‘কলাচাষী মা-বাবার সন্তান হিউজ কষ্টের মধ্যে দিয়েই লড়াই চালিয়ে গিয়েছে’
ফিলিপ হিউজ কুড়ি বছরের কঠিন মানসিকতার বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান, যার ব্যাটিং আর বেঁচে থাকা নিজের আলোয়। অষ্ট্রেলিয়ার নতুন ব্যাটসম্যান যে কোনও পরিস্থিতিতে বড় রান করতে পারে। আদতে সে একটা সাধারণ ছেলে। ছোট করে কাটা চুল, কানে ছোট্ট দুল, জামা-কাপড়ের প্রতি আগ্রহ, প্রচুর বন্ধু আর রাগবি লিগের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা। উইলোর টুকরো হাতে নিয়ে অবশ্য ও অন্য দুনিয়ায় ঢুকে পড়ে৷ তখন ও সাহসী, আত্মবিশ্বাসী, পরিস্থিতি-বিচারে দারুণ, ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকায় অদম্য ভালোবাসা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ওর দিকে যা খুশি ছুড়ে দিয়েছে৷ আর ও হাসি মুখে সব ঝেড়ে ফেলে মাঠের সব দিকে বল পাঠিয়ে গিয়েছে। যেমন হাঁস তার পিঠ থেকে জল ঝেড়ে ফেলে। ইনিংসের শেষ দিকে, এক বোলার রান আপের শেষে দাঁড়িয়ে বলেছিল,‘ছেলেটা কি কালা?’
এক সপ্তাহ আগে আয়োজক দেশের কেউ বিশ্বাস করেনি ছেলেটা ব্যাট করতে পারে। ওর টেকনিক দেখে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছিল, যে ও ভয় পেয়েছে৷ এখন নিশ্চয়ই ওরা নিজেদের মানসিকতা পাল্টেছে। মাত্র ক’দিন আগে সারা বিশ্বের কাছে অজানা। আর এখন সবচেয়ে কমবয়সি ক্রিকেটার যে এক টেস্টে দু’টো সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। ১১৫ ও ১৬০। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হ্যাডলির থেকেও ২০০ দিন আগে। দুর্দান্ত কৃতিত্ব৷ আর এটা এল এমন একজনের থেকে যে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে ফিরে আসা শ্রমিক-ক্রিকেটারদের যোগ্য প্রতিনিধি। এই তরুণ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কৃতিত্ব ছুঁয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকুলে কফস হার্বারের কাছে ম্যাকসভিলে তার বেড়ে ওঠা। যেখানে ওর বাবা-মা কলা চাষ করে৷ অনেকের বাবা মোজার ভিতরে বল ঢুকিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ওপর থেকে, যাতে সেই ঝুলন্ত বল পিটিয়ে ছেলে ব্যাটিং প্র্যাক্টিস সেরে নিতে পারে। হিউজের বাবাকে একটা নয়, ছেলের আবদারে ঝোলাতে হত তিন-তিনটে বল। সন্ধে নামলে বাড়ির পিছনের বারান্দা থেকে এই প্র্যাক্টিসটা চলে আসত ঘরের ভিতর। চলত ততক্ষণ, যতক্ষণ না ওর মা রাতের খাবারের জন্য ডাক দিচ্ছেন। কষ্ট হলেও ফিলের বাবা গ্রেগ ছেলের কিট আর পেট্রোলের খরচ ঠিক জোগাড় করে ফেলত।
কষ্টের মধ্যে দিয়েই লড়াই চালিয়ে গিয়েছে হিউজ। সবাইকে অবাক করেছে। কঠিন ছিল, কিন্তু ও পড়ে থেকেছে। তারপরই সুযোগটা পেল। ২০০৮-এ সাঙ্ঘাতিক হারের পর অস্ট্রেলিয়া নতুন রক্ত খুঁজছিল। টিম বুড়ো হয়ে পড়ছিল। ম্যাথু হেডেনও অবসর নিয়ে নিল। শেফিল্ড শিল্ডে দু’টো বড় স্কোরে হিউজ বার্তাটা দিয়ে দিয়েছিল ও তৈরি।
