প্রেস ক্লাবে হামলা, সংঘর্ষ
৫ই জানুয়ারি রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের একটি অনুষ্ঠানে হামলা করেছে প্রজন্ম লীগ। বিকাল ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। পেশাজীবী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বেলা পৌনে তিনটার দিকে প্রেস ক্লাবে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সময় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি সাংবাদিকদের একটি সমাবেশ চলছিল। পেশাজীবীদের সমাবেশের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানসহ কয়েকজন প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়াম থেকে বের হন। এ সময় প্রেস ক্লাবের বাইরে অবস্থানকারী প্রজন্ম লীগ, ছাত্রলীগের নেতকার্মীরা গেইট টপকে লাঠিসোটা নিয়ে ভেতরে ঢুকে। হামলাকারীদের মাথায় প্রজন্ম লীগ লেখা সবুজ রঙের কাপড় বাঁধা ছিল। তারা ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে শুরু করেন। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে প্রেস ক্লাবের সামনে। তখন মির্জা আলমগীরসহ অন্য নেতারা প্রেস ক্লাব ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে প্রেস ক্লাবের ভেতরে অবস্থানরত বিএনপি সমর্থক সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের ওপর সরকার সমর্থকরা চড়াও হলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট সংঘর্ষের পর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুুরুল আহসান বুলবুলসহ সরকার সমর্থক সাংবাদিক নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইকবাল সোবহানের নেতৃত্বে একটি দল প্রেস ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের সঙ্গে আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন। পরে আওয়ামী লীগপন্থি সাংবাদিকদের সমাবেশে বক্তব্যে ইকবাল সোবহান বলেন, প্রেস ক্লাব শুধু সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্থান। এখানে রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে যারা এসেছেন তাদের চলে যেতে অনুরোধ করছি। তিনি বলেন, তাদের (বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের) বারবার বলার পরও তারা আমাদের কথা না শুনে বহিরাগতদের নিয়ে এ প্রেস ক্লাবকে অপবিত্র করেছে। আমরা কেউ চাই না প্রেস ক্লাব দলীয় কর্মসূচির জায়গায় পরিণত হোক। প্রেস ক্লাবের যে মর্যাদা রয়েছে তা আমরা সকলে ধরে রাখতে চাই। তার এই বক্তব্যের পর লাঠিসোটা হাতে অনেককে প্রেস ক্লাব থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রেস ক্লাবে একই সময় বিএনপি ও আওয়ামীপন্থি সাংবাদিকরা আলাদা আলাদা জায়গায় সমাবেশ করছিলেন।
একই সময় প্রেস ক্লাবের ভেতরে নাগরিক ঐক্যের একটি আলোচনা সভা চলছিল। সামনে মূল গেইট বন্ধ করে অবস্থান করছিল বাংলাদেশ প্রজন্ম লীগ নামে একটি সংগঠনের কয়েক শ’ কর্মী। এদের বেশির ভাগের হাতে ছিল লাঠি। এই সময় তাদের সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এরপর থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে এবং এর আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এটি রাত পর্যন্ত ছিল।
প্রেস ক্লাবের নিরাপত্তা বিষয়ে রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান বলেন, ৫ই জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দুটি দল সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ডিএমপির পক্ষ থেকে ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষেধ করা হয়েছে। কেউ যেন এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য না করে এবং জনস্বার্থে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য দিনব্যাপী পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। এদিকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ড্যাব নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন সহ কয়েকজন নেতা প্রেসক্লাবেই অবস্থান করছিলেন।
একই সময় প্রেস ক্লাবের ভেতরে নাগরিক ঐক্যের একটি আলোচনা সভা চলছিল। সামনে মূল গেইট বন্ধ করে অবস্থান করছিল বাংলাদেশ প্রজন্ম লীগ নামে একটি সংগঠনের কয়েক শ’ কর্মী। এদের বেশির ভাগের হাতে ছিল লাঠি। এই সময় তাদের সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এরপর থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে এবং এর আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এটি রাত পর্যন্ত ছিল।
প্রেস ক্লাবের নিরাপত্তা বিষয়ে রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান বলেন, ৫ই জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দুটি দল সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ডিএমপির পক্ষ থেকে ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষেধ করা হয়েছে। কেউ যেন এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য না করে এবং জনস্বার্থে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য দিনব্যাপী পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। এদিকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ড্যাব নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন সহ কয়েকজন নেতা প্রেসক্লাবেই অবস্থান করছিলেন।
No comments