‘গুরুতর’ অসুস্থ খালেদা, খালেদাকে রক্ষা করা হাসিনার দায়িত্ব: -নাসিম
গুলশানের
নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিএনপি
চেয়ারপারসন ও ২০দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকে
দুইবার বমি করেছেন তিনি। দিনভর ছিল বমি বমি ভাব। চোখ ও নাক দিয়ে ঝরছে পানি।
মাথা ব্যথা ও জ্বালা-পোড়া করছে শরীর। শ্বাসকষ্ট ও ঘন ঘন কাশি হচ্ছে। এমন
পরিস্থিতিতে শারীরিক সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা
জিয়া। সোমবার বিকালে তার গাড়ি লক্ষ্য করে পুলিশের ছোড়া পিপার স্প্রেতে তিনি
অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল।
খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ
মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণে তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাত
আটটার দিকে গুলশান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন প্রেস সচিব। তিনি
বলেন, ৫ই জানুয়ারি নিরাপত্তার নামে ‘অবরুদ্ধ’ খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে
পুলিশ ভয়ঙ্কর পিপার স্প্রে করেছিল। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষ অবলোকন করেছে।
এরপর থেকেই দেশের নানা প্রান্তে থাকা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খালেদা
জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। এরই প্রেক্ষিতে
খালেদা জিয়ার নির্দেশক্রমে দেশবাসীকে জানাচ্ছি, তার শারীরিক অবস্থা খুব
একটা ভাল নেই। মারুফ কামাল বলেন, সকাল থেকে দুইবার বমি করেছেন খালেদা জিয়া।
এছাড়া, সারাদিন তার বমি বমি ভাব অব্যাহত ছিল। ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুনুর
রহমান মামুনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসনকে
অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেয়া হচ্ছে। দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার চিকিৎসা
করছেন। খালেদা জিয়ার চোখ এবং নাক দিয়ে পানি ঝরছে। তার শরীর জ্বালা-পোড়া
করছে। মারুফ কামাল বলেন, এর আগে শিক্ষকদের ওপর এই পিপার স্প্রে করা হয়েছিল।
কয়েকজন আহতসহ একজন শিক্ষক পিপার স্প্রের যন্ত্রণায় নিহতও হয়েছিলেন। এর
প্রেক্ষিতে এই স্প্রে ব্যবহার না করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশও আছে।
হাইকোর্টের এ নির্দেশ অমান্য করে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের
বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসনকে লক্ষ্য করে পিপার স্প্রে করা হয়েছে।
আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য
দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি। রাতে গুলশানের অবরুদ্ধ কার্যালয়ের ভেতরে যে
ক’জন সাংবাদিক রয়েছেন, তারাই এ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। বাইরে থেকে কোন
সাংবাদিককে পুলিশ প্রবেশ করতে দেয়নি।
খালেদাকে রক্ষা করা হাসিনার দায়িত্ব: নাসিম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, শেখ হাসিনার দায়িত্ব খালেদা জিয়াকে রক্ষা করা। তাঁর ওপর যদি হামলা হতো, এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হতো। তাঁর নিরাপত্তার কারণেই তাঁকে বের হতে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনের বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ২৫০ ব্যাগ রক্ত দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যদি রাস্তায় নেমে পড়তেন, পুলিশ হয়তো থাকবে, তাঁর সঙ্গে হয়তো কিছু লোকজনও থাকত। এর মধ্যে একজন যদি ঢুকে পড়ে তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) আঘাত করে, তবে দায়ী হবে আমাদের সরকার। এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করা একজন খুনি ভারতের বীরভূমে ধরা পড়ে। এর আগে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গিয়ে ২১ আগস্ট ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশে যেকোনো জিনিস হতে পারে। আমাকে যদি গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, তাদের কাছে ইনফরমেশন আছে যে একজন নেত্রীকে হত্যা করে এ দেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করা হবে, এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হবে, তবে আমরা তা বিশ্বাস করব না কেন বলুন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একজন দায়িত্ববান নেত্রী যদি এভাবে আঘাতের সম্মুখীন হন, তবে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের নয় কি? কার ভরসায় আমরা তাঁকে ছেড়ে দেব। তাঁর নেতা-কর্মীরা কেউ এখন নেই। এখন শেখ হাসিনার দায়িত্ব খালেদা জিয়াকে রক্ষা করা।’ তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় খালেদা জিয়া যেভাবে পরাজিত হয়েছেন, আন্দোলনের মাঠেও তিনি পরাজিত। যুদ্ধ ক্ষেত্রে যখন সেনাপতি অস্ত্র হাতে নেমে যান, তখন বোঝা যায় আর কোনো সৈনিক অবশিষ্ট নেই। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এ বি তাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এনামুল হক, মাহমুদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
খালেদাকে রক্ষা করা হাসিনার দায়িত্ব: নাসিম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, শেখ হাসিনার দায়িত্ব খালেদা জিয়াকে রক্ষা করা। তাঁর ওপর যদি হামলা হতো, এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হতো। তাঁর নিরাপত্তার কারণেই তাঁকে বের হতে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনের বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ২৫০ ব্যাগ রক্ত দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যদি রাস্তায় নেমে পড়তেন, পুলিশ হয়তো থাকবে, তাঁর সঙ্গে হয়তো কিছু লোকজনও থাকত। এর মধ্যে একজন যদি ঢুকে পড়ে তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) আঘাত করে, তবে দায়ী হবে আমাদের সরকার। এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করা একজন খুনি ভারতের বীরভূমে ধরা পড়ে। এর আগে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গিয়ে ২১ আগস্ট ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশে যেকোনো জিনিস হতে পারে। আমাকে যদি গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, তাদের কাছে ইনফরমেশন আছে যে একজন নেত্রীকে হত্যা করে এ দেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করা হবে, এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হবে, তবে আমরা তা বিশ্বাস করব না কেন বলুন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একজন দায়িত্ববান নেত্রী যদি এভাবে আঘাতের সম্মুখীন হন, তবে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের নয় কি? কার ভরসায় আমরা তাঁকে ছেড়ে দেব। তাঁর নেতা-কর্মীরা কেউ এখন নেই। এখন শেখ হাসিনার দায়িত্ব খালেদা জিয়াকে রক্ষা করা।’ তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় খালেদা জিয়া যেভাবে পরাজিত হয়েছেন, আন্দোলনের মাঠেও তিনি পরাজিত। যুদ্ধ ক্ষেত্রে যখন সেনাপতি অস্ত্র হাতে নেমে যান, তখন বোঝা যায় আর কোনো সৈনিক অবশিষ্ট নেই। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এ বি তাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এনামুল হক, মাহমুদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments