পার্লামেন্টে অনমনীয় ইংলাক
অভিশংসনের শুনানির জন্য পার্লামেন্টে এসে পৌঁছালে সংবাদকর্মীরা ঘিরে ধরেন ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে। |
থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা গতকাল শুক্রবার পার্লামেন্টে দৃঢ়ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। ওই অভিযোগের জন্য ইংলাক পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন। তাতে দেশটিতে রাজনৈতিক বিভাজনের তিক্ততা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের ২২ মে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার মাত্র কয়েক দিন আগে আদালতের এক বিতর্কিত আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। তিনি স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন। কোটি কোটি ডলারের চালে ভর্তুকি কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগে সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে ইংলাকের বিরুদ্ধে অভিশংসনের শুনানি শুরু হয়।
পার্লামেন্টে দোষী সাব্যস্ত হলে রাজনীতি থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবেন ইংলাক। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ইংলাক বলেন, ‘আমি সততা এবং আইন অনুযায়ী সরকার পরিচালনা করেছি।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনকারী কৃষকদের চালের মূল্য হ্রাসের নেতিবাচক প্রভাব এবং ঋণ থেকে মুক্তি দিতে তিনি ভর্তুকি প্রকল্প চালু করেন। ইংলাকের দাবি, তাঁর এ পদক্ষেপে ১৮ লাখ কৃষক উপকৃত হয়। ইংলাক সিনাওয়াত্রা রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হলে সামরিক আইনের ভেতরে সম্প্রতি নীরব থাকা তাঁদের পারিবারিক ‘রেড শার্ট’ সমর্থকেরা আবার প্রতিবাদে ফেটে পড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিনাওয়াত্রা পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করতেই দেশটির রাজতন্ত্রপন্থী অভিজাতেরা তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছে। এ রাজনৈতিক পরিবারের দল ২০০১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনেই জয়লাভ করে আসছে।
No comments