চট্টগ্রামে পুলিশের গুলি, ২০ দলের সভা পণ্ড- আসলাম চৌধুরীসহ দুই শতাধিক আটক, চট্টগ্রামে আজ হরতাল
(চট্টগ্রামে
২০-দলীয় জোটের সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে
পড়েন নেতা-কর্মীরা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল
ছোড়েন। গতকাল বিকেলে তোলা ছবি l সৌরভ দাশ) পুলিশের
গুলিতে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে ২০-দলীয় জোটের সভা পণ্ড হয়ে গেছে। এ
সময় পুলিশের সঙ্গে ২০-দলীয় জোটের কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশের তিন সদস্যসহ
অন্তত ১৫ জন আহত হন। পুলিশের অভিযানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির
আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি আটক হয়েছেন। সমাবেশে পুলিশের
গুলি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের আটকের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলায়
সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু
মাহমুদ চৌধুরী গতকাল রাত ১০টার দিকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
২০ দলের কর্মীরা নাসিমন ভবনের পাশে একটি মিনিট্রাক ও বিজয় মেলার কয়েকটি খালি স্টলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা সোয়া তিনটার দিকে শিবিরের একটি মিছিল বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে নূর আহমেদ সড়কের সমাবেশে যোগ দেয়। এরপর শিবিরের ২০-২৫ জন কর্মী কাজীর দেউড়ি এলাকায় কালো কাপড়ে ‘গণতন্ত্র’ লেখা প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করেন। এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন কাজীর দেউড়ি এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, কাজীর দেউড়ি এলাকার উত্তেজনা নূর আহমেদ সড়কের সমাবেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মাইক থেকে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। একপর্যায়ে বিকেল চারটা দুই মিনিটে লাভলেইন প্রান্ত থেকে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। পুলিশের গুলি শুরু হলে হাজার হাজার নেতা-কর্মী বিভিন্ন অলিগলির ভেতরে চলে যান। এ সময় ২০-দলীয় জোটের অনেক কর্মী পুলিশের দিকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। আলমাস সিনেমা, সার্কিট হাউস, ওয়াসা মোড়, চট্টেশ্বরী মোড়, কাজীর দেউড়ি, লাভলেইন মোড় ও আসকারদীঘি সড়ক এলাকায় প্রতিরোধের চেষ্টা চালান ২০ দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে।একপর্যায়ে টিকতে না পেরে ২০ দলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে যান। সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন কর্মীবেষ্টিত হয়ে নিজ নিজ বাড়ি চলে যান। বিকেলে স্কুল ছুটি হওয়ায় পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকেই পুলিশ ও ২০-দলীয় জোটের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। এ সময় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। আড়াই-তিন লাখ নেতা-কর্মী আমাদের সমাবেশে যোগ দেন। ওপরের নির্দেশে পুলিশ আমাদের সভা পণ্ড করে দেয়। এ জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর আমরা ২০ দলকে অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সমাবেশের অদূরে কাজীর দেউড়ি ও আসকারদীঘি সড়ক এলাকায় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা পুলিশের ওপর বিনা উসকানিতে ককটেল নিক্ষেপ করে। এ কারণে আমরা ওদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি জানান, পুলিশ শতাধিক ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ মো. আবদুর রউফ রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদানসহ নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের অভিযানে দুই শতাধিক ব্যক্তি আটক হয়েছেন।
এদিকে পণ্ড হয়ে যাওয়ার আগে নূর আহমেদ সড়কের সমাবেশে হাজারো নেতা-কর্মী যোগ দেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী। সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ায় জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি।
২০ দলের কর্মীরা নাসিমন ভবনের পাশে একটি মিনিট্রাক ও বিজয় মেলার কয়েকটি খালি স্টলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা সোয়া তিনটার দিকে শিবিরের একটি মিছিল বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে নূর আহমেদ সড়কের সমাবেশে যোগ দেয়। এরপর শিবিরের ২০-২৫ জন কর্মী কাজীর দেউড়ি এলাকায় কালো কাপড়ে ‘গণতন্ত্র’ লেখা প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করেন। এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন কাজীর দেউড়ি এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, কাজীর দেউড়ি এলাকার উত্তেজনা নূর আহমেদ সড়কের সমাবেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মাইক থেকে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। একপর্যায়ে বিকেল চারটা দুই মিনিটে লাভলেইন প্রান্ত থেকে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। পুলিশের গুলি শুরু হলে হাজার হাজার নেতা-কর্মী বিভিন্ন অলিগলির ভেতরে চলে যান। এ সময় ২০-দলীয় জোটের অনেক কর্মী পুলিশের দিকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। আলমাস সিনেমা, সার্কিট হাউস, ওয়াসা মোড়, চট্টেশ্বরী মোড়, কাজীর দেউড়ি, লাভলেইন মোড় ও আসকারদীঘি সড়ক এলাকায় প্রতিরোধের চেষ্টা চালান ২০ দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে।একপর্যায়ে টিকতে না পেরে ২০ দলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে যান। সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন কর্মীবেষ্টিত হয়ে নিজ নিজ বাড়ি চলে যান। বিকেলে স্কুল ছুটি হওয়ায় পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকেই পুলিশ ও ২০-দলীয় জোটের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। এ সময় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। আড়াই-তিন লাখ নেতা-কর্মী আমাদের সমাবেশে যোগ দেন। ওপরের নির্দেশে পুলিশ আমাদের সভা পণ্ড করে দেয়। এ জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর আমরা ২০ দলকে অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সমাবেশের অদূরে কাজীর দেউড়ি ও আসকারদীঘি সড়ক এলাকায় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা পুলিশের ওপর বিনা উসকানিতে ককটেল নিক্ষেপ করে। এ কারণে আমরা ওদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি জানান, পুলিশ শতাধিক ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ মো. আবদুর রউফ রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদানসহ নাশকতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের অভিযানে দুই শতাধিক ব্যক্তি আটক হয়েছেন।
এদিকে পণ্ড হয়ে যাওয়ার আগে নূর আহমেদ সড়কের সমাবেশে হাজারো নেতা-কর্মী যোগ দেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী। সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ায় জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি।
No comments