দুমকির লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে পার্কোপাইন ফেলেও ভাঙন থামেনি
(পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে চলতি মাসের শুরুতে অস্থায়ীভাবে পাউবোর পক্ষ থেকে পার্কোপাইন (বাঁশের খাঁচার মধ্যে ইট) ফেলা হয়। ছবিটি গত বুধবার সকালে তোলা l প্রথম আলো) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে অস্থায়ীভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে পার্কোপাইন (বাঁশের খাঁচার মধ্যে ইট) ফেলা হয় কিছুদিন আগে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সেগুলো ভেসে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাউবো পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে দুমকি উপজেলায় পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙন ঠেকাতে লেবুখালীতে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে পাউবো। ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে পাউবো ফেরিঘাটের পূর্ব দিকে ২০০ মিটার ও পশ্চিম দিকে এক হাজার মিটার ব্লক দিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে। ২০০৭ সালের সিডর ও ২০০৯-এর আইলায় ওই বাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। পরে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন বাড়ে আরও। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে লেবুখালী প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে অস্থায়ীভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ধসে পড়া স্থানে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ (বালুর বস্তা) ফেলা হয়।
এদিকে চলতি মৌসুমে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যে ফেরিঘাটের পশ্চিম দিকে ২০০ মিটার ও পূর্ব দিকে ১০০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভাঙন ঠেকাতে পাউবো জরুরিভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে পার্কোপাইন নদীতে ফেলে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফেরিঘাটের পূর্ব দিকে ৭০ মিটার অংশে ১৬০টি পার্কোপাইন ফেলা হয়। কিন্তু পায়রা নদীর প্রবল স্রোতে বেশ কয়েকটি পার্কোপাইন নদীতে ভেসে গেছে বলে জানা গেছে।
লেবুখালী ফেরিঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ভেসে যাওয়া পার্কোপাইন স্থানীয় লোকজন নদী থেকে তুলে এনে তীরে উঠিয়ে রেখেছেন। ফেরিঘাটে শাহজাহান প্যাদা বলেন, ঠিকাদারের লোকজন সেগুলো নদীতে ফেলে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই কয়েকটিকে নদীতে ভেসে যেতে দেখে তাঁরা নৌকা নিয়ে সেগুলো তুলে নিয়ে আসেন।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাঁশের তৈরি পার্কোপাইনগুলোতে ঠিকভাবে লোহা-পেরেক ব্যবহার না করায় স্রোতের চাপে ভেঙে বা খুলে গিয়ে ভেতরের ইটগুলো খসে পড়ে। এতে বাঁশের খাঁচাগুলো নদীতে ভেসে যাচ্ছে।
বাঁধের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লেবুখালী গ্রামের লোকমান হোসেন জানান, প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণকালে যেনতেনভাবে ব্লক ফেলে কাজটি করা হয়েছিল। ফলে বাঁধের নদীর দিকে নিচের অংশের ব্লক সরে গিয়ে এভাবে ধস নেমেছে। বালুর বস্তা এবং পার্কোপাইন ফেলেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। ভাঙন এখন তাঁদের বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে।
ফেরিঘাটের বাসিন্দা দেলোয়ার আকন বলেন, ‘পৈতৃক ভিটাবাড়ি হারানোর চিন্তায় চিন্তিত হয়ে পড়েছি আমরা।’
এ ব্যাপারে পাউবো, পটুয়াখালীর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবু বকর ভূঁইয়া বলেন, লেবুখালী প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩০০ মিটার ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যে ফেরিঘাটের পশ্চিম দিকে ২০০ মিটার ও পূর্ব দিকে ১০০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভাঙন ঠেকাতে পাউবো জরুরিভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে পার্কোপাইন নদীতে ফেলে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফেরিঘাটের পূর্ব দিকে ৭০ মিটার অংশে ১৬০টি পার্কোপাইন ফেলা হয়। কিন্তু পায়রা নদীর প্রবল স্রোতে বেশ কয়েকটি পার্কোপাইন নদীতে ভেসে গেছে বলে জানা গেছে।
লেবুখালী ফেরিঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ভেসে যাওয়া পার্কোপাইন স্থানীয় লোকজন নদী থেকে তুলে এনে তীরে উঠিয়ে রেখেছেন। ফেরিঘাটে শাহজাহান প্যাদা বলেন, ঠিকাদারের লোকজন সেগুলো নদীতে ফেলে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই কয়েকটিকে নদীতে ভেসে যেতে দেখে তাঁরা নৌকা নিয়ে সেগুলো তুলে নিয়ে আসেন।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাঁশের তৈরি পার্কোপাইনগুলোতে ঠিকভাবে লোহা-পেরেক ব্যবহার না করায় স্রোতের চাপে ভেঙে বা খুলে গিয়ে ভেতরের ইটগুলো খসে পড়ে। এতে বাঁশের খাঁচাগুলো নদীতে ভেসে যাচ্ছে।
বাঁধের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লেবুখালী গ্রামের লোকমান হোসেন জানান, প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণকালে যেনতেনভাবে ব্লক ফেলে কাজটি করা হয়েছিল। ফলে বাঁধের নদীর দিকে নিচের অংশের ব্লক সরে গিয়ে এভাবে ধস নেমেছে। বালুর বস্তা এবং পার্কোপাইন ফেলেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। ভাঙন এখন তাঁদের বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে।
ফেরিঘাটের বাসিন্দা দেলোয়ার আকন বলেন, ‘পৈতৃক ভিটাবাড়ি হারানোর চিন্তায় চিন্তিত হয়ে পড়েছি আমরা।’
এ ব্যাপারে পাউবো, পটুয়াখালীর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবু বকর ভূঁইয়া বলেন, লেবুখালী প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩০০ মিটার ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
No comments