বিপর্যস্ত তিন খাত সমঝোতা চায় এফবিসিসিআই
দেশে
বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির কারণে জাতীয়
অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সে বিষয়ে ব্যবসায়ী সমাজ উদ্বিগ্ন বলে
জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। এছাড়া, দেশের সার্বিক
আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের গতিশীলতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট
মোকাবিলায় একটি সমঝোতা ও সমাধানের পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বলেন, এসব কর্মসূচি বন্ধ না করলে অবিলম্বে আইনের আশ্রয় নেবে ব্যবসায়ী সমাজ।
গতকাল ‘দেশের বিরাজমান সহিংসতা এবং অবরোধের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি’ নিয়ে
আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে
উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকীম আলী, সহ-সভাপতি
হেলাল উদ্দিনসহ অন্য পরিচালকরা। আকরাম উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের জাতীয়
অর্থনীতিতে যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল তা কাটিয়ে না উঠতেই এ বছরের
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সহিংসতা
দেশের অর্থনীতিকে আবারও বিপদাপন্ন করে তুলছে। গত কিছুদিন যাবৎ অবরোধকে
কেন্দ্র করে সারা দেশে ঘটে যাওয়া ব্যাপক সহিংসতা ব্যবসায়ীসহ সকল মহলকে
আতঙ্কিত করে তুলছে। অবরোধ কর্মসূচির কারণে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ,
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাসভবনে বোমা হামলাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক
অবনতি ঘটছে। আগুন দেয়া হয়েছে প্রায় শতাধিক যানবাহনে। রেল লাইনের ফিশপ্লেট,
স্লিপার তুলে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে
পারতো। চলন্ত গাড়িতে আগুন দিয়ে বা পেট্রল বোমা ছুড়ে মারা হয়েছে। এসব
সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড আমাদেরকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, হরতাল-অবরোধ অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। এসব নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এসব কর্মসূচি বন্ধের জন্য আইনগতভাবে যদি কোন সুযোগ থাকে, তাহলে সেই ব্যবস্থা নেবে এফবিসিসিআই। এ বিষয়ে এফবিসিসিআই’র বোর্ড মিটিং হয়েছে, সবাই আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে। এখন আমরা খতিয়ে দেখছি কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায়।
একই সঙ্গে দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের গতিশীলতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় একটি সমঝোতা ও সমাধানের পথ বের করার আহ্বানও জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অতীতে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। এখন আমরা আর তাদের একসঙ্গে বসার অনুরোধ করছি না। প্রয়োজন হলে তারা নিজেরাই সেই উদ্যোগ নেবে। আমরা চাই ব্যবসার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ।
তিনি বলেন, হরতাল, অবরোধের কারণে তিনটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো পরিবহন, উৎপাদন ও পর্যটন। অবরোধ, হরতালের কারণে পরিবহন খাত অচল হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুই লাখের বেশি বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান অচল হয়ে আছে। ২০ লাখের বেশি পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই খাতে দৈনিক ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, পর্যটন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কক্সবাজারে ২০০ থেকে ৩০০ হোটেলে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। হোটেলে কোন লোকজন নেই। অবরোধ ও হরতালের কারণে দৈনিক এক থেকে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে থাকে আর ক্ষতির সিংহভাগই ব্যবসায়ীদের বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো অসুস্থ রাজনীতির বলি হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। বিরাজমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ব্যাংকের সুদ মওকুফের আহ্বান জানান তিনি। সভাপতি বলেন, উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শিল্প প্রতিষ্ঠানের খরচ মেটানোর জন্য অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে ব্যাংকের শ্রেণীবিন্যাসকৃত ঋণের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, অবরোধে পরিবহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এতে উৎপাদন কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পুঁজিহারা হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা।
কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, হরতাল-অবরোধ অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। এসব নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এসব কর্মসূচি বন্ধের জন্য আইনগতভাবে যদি কোন সুযোগ থাকে, তাহলে সেই ব্যবস্থা নেবে এফবিসিসিআই। এ বিষয়ে এফবিসিসিআই’র বোর্ড মিটিং হয়েছে, সবাই আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে। এখন আমরা খতিয়ে দেখছি কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায়।
একই সঙ্গে দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের গতিশীলতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় একটি সমঝোতা ও সমাধানের পথ বের করার আহ্বানও জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অতীতে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। এখন আমরা আর তাদের একসঙ্গে বসার অনুরোধ করছি না। প্রয়োজন হলে তারা নিজেরাই সেই উদ্যোগ নেবে। আমরা চাই ব্যবসার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ।
তিনি বলেন, হরতাল, অবরোধের কারণে তিনটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো পরিবহন, উৎপাদন ও পর্যটন। অবরোধ, হরতালের কারণে পরিবহন খাত অচল হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুই লাখের বেশি বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান অচল হয়ে আছে। ২০ লাখের বেশি পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই খাতে দৈনিক ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, পর্যটন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কক্সবাজারে ২০০ থেকে ৩০০ হোটেলে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। হোটেলে কোন লোকজন নেই। অবরোধ ও হরতালের কারণে দৈনিক এক থেকে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে থাকে আর ক্ষতির সিংহভাগই ব্যবসায়ীদের বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো অসুস্থ রাজনীতির বলি হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। বিরাজমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ব্যাংকের সুদ মওকুফের আহ্বান জানান তিনি। সভাপতি বলেন, উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শিল্প প্রতিষ্ঠানের খরচ মেটানোর জন্য অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে ব্যাংকের শ্রেণীবিন্যাসকৃত ঋণের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, অবরোধে পরিবহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এতে উৎপাদন কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পুঁজিহারা হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা।
No comments