চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে ২০ দলের সমাবেশ পণ্ড রণক্ষেত্র
সমাবেশের
অনুমতি দিয়ে চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় তাদের
ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন দু’জন। লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
বিক্ষুব্ধ বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ
সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়
নগরীর কাজীর দেউড়ি। গতকাল দুপুরে থেমে থেমে শুরু হওয়া সংঘর্ষ সন্ধ্যা
পর্যন্ত চলতে থাকে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন-
যুবদল কর্মী কামাল উদ্দিন ও সাউদার্ন মেডিক্যালের ছাত্র মোহাম্মদ জুয়েল।
অন্যদিকে গুরুতরভাবে আহত হন একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী শাজাহান। তাদের
সবাই সর্বশেষ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুমতি নেয়ার পরও চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নাসিমন ভবনের সামনে শুরু হওয়া বিএনপির সমাবেশে একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে সভা পণ্ড হয়ে যায়।
এ সময় বিএনপি নেতারা সমাবেশ স্থলে ট্রাকের ওপর তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে অবস্থান করেন। অন্যদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নাশকতা এড়াতে সর্বশেষ চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মীকে।
‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে গতকাল দুপুর ২ টা থেকে কালো পতাকা হাতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে সমাবেশস্থল কাজির দেউড়িতে জড়ো হয়। এছাড়া মঞ্চে মহিলা দল, যুবদল ও স্বেছাসেবক দলের বেশ কিছু নেতা উপস্থিত হন। দুপুর আড়াইটার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আসলাম চৌধুরী, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল হক, নগর বিএনপির সহসভাপতি শামসুল আলম ও আবু সুফিয়ান।
জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন মানবজমিনকে বলেন, নেত্রী আমাদের রাজপথে থেকে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকালও (আজ) আমরা রাস্তায় সক্রিয় থাকবো।
সভার এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ বাঁধে। এতে পুলিশ সভাস্থলে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশের গুলিতে কর্মীরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন সবাই। এই সময় উত্তেজিত কর্মীরা রাস্তার ডিভাইডার ও আশপাশে দোকানও বাসায় হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০টি গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
দলীয় সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনের এক বছরের পূর্তিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও চট্টগ্রামে শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ।
নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়সহ তিনটি স্থানে বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়। পরে আগের দিন রোববার সন্ধ্যায় নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয় তাদের।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার জানান, নগরীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি টহল দিচ্ছে। কাজীর দেওড়ির মোড় থেকে পাওয়া গেছে ১৫টি পেট্রল বোমা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) নাঈমুল হাসান জানান, নাশকতা রোধে রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে নগরীর বাইরে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৩৯ কর্মী সমর্থককে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড উপজেলায় পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুমতি নেয়ার পরও চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নাসিমন ভবনের সামনে শুরু হওয়া বিএনপির সমাবেশে একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে সভা পণ্ড হয়ে যায়।
এ সময় বিএনপি নেতারা সমাবেশ স্থলে ট্রাকের ওপর তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে অবস্থান করেন। অন্যদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নাশকতা এড়াতে সর্বশেষ চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মীকে।
‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে গতকাল দুপুর ২ টা থেকে কালো পতাকা হাতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে সমাবেশস্থল কাজির দেউড়িতে জড়ো হয়। এছাড়া মঞ্চে মহিলা দল, যুবদল ও স্বেছাসেবক দলের বেশ কিছু নেতা উপস্থিত হন। দুপুর আড়াইটার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আসলাম চৌধুরী, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল হক, নগর বিএনপির সহসভাপতি শামসুল আলম ও আবু সুফিয়ান।
জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন মানবজমিনকে বলেন, নেত্রী আমাদের রাজপথে থেকে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকালও (আজ) আমরা রাস্তায় সক্রিয় থাকবো।
সভার এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ বাঁধে। এতে পুলিশ সভাস্থলে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশের গুলিতে কর্মীরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন সবাই। এই সময় উত্তেজিত কর্মীরা রাস্তার ডিভাইডার ও আশপাশে দোকানও বাসায় হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০টি গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
দলীয় সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনের এক বছরের পূর্তিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও চট্টগ্রামে শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ।
নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়সহ তিনটি স্থানে বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়। পরে আগের দিন রোববার সন্ধ্যায় নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয় তাদের।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার জানান, নগরীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি টহল দিচ্ছে। কাজীর দেওড়ির মোড় থেকে পাওয়া গেছে ১৫টি পেট্রল বোমা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) নাঈমুল হাসান জানান, নাশকতা রোধে রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে নগরীর বাইরে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৩৯ কর্মী সমর্থককে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড উপজেলায় পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments