প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ সুজনের
দেশের
চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে প্রয়োজন দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু,
নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। আর এজন্য সংলাপের কোন বিকল্প নেই বলে
মনে করছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সুজন এও মনে করে, প্রাথমিকভাবে
প্রধানমন্ত্রীকেই সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সমস্যা
সমাধানে এগিয়ে না এলে সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে অনুরোধ
করবে এ অরাজনৈতিক সংগঠন। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি
মিলনায়তনে বর্তমান পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজের পক্ষে উদ্বেগ জানাতে ‘সংলাপ ও
সমঝোতা জরুরি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন। এতে লিখিত বক্তব্য
তুলে ধরেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, দেশের চলমান
পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সামনের দিনগুলোতে আমরা একটি
অকার্যকর রাষ্ট্র, এমনকি গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারি। রাজনৈতিক
প্রতিপক্ষের ভাষা গৃহযুদ্ধকবলিত দেশগুলোর রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষার সঙ্গে
মিলে যায়। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসার জন্য নাগরিক সমাজ অনুরোধ জানাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকেই সংলাপ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে হবে উল্লেখ করে সুজন সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে সংলাপে বসার জন্য আমরা অনুরোধ জানাই। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীকেই প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে বলে আমরা মনে করি। তবে আমরা অতীতের ন্যায় ‘সংলাপ সংলাপ খেলা’ চাই না। আমরা চাই আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা, ছাড় দেয়ার মানসিকতা ও টেকসই সমাধান।
সুজন সম্পাদক আরও যোগ করেন, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে না আসেন, তাহলে আমরা প্রেসিডেন্টকে একটি অর্থবহ সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হবে। প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপ্রধান- তিনি রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি। তাই আমরা মনে করি যে, তার ‘সুপিরিয়র রেস্পন্সিবিলিটি’ বা আরও বড় দায়িত্ব রয়েছে। আশা করি প্রয়োজনে মহামান্য প্রেসিডেন্ট যথাযথ প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার পরিচয় দেবেন।
সংলাপ ও সমঝোতার গুরুত্ব তুলে ধরে সুজন সম্পাদক বলেন, আমরা অতীতেও রাজনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত হয়েছি এবং এর থেকে সমঝোতার মাধ্যমে উত্তরণও সম্ভব হয়েছিল। নব্বইয়ের ‘তিন জোটের রূপরেখা’ যার উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। আর তা সম্ভব হয়েছে নাগরিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকা ও শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। আমরা আশা করি যে, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিরাজমান সঙ্কটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, সংলাপে নিয়োজিত হবেন, সমঝোতায় উপনীত হবেন এবং একটি জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবেন। একইসঙ্গে তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে পরস্পরের সঙ্গে সহাবস্থানের ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবেন। খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা মানবাধিকারের লঙ্ঘন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর অহেতুক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। অথচ কয়েকদিন আগে সরকারের মিত্র জাতীয় পার্টিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ন্ত্রণ সংবিধান স্বীকৃত সভা-সমাবেশ করার মৌলিক অধিকারের নগ্ন লঙ্ঘন। মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করার মাধ্যমে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যে কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হলে তা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের এ সব কার্যক্রম আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অধঃপতনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে, যা আমাদেরকে চরমভাবে উৎকণ্ঠিত করে। এমন অধঃপতন আমাদেরকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
নাগরিক সমাজের পক্ষে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সুজন সম্পাদক বলেন, সংবিধান রক্ষার নামে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, সংবিধান লঙ্ঘন এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করেই ভোটারবিহীন বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান হারে তারা বলপ্রয়োগ করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশ একটি চরম কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। আর কর্তৃত্ববাদই উগ্রবাদের জনক।
সঙ্কট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেন সুজন সম্পাদক। এ প্রসঙ্গে ড. মজুমদার বলেন, ৫ই জানুয়ারি, ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এক অস্বাভাবিক, অস্বস্তিকর ও সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিগত কয়েক দিনের হানাহানি ও সংঘাত এ অস্থিতিশীলতারই বাস্তব প্রতিফলন। দ্রুততম সময়ে নির্বাচন না হলে আমরা এক চরম সংঘাতময় ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হতে পারি। নির্বাচনের পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা এড়াতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের সংলাপে বসা ও কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতায় আসা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্যও সংলাপ ও সমঝোতায় পৌঁছানো আজ জরুরি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এটা বন্ধ হওয়া দরকার, সরকার যা করছে আশা করি তা থেকে বিরত থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে কথা বলার আর লোক অবশিষ্ট থাকবে না। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, বৈধ কাজও অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত হতে পারে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে বৈধ হলেও এর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
