবিসি,
রয়টার্স ও এএফপির। গত রোববার চারটি মৃতদেহ উদ্ধার ও উড়োজাহাজের একটি বড়
অংশের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া গতকাল তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ
নিয়ে উড়োজাহাজের মোট পাঁচটি বড় অংশের সন্ধান ও ৩৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা
হলো। সন্ধান পাওয়া অংশগুলো এয়ারএশিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির বলে ধারণা
করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর একটি টহল জাহাজের ক্যাপ্টেন
রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গতকাল তাঁরা উড়োজাহাজের একটি অংশের সন্ধান
পেয়েছেন। সেটি এয়ারএশিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের লেজের অংশ বলে ধারণা
করছেন তাঁরা। উড়োজাহাজের ওই অংশেই ব্ল্যাকবক্স থাকে। এয়ারএশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এতে দুজন চালক, পাঁচজন ক্রু সদস্য ও
শিশুসহ ১৫৫ জন যাত্রী ছিল। উদ্ধারকারী কর্মকর্তা সুপ্রিয়াদি বলেন, ‘আজ
আবহাওয়া ভালো থাকায় আরওভিসহ (পানির নিচে চলাচল করা দূরনিয়ন্ত্রিত যান)
অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি ডুবুরিদেরও সমুদ্রতলে আবার
পাঠানো যাবে।’ ব্ল্যাকবক্সসহ বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির সব অংশ উদ্ধারের
ব্যাপারে আশা করছেন সুপ্রিয়াদি। এদিকে গত শনিবার ইন্দোনেশিয়ার
আবহাওয়া সংস্থা (বিএমকেজি) জানায়, প্রাথমিক বিশ্লেষণে তাদের মনে হয়েছে,
বাতাস বরফের মতো ঠান্ডা হওয়ায় উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় এবং
সেটি বিধ্বস্ত হয়। গতকাল তিনটি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে অনুসন্ধান ও
উদ্ধার সংস্থার প্রধান বামবাং সোয়েলিস্তি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত এক
সপ্তাহ খারাপ থাকার পর আবহাওয়া ভালো হলেও পানির নিচে স্রোত এখনো তীব্র। গত
শনিবার উড়োজাহাজটির সম্ভাব্য চারটি অংশ উদ্ধার করা হয়। সবচেয়ে বড়
অংশটির দৈর্ঘ্য ১৮ মিটার এবং প্রস্থ ৫ দশমিক ৪ মিটার। রোববার আরেকটি অংশ
উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধারকারী দল ওই অংশগুলোর কাছে পৌঁছাতে না পারায়
তারা নিশ্চিত করতে পারেনি, ওই অংশগুলো এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটটির।
No comments