কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে আলোচনা
ভারতের
ঐতিহ্যশালী কংগ্রেস দলের সভাপতি পদে কি তরুণ রাহুল গান্ধীকেই মনোনীত করা
হচ্ছে ? এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে কংগ্রেসের রাজনীতি সরগরম। বেশ কিছু দিন
ধরেই রাহুলকে দলের সর্বোচ্চ পদে বসানো নিয়ে কংগ্রেসের একটি অংশ থেকে দাবি
তোলা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে
আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মা সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে দলের
ব্যাটন রাহুলের হাতে যাওয়া নিয়ে দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো কংগ্রেসের প্রবীণ
নেতারা একরকম নিশ্চিত। গত শনিবার কংগ্রেস মুখপাত্র শোভা ওঝাও বিষয়টি নিয়ে
সব সম্ভাবনা খোলা রেখেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন,
সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী দুজনই দলের সম্মানীয় নেতা। আর দলের সাংগঠনিক
নির্বাচনও বাকি রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই কংগ্রেসের মধ্যকার সাংগঠনিক
নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। আর এই নির্বাচনের শেষে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর
মাসে অনুষ্ঠিত হবে দলের সভাপতি পদে নির্বাচন। গত শনিবার দিগ্বিজয় সিং জোরের
সঙ্গে বলেছেন, রাহুলকে দলের সভাপতি করা উচিত। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন
ধরেই বলে আসছি যে, রাহুল সহসভাপতির দায়িত্ব ভালভাবেই পালন করেছেন। তাই আমার
বিনীত অনুরোধ যে, কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং সোনিয়া গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটির
দায়িত্ব রাহুলের হাতে তুলে দিন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, কংগ্রেস সবসময়ই
তরুণদের নেতৃত্বে আনতে উৎসাহ দিয়ে এসেছে। জওহরলাল নেহরু ৩৮ বছর বয়সে দলের
সভাপতি হয়েছিলেন। আর মৌলানা আজাদ দায়িত্ব নিয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সে। ৬৮ বছরের
সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘ সময় ধরেই দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৮ সালের
মার্চে তিনি এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে গত কিছুদিন ধরেই তিনি শারীরিকভাবে
অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে ৪৪ বছরের রাহুল গান্ধীকে ২০১৩ সালের
জানুয়ারিতে কংগ্রেসের সহসভাপতি করা হয়েছিল। তার পর থেকেই কংগ্রেসের অনেক
গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি পালন করে আসছেন। দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারের
দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে সাফল্য আনতে না পারায়
কংগ্রেসের একটি অংশ তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। এই অংশের দাবি,
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই দলের দায়িত্ব সঁপে দেয়া হোক। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা যে এ
ব্যাপারে আগ্রহী নয় সেটা বার বার জানিয়ে এসেছেন। এরই মধ্যে রাহুল তৃণমূল
স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে দল গুছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দলের
সর্বোচ্চ দায়িত্ব নেয়ার জন্যই তিনি তৈরি হচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
No comments