সুজন নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণের কারণে কথা বলতে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একদিকে সারা দেশে সহিংসতা অন্যদিকে মুখে তালা দিয়ে সবাই সবকিছু হজম করে যাচ্ছে। কিছু কিছু মিডিয়া আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বাকি মিডিয়াগুলো কোন ভূমিকা রাখছে না। সমাজে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমস্যার তাৎক্ষণিক কোন সমাধান নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদলীয় শাসন মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে পটভূমি অন্য রকম হতে পারে। এ অরাজকতা এক দুই সংলাপে শেষ হবে না। সংলাপ আয়োজনেও কারও কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। সবাই গভীর সঙ্কটে চোখ বন্ধ করে আছে। এভাবে অন্ধকারে যাত্রা করলে আমরা কোনদিকে যাচ্ছি তা বোঝা যাচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েকদিনের সহিংসতায় হতাহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এ পরিস্থিতিকে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীকেই সংলাপ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে হবে উল্লেখ করে সুজন সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে সংলাপে বসার জন্য আমরা অনুরোধ জানাই। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীকেই প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে বলে আমরা মনে করি। তবে আমরা অতীতের ন্যায় ‘সংলাপ সংলাপ খেলা’ চাই না। আমরা চাই আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা, ছাড় দেয়ার মানসিকতা ও টেকসই সমাধান।
সুজন সম্পাদক আরও যোগ করেন, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে না আসেন, তাহলে আমরা প্রেসিডেন্টকে একটি অর্থবহ সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হবে। প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপ্রধান- তিনি রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি। তাই আমরা মনে করি যে, তার ‘সুপিরিয়র রেস্পন্সিবিলিটি’ বা আরও বড় দায়িত্ব রয়েছে। আশা করি প্রয়োজনে মহামান্য প্রেসিডেন্ট যথাযথ প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার পরিচয় দেবেন।
সংলাপ ও সমঝোতার গুরুত্ব তুলে ধরে সুজন সম্পাদক বলেন, আমরা অতীতেও রাজনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত হয়েছি এবং এর থেকে সমঝোতার মাধ্যমে উত্তরণও সম্ভব হয়েছিল। নব্বইয়ের ‘তিন জোটের রূপরেখা’ যার উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। আর তা সম্ভব হয়েছে নাগরিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকা ও শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। আমরা আশা করি যে, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিরাজমান সঙ্কটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, সংলাপে নিয়োজিত হবেন, সমঝোতায় উপনীত হবেন এবং একটি জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবেন। একইসঙ্গে তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে পরস্পরের সঙ্গে সহাবস্থানের ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবেন। খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা মানবাধিকারের লঙ্ঘন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর অহেতুক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। অথচ কয়েকদিন আগে সরকারের মিত্র জাতীয় পার্টিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ন্ত্রণ সংবিধান স্বীকৃত সভা-সমাবেশ করার মৌলিক অধিকারের নগ্ন লঙ্ঘন। মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করার মাধ্যমে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যে কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হলে তা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের এ সব কার্যক্রম আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অধঃপতনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে, যা আমাদেরকে চরমভাবে উৎকণ্ঠিত করে। এমন অধঃপতন আমাদেরকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
নাগরিক সমাজের পক্ষে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সুজন সম্পাদক বলেন, সংবিধান রক্ষার নামে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, সংবিধান লঙ্ঘন এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করেই ভোটারবিহীন বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান হারে তারা বলপ্রয়োগ করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশ একটি চরম কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। আর কর্তৃত্ববাদই উগ্রবাদের জনক।
সঙ্কট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেন সুজন সম্পাদক। এ প্রসঙ্গে ড. মজুমদার বলেন, ৫ই জানুয়ারি, ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এক অস্বাভাবিক, অস্বস্তিকর ও সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিগত কয়েক দিনের হানাহানি ও সংঘাত এ অস্থিতিশীলতারই বাস্তব প্রতিফলন। দ্রুততম সময়ে নির্বাচন না হলে আমরা এক চরম সংঘাতময় ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হতে পারি। নির্বাচনের পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা এড়াতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের সংলাপে বসা ও কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতায় আসা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্যও সংলাপ ও সমঝোতায় পৌঁছানো আজ জরুরি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এটা বন্ধ হওয়া দরকার, সরকার যা করছে আশা করি তা থেকে বিরত থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে কথা বলার আর লোক অবশিষ্ট থাকবে না। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, বৈধ কাজও অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত হতে পারে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে বৈধ হলেও এর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
সুজন নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণের কারণে কথা বলতে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একদিকে সারা দেশে সহিংসতা অন্যদিকে মুখে তালা দিয়ে সবাই সবকিছু হজম করে যাচ্ছে। কিছু কিছু মিডিয়া আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বাকি মিডিয়াগুলো কোন ভূমিকা রাখছে না। সমাজে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমস্যার তাৎক্ষণিক কোন সমাধান নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদলীয় শাসন মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে পটভূমি অন্য রকম হতে পারে। এ অরাজকতা এক দুই সংলাপে শেষ হবে না। সংলাপ আয়োজনেও কারও কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। সবাই গভীর সঙ্কটে চোখ বন্ধ করে আছে। এভাবে অন্ধকারে যাত্রা করলে আমরা কোনদিকে যাচ্ছি তা বোঝা যাচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েকদিনের সহিংসতায় হতাহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এ পরিস্থিতিকে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা হয়।
No comments