অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে by মীর নাসির হোসেন
যে কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিভিন্ন
পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দিলে বহুমুখী সংকটের সৃষ্টি হয়। এতে
জনগণের নিত্যপণ্য প্রাপ্তিতে বিশেষ সংকট তৈরি হয়। বিশেষ করে যে কোনো
পণ্যের খুচরা মূল্য অতিরিক্ত বেড়ে যায়, এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন
নিত্যপণ্যের প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়
ব্যাঘাত ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কাঁচামাল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহের চেইন ভেঙে পড়ে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ নিজ থেকে শ্রমিকদের বেতন দিলেও সেটা বেশিদিন অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় না। উৎপাদন বন্ধ থাকলে রফতানি বাণিজ্যে সিডিউল রক্ষায় বিপর্যয় দেখা দেয়। এর ফলে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। হরতাল কিংবা অবরোধে সারা দেশে যে ব্যাপক ক্ষতি হয়, তা স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
২০১৪ সালে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ভালো থাকলেও নানা কারণে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে স্থবিরতা লক্ষ করা গেছে। এ অবস্থায় বর্তমানে নতুন করে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হল তা ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ডাবল ডিজিটে নেয়া সম্ভব হয়নি। অথচ মধ্যম আয়ের লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য ডাবল ডিজিটের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। শিল্প স্থাপনে উপযোগী নিষ্কণ্টক জমির স্বল্পতা, জ্বালানি সমস্যা, ঋণের উচ্চ সুদসহ অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এমনিতেই বিনিয়োগ খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে নতুন বিনিয়োগে ব্যাপক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে, যা দেশের অর্থনীতিসহ সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে রফতানি বাণিজ্যে ধস নামলে এই ক্ষতি পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত অবিলম্বে সমঝোতায় আসা এবং জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো।
মীর নাসির হোসেন : এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি
কাঁচামাল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহের চেইন ভেঙে পড়ে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ নিজ থেকে শ্রমিকদের বেতন দিলেও সেটা বেশিদিন অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় না। উৎপাদন বন্ধ থাকলে রফতানি বাণিজ্যে সিডিউল রক্ষায় বিপর্যয় দেখা দেয়। এর ফলে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। হরতাল কিংবা অবরোধে সারা দেশে যে ব্যাপক ক্ষতি হয়, তা স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
২০১৪ সালে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ভালো থাকলেও নানা কারণে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে স্থবিরতা লক্ষ করা গেছে। এ অবস্থায় বর্তমানে নতুন করে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হল তা ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ডাবল ডিজিটে নেয়া সম্ভব হয়নি। অথচ মধ্যম আয়ের লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য ডাবল ডিজিটের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। শিল্প স্থাপনে উপযোগী নিষ্কণ্টক জমির স্বল্পতা, জ্বালানি সমস্যা, ঋণের উচ্চ সুদসহ অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এমনিতেই বিনিয়োগ খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে নতুন বিনিয়োগে ব্যাপক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে, যা দেশের অর্থনীতিসহ সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে রফতানি বাণিজ্যে ধস নামলে এই ক্ষতি পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত অবিলম্বে সমঝোতায় আসা এবং জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো।
মীর নাসির হোসেন : এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি
No comments