জাতীয় দলে নির্বাচনের পর ম্যাকসভিল মাতোয়ারা। ওখানকার বাসিন্দারা বিয়ারের সঙ্গে উপভোগ করেছে হিউজের ব্যাটিং। প্রথম টেস্টের ইনিংসে শূন্য খারাপ শট খেলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরে এল দুর্দান্ত ৭৫ করে। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকানরা ওর ক্ষমতায় বিশ্বাস করেনি। তারা ভুল ছিল। দ্বিতীয় টেস্টে ও দুর্দান্ত কিছু শট মারল, যার মধ্যে ছিল ভয়ঙ্কর ফাস্ট বলে টেনিসের স্ম্যাশও।
ও ডিফেন্ড করতে পারে, দরকারে চালাতেও পারে৷ ভবিষ্যতে ও ঝুড়ি ভর্তি রান করবে। চোখ দ্রুত, পা দ্রুত৷ নতুন অস্ট্রেলীয় টিমে ও নিজের ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
২০০৯ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডারবানে জীবনের দ্বিতীয় টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন ফিল হিউজ। তারপরই তার ক্রিকেট প্রতিভা নিয়ে এ লেখাটি লিখেছিলেন প্রয়াত ক্রিকেট এবং লেখক পিটার রোবাক। আজ তারা দু’জনেই নেই।
এক সপ্তাহ আগে আয়োজক দেশের কেউ বিশ্বাস করেনি ছেলেটা ব্যাট করতে পারে। ওর টেকনিক দেখে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছিল, যে ও ভয় পেয়েছে৷ এখন নিশ্চয়ই ওরা নিজেদের মানসিকতা পাল্টেছে। মাত্র ক’দিন আগে সারা বিশ্বের কাছে অজানা। আর এখন সবচেয়ে কমবয়সি ক্রিকেটার যে এক টেস্টে দু’টো সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। ১১৫ ও ১৬০। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হ্যাডলির থেকেও ২০০ দিন আগে। দুর্দান্ত কৃতিত্ব৷ আর এটা এল এমন একজনের থেকে যে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে ফিরে আসা শ্রমিক-ক্রিকেটারদের যোগ্য প্রতিনিধি। এই তরুণ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কৃতিত্ব ছুঁয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকুলে কফস হার্বারের কাছে ম্যাকসভিলে তার বেড়ে ওঠা। যেখানে ওর বাবা-মা কলা চাষ করে৷ অনেকের বাবা মোজার ভিতরে বল ঢুকিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ওপর থেকে, যাতে সেই ঝুলন্ত বল পিটিয়ে ছেলে ব্যাটিং প্র্যাক্টিস সেরে নিতে পারে। হিউজের বাবাকে একটা নয়, ছেলের আবদারে ঝোলাতে হত তিন-তিনটে বল। সন্ধে নামলে বাড়ির পিছনের বারান্দা থেকে এই প্র্যাক্টিসটা চলে আসত ঘরের ভিতর। চলত ততক্ষণ, যতক্ষণ না ওর মা রাতের খাবারের জন্য ডাক দিচ্ছেন। কষ্ট হলেও ফিলের বাবা গ্রেগ ছেলের কিট আর পেট্রোলের খরচ ঠিক জোগাড় করে ফেলত।
কষ্টের মধ্যে দিয়েই লড়াই চালিয়ে গিয়েছে হিউজ। সবাইকে অবাক করেছে। কঠিন ছিল, কিন্তু ও পড়ে থেকেছে। তারপরই সুযোগটা পেল। ২০০৮-এ সাঙ্ঘাতিক হারের পর অস্ট্রেলিয়া নতুন রক্ত খুঁজছিল। টিম বুড়ো হয়ে পড়ছিল। ম্যাথু হেডেনও অবসর নিয়ে নিল। শেফিল্ড শিল্ডে দু’টো বড় স্কোরে হিউজ বার্তাটা দিয়ে দিয়েছিল ও তৈরি।
জাতীয় দলে নির্বাচনের পর ম্যাকসভিল মাতোয়ারা। ওখানকার বাসিন্দারা বিয়ারের সঙ