অবরোধে আটকে গেছে সবজি
(বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রাকে বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে বাঁধাকপি। ছবি: জাহিদুল করিম) শনিবার
সকালে বাঁধাকপিভর্তি ট্রাক নিয়ে যশোর থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজার এসেছেন
হাফিজুর রহমান। ওই দিন রাতেই তাঁর চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি
খারাপ থাকায় বাঁধাকপি বিক্রি হয়নি, তাই আর যেতেও পারেননি। এখন লাগাতার
অবরোধে আটকে গেছে হাফিজুরের সবজির ব্যবসা। কেবল হাফিজুরই নন, অবরোধে ট্রাক চলাচল অচল হওয়ায় দেশজুড়েই সবজি ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে পণ্য আনতে পারছেন না।
ট্রাকচালক, কারওয়ান বাজারের আড়তদার, শ্রমিক, খুচরা ব্যবসায়ী ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গাড়ি রাখার স্থানের টোল তোলার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য দিনের তুলনায় আজ সকালে সবজিবোঝাই ট্রাক এসেছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা ট্রাকচালক মো. তমেজ উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছাকাছি সমস্যা থাকায় তিনি চার ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছান। তিনি বলেন, ‘রাত একটার সময় আসার কথা, পৌঁছাইছি ফজরের সময়।’
ট্রাকচালক ও আড়তদারদের অভিযোগ, দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা পাইকাররাও আসছেন না। শনিবার থেকে ট্রাক নিয়ে বসে থাকা চালক মো. আলমগীর বলেন, ‘দুই দিন, দুই রাত বইয়াও একগাড়ি মাল বেচা হয় নাই, যে মাল এক রাত্তিরে বেচা যায়।’
আড়তদার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অবস্থা খারাপ থাকায় কাস্টমার কম আসছে। কোনো ঝামেলা না থাকলে ওদের মাল বেচা হতো, তখন তারা মাল নিতে আসত।’
কারওয়ান বাজারের শ্রমিক জহিরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য দিন বোঝা বয়ে দুপুরের মধ্যে তাঁর ৬০০-৭০০ টাকা আয় হয়। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি মাত্র ২০০ টাকা পেয়েছেন।
কারওয়ান বাজারের আড়তদার ও ব্যবসায়ীদরে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে সবজি বেশি আসে মেহেরপুর, যশোর, ঈশ্বরদী, পাবনা, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা থেকে।
আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী, এসব জেলা থেকেও সবজিবোঝাই ট্রাক ছেড়ে আসেনি।
মেহেরপুর: মেহেরপুরের পণ্য পরিবহন সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমানের ভাষ্য, প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০টি ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সবজি নিয়ে যায়। তবে গত দুই দিনে কোনো ট্রাকই ছাড়া হয়নি। ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে একাধিক ব্যবসায়ী সবজির চাহিদা জানিয়ে সবজি পাঠাতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু ট্রাক মালিক সমিতি পরিস্থিতি না বুঝে ট্রাক ছাড়বে না বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে।
ঈশ্বরদী: ঈশ্বরদীর আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই দিন সবজিবোঝাই কোনো ট্রাক ঈশ্বরদী ছাড়েনি। তাঁদের মতে, প্রতিদিন সবজিবোঝাই প্রায় ১৫০টি ট্রাক ঢাকার বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছাড়ে।
পাবনা: জেলার ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রানা বিশ্বাসের ভাষ্য, তাঁদের তালিকাভুক্ত ৪০০টি ট্রাক রয়েছে। অবরোধের কারণে কোনো ট্রাক পাবনা ছাড়েনি। যেগুলো বাইরে ছিল, সেগুলো আর পাবনায় যেতে পারেনি।
যশোর: বাড়িনগর সবজি বাজারের হাট মালিক ফরিদুল ইসলামের ভাষ্য, গতকাল রাতে ২০টির মতো ট্রাক সবজি নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, কারওয়ান বাজার ও হেমায়েতপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। তবে যশোরের ব্যাপারি আতিয়ার রহমান জানান, যে ট্রাকের ভাড়া ছিল দৈনিক ১৮ হাজার টাকা, তা নেওয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার।
