অষ্টম দিনেও অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া
গুলশান
রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় অষ্টম দিন পার করেছেন বিরোধী জোটের
শীর্ষনেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে
পূর্বঘোষিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৩রা জানুয়ারি রাতে খালেদা জিয়াকে নিজ
কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে কার্যালয়ের
দোতলায় কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ জীবন। কার্যালয়ের সামনে রাস্তার দুদিকে জলকামান ও
পুলিশ ভ্যান আড়াআড়ি রাখা আছে। রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। ৮৬ নম্বর
সড়কে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে সাদা
পোশাকের পুলিশ। এদিকে গতকাল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের বেশ কয়েক মহিলা নেত্রী
ও সাবেক আমলা সাক্ষাৎ করেছেন। বেলা ২টায় রান্না করা খাবার নিয়ে কার্যালয়ে
যান মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরার সাফার নেতৃত্বে ৯ জন মহিলা নেত্রী।
বেলা পৌনে তিনটার দিকে কার্যালয় থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের নূরে আরা
সাফা বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ। তিনি সবার কাছে
দোয়া চেয়েছেন। গণতন্ত্র যেন মুক্তি পায় সেজন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন। এরপর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জজকোর্টের দুই মহিলা আইনজীবী লিপি
আকতার ও আকলিমা আক্তার শীতের পিঠা নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে প্রবেশ
করেন। এরপর বেলা সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ে আসেন গুম হওয়া দলের সাংগঠনিক
সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও তার ছেলে-মেয়ে।
রাত ৮টায় কার্যালয় থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তাহসিনা রুশদীর বলেন, টেলিভিশনের সংবাদে দেখেছি, বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ। তাই তাকে দেখতে এসেছিলাম। তিনি আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করছেন। রাজনৈতিক বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু কুশল বিনিময় হয়েছে। রাজনৈতিক কোন বিষয়ে আলোচনা হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক কেবিনেট সচিব আবদুল হালিমের নেতৃত্বে ১১ জন সাবেক আমলা কার্যালয়ে আসেন। তারা হলেন- দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অব.) সুজাউদ্দিন, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ, সাবেক কেবিনেট সচিব এসএম আলিমুজ্জামান, সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার, বিজন সরকার, ফজলুল করিম, আব্দুল বারী, আব্দুস সবুর ও মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের আবদুল হালিম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতার খবর শুনে দেখা করতে এসেছি। উনার স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের চেয়ে ভাল। মনোবলও দৃঢ় রয়েছে। রাত ৯টার দিকে কার্যালয়ের দক্ষিণপাশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদের গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালেদা জিয়ার জন্য তার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানের শ্বশুরের বাসা থেকে নাস্তা পাঠানো হয়। প্রতিদিনের খাবার ওই বাসা থেকেই আসছে। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড়বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু নিজেই খাবার রান্না করে পাঠান বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ৩রা জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় গুলশান কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকেই কার্যালয়ের সামনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলে পুলিশ। অর্ধশতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয় কার্যালয়ের সামনে। কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দক্ষিণ পাশে একটি জলকামান ও পুলিশ ভ্যান ও উত্তর পাশে আরেকটি জলকামান ও পুলিশ ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড। সাড়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন খবর পেয়ে রিজভী আহমেদকে দেখতে যাওয়ার জন্য গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পথরোধ করে পুলিশ। প্রায় আধাঘণ্টা গাড়িতে বসে থেকে ফের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষিত ৫ই জানুয়ারির সমাবেশে যাওয়া ঠেকাতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই একে একে কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দুইপাশে এনে রাখা হয় ১১টি ইট ও বালুভর্তি ট্রাক। এরপর থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ৫ই জানুয়ারি বেলা ১২টার দিকে কার্যালয়ের তিনটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। ওইদিন বিকালে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে পেপার সেপ্র নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশি বাধা পেয়ে গেটেই দাঁড়িয়েই সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা তিনি। পরদিন বালুর ট্রাক সরানো হলেও ব্যারিকেড সরানো হয়নি। এরপর কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা খুলে দেয়া নিয়ে দু’দফা নাটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান ফটকের তালা খুলে দেয়া হয়। এদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পুলিশের সাবেক মহাপরির্দশক আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আল আমিন ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়করী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও সাবেক কয়েক মহিলা এমপি।
রাত ৮টায় কার্যালয় থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তাহসিনা রুশদীর বলেন, টেলিভিশনের সংবাদে দেখেছি, বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ। তাই তাকে দেখতে এসেছিলাম। তিনি আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করছেন। রাজনৈতিক বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু কুশল বিনিময় হয়েছে। রাজনৈতিক কোন বিষয়ে আলোচনা হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক কেবিনেট সচিব আবদুল হালিমের নেতৃত্বে ১১ জন সাবেক আমলা কার্যালয়ে আসেন। তারা হলেন- দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অব.) সুজাউদ্দিন, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ, সাবেক কেবিনেট সচিব এসএম আলিমুজ্জামান, সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার, বিজন সরকার, ফজলুল করিম, আব্দুল বারী, আব্দুস সবুর ও মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের আবদুল হালিম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতার খবর শুনে দেখা করতে এসেছি। উনার স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের চেয়ে ভাল। মনোবলও দৃঢ় রয়েছে। রাত ৯টার দিকে কার্যালয়ের দক্ষিণপাশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদের গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালেদা জিয়ার জন্য তার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানের শ্বশুরের বাসা থেকে নাস্তা পাঠানো হয়। প্রতিদিনের খাবার ওই বাসা থেকেই আসছে। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড়বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু নিজেই খাবার রান্না করে পাঠান বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ৩রা জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় গুলশান কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকেই কার্যালয়ের সামনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলে পুলিশ। অর্ধশতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয় কার্যালয়ের সামনে। কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দক্ষিণ পাশে একটি জলকামান ও পুলিশ ভ্যান ও উত্তর পাশে আরেকটি জলকামান ও পুলিশ ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড। সাড়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন খবর পেয়ে রিজভী আহমেদকে দেখতে যাওয়ার জন্য গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পথরোধ করে পুলিশ। প্রায় আধাঘণ্টা গাড়িতে বসে থেকে ফের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষিত ৫ই জানুয়ারির সমাবেশে যাওয়া ঠেকাতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই একে একে কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দুইপাশে এনে রাখা হয় ১১টি ইট ও বালুভর্তি ট্রাক। এরপর থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ৫ই জানুয়ারি বেলা ১২টার দিকে কার্যালয়ের তিনটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। ওইদিন বিকালে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে পেপার সেপ্র নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশি বাধা পেয়ে গেটেই দাঁড়িয়েই সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা তিনি। পরদিন বালুর ট্রাক সরানো হলেও ব্যারিকেড সরানো হয়নি। এরপর কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা খুলে দেয়া নিয়ে দু’দফা নাটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান ফটকের তালা খুলে দেয়া হয়। এদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পুলিশের সাবেক মহাপরির্দশক আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আল আমিন ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়করী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও সাবেক কয়েক মহিলা এমপি।
No comments