শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জনগণের শক্তির প্রমাণ দিল by এম হুমায়ূন কবির
গত ৮ জানুয়ারি শ্রীলংকায় যে রাষ্ট্রপতি
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল, ওই নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত
হল। নির্বাচনে দেশটির নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাইথ্রিপালা
সিরিসেনা। মাইথ্রিপালা সিরিসেনার নির্বাচনী স্লোগান ছিল, Regime change for
good governance.
শ্রীলংকায় বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মাহিন্দ রাজাপাকসে সরকার পরিচালনায় উন্নয়ন ও নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। রাজাপাকসের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, তিনি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের ব্যবসায়িক সুবিধা পাইয়ে দেয়ার বিষয়ে রাজাপাকসের ভূমিকা থাকত, এমন অভিযোগও রয়েছে। অনেকে মনে করেন, এ প্রক্রিয়ায় শ্রীলংকার প্রশাসন ও অর্থনীতিতে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।
শ্রীলংকায় এলটিটিই বিদ্রোহীদের দমনে রাজাপাকসে সফল হলেও সরকার পরিচালনার সময় তিনি দেশটির তামিল ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের দিকে যথাযথ মনোযোগ দিতে পারেননি। ফলে তামিল ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন যে রাজাপাকসের বিপক্ষে গিয়েছে সেটা অনুমান করা যায়। এছাড়া রাজাপাকসে এককভাবে সিংহলিদের সমর্থন আদায়েও সফল হতে পারেননি। এ প্রেক্ষাপটে বিরোধী বিভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী সব রাজনৈতিক পক্ষ একজোট হওয়ায় নির্বাচনে রাজাপাকসে হেরে যান।
রাজাপাকসে নির্বাচনের ফলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে জনগণের রায় মেনে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলংকায় গণতন্ত্র চর্চায় একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল। এমনকি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই রাজাপাকসে সরকারি বাসভবন ছেড়েছেন। তার এ আচরণও দেশটির গণতন্ত্রের চর্চায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শ্রীলংকার জনগণ যে সরকারের কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণ ও পরিবারতন্ত্র মেনে নেয়নি, ৮ জানুয়ারির শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তা আবারও স্পষ্ট হল।
শ্রীলংকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে দেশটির উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিজের জনসমর্থন ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হল, কেবল উন্নয়ন ও নিরাপত্তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। জনগণ শাসকদের কাছে আরও বেশি কিছু আশা করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশেষভাবে যে বিষয়গুলো বারবার আলোচিত হবে তা হল, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলেই জনগণ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সুফল ভোগ করে সামনে এগোতে পারে।
শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রমাণ করল গণতান্ত্রিক অবস্থার মধ্য দিয়েই স্বৈরতন্ত্রকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা সম্ভব। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা যে প্রতিশ্র“তি দিয়ে ক্ষমতায় এলেন তাকেও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এম হুমায়ূন কবির : সাবেক রাষ্ট্রদূত
শ্রীলংকায় বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মাহিন্দ রাজাপাকসে সরকার পরিচালনায় উন্নয়ন ও নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। রাজাপাকসের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, তিনি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের ব্যবসায়িক সুবিধা পাইয়ে দেয়ার বিষয়ে রাজাপাকসের ভূমিকা থাকত, এমন অভিযোগও রয়েছে। অনেকে মনে করেন, এ প্রক্রিয়ায় শ্রীলংকার প্রশাসন ও অর্থনীতিতে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।
শ্রীলংকায় এলটিটিই বিদ্রোহীদের দমনে রাজাপাকসে সফল হলেও সরকার পরিচালনার সময় তিনি দেশটির তামিল ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের দিকে যথাযথ মনোযোগ দিতে পারেননি। ফলে তামিল ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন যে রাজাপাকসের বিপক্ষে গিয়েছে সেটা অনুমান করা যায়। এছাড়া রাজাপাকসে এককভাবে সিংহলিদের সমর্থন আদায়েও সফল হতে পারেননি। এ প্রেক্ষাপটে বিরোধী বিভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী সব রাজনৈতিক পক্ষ একজোট হওয়ায় নির্বাচনে রাজাপাকসে হেরে যান।
রাজাপাকসে নির্বাচনের ফলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে জনগণের রায় মেনে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলংকায় গণতন্ত্র চর্চায় একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল। এমনকি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই রাজাপাকসে সরকারি বাসভবন ছেড়েছেন। তার এ আচরণও দেশটির গণতন্ত্রের চর্চায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শ্রীলংকার জনগণ যে সরকারের কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণ ও পরিবারতন্ত্র মেনে নেয়নি, ৮ জানুয়ারির শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তা আবারও স্পষ্ট হল।
শ্রীলংকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে দেশটির উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিজের জনসমর্থন ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হল, কেবল উন্নয়ন ও নিরাপত্তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। জনগণ শাসকদের কাছে আরও বেশি কিছু আশা করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশেষভাবে যে বিষয়গুলো বারবার আলোচিত হবে তা হল, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলেই জনগণ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সুফল ভোগ করে সামনে এগোতে পারে।
শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রমাণ করল গণতান্ত্রিক অবস্থার মধ্য দিয়েই স্বৈরতন্ত্রকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা সম্ভব। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা যে প্রতিশ্র“তি দিয়ে ক্ষমতায় এলেন তাকেও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এম হুমায়ূন কবির : সাবেক রাষ্ট্রদূত
No comments