চুয়াডাঙ্গা: অবরোধে সবজি ও পানবাহী ট্রাক চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে যায়নি। চুয়াডাঙ্গা ট্রাক বন্দোবস্তকারী অফিসের একজন কর্মী মনির হাসান জানান, প্রতিদিন স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজার ও সরাসরি গ্রাম থেকে অন্তত ১০০ ট্রাক ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছাড়লেও গতকাল রাতে কোনো ট্রাক চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে যায়নি।
ট্রাকচালক, কারওয়ান বাজারের আড়তদার, শ্রমিক, খুচরা ব্যবসায়ী ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গাড়ি রাখার স্থানের টোল তোলার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য দিনের তুলনায় আজ সকালে সবজিবোঝাই ট্রাক এসেছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা ট্রাকচালক মো. তমেজ উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছাকাছি সমস্যা থাকায় তিনি চার ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছান। তিনি বলেন, ‘রাত একটার সময় আসার কথা, পৌঁছাইছি ফজরের সময়।’
ট্রাকচালক ও আড়তদারদের অভিযোগ, দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা পাইকাররাও আসছেন না। শনিবার থেকে ট্রাক নিয়ে বসে থাকা চালক মো. আলমগীর বলেন, ‘দুই দিন, দুই রাত বইয়াও একগাড়ি মাল বেচা হয় নাই, যে মাল এক রাত্তিরে বেচা যায়।’
আড়তদার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অবস্থা খারাপ থাকায় কাস্টমার কম আসছে। কোনো ঝামেলা না থাকলে ওদের মাল বেচা হতো, তখন তারা মাল নিতে আসত।’
কারওয়ান বাজারের শ্রমিক জহিরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য দিন বোঝা বয়ে দুপুরের মধ্যে তাঁর ৬০০-৭০০ টাকা আয় হয়। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি মাত্র ২০০ টাকা পেয়েছেন।
কারওয়ান বাজারের আড়তদার ও ব্যবসায়ীদরে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে সবজি বেশি আসে মেহেরপুর, যশোর, ঈশ্বরদী, পাবনা, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা থেকে।
আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী, এসব জেলা থেকেও সবজিবোঝাই ট্রাক ছেড়ে আসেনি।
মেহেরপুর: মেহেরপুরের পণ্য পরিবহন সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমানের ভাষ্য, প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০টি ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সবজি নিয়ে যায়। তবে গত দুই দিনে কোনো ট্রাকই ছাড়া হয়নি। ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে একাধিক ব্যবসায়ী সবজির চাহিদা জানিয়ে সবজি পাঠাতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু ট্রাক মালিক সমিতি পরিস্থিতি না বুঝে ট্রাক ছাড়বে না বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে।
ঈশ্বরদী: ঈশ্বরদীর আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই দিন সবজিবোঝাই কোনো ট্রাক ঈশ্বরদী ছাড়েনি। তাঁদের মতে, প্রতিদিন সবজিবোঝাই প্রায় ১৫০টি ট্রাক ঢাকার বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছাড়ে।
পাবনা: জেলার ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রানা বিশ্বাসের ভাষ্য, তাঁদের তালিকাভুক্ত ৪০০টি ট্রাক রয়েছে। অবরোধের কারণে কোনো ট্রাক পাবনা ছাড়েনি। যেগুলো বাইরে ছিল, সেগুলো আর পাবনায় যেতে পারেনি।
যশোর: বাড়িনগর সবজি বাজারের হাট মালিক ফরিদুল ইসলামের ভাষ্য, গতকাল রাতে ২০টির মতো ট্রাক সবজি নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, কারওয়ান বাজার ও হেমায়েতপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। তবে যশোরের ব্যাপারি আতিয়ার রহমান জানান, যে ট্রাকের ভাড়া ছিল দৈনিক ১৮ হাজার টাকা, তা নেওয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার।
চুয়াডাঙ্গা: অবরোধে সবজি ও পানবাহী ট্রাক চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে যায়নি। চুয়াডাঙ্গা ট্রাক বন্দোবস্তকারী অফিসের একজন কর্মী মনির হাসান জানান, প্রতিদিন স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজার ও সরাসরি গ্রাম থেকে অন্তত ১০০ ট্রাক ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছাড়লেও গতকাল রাতে কোনো ট্রাক চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে যায়নি।
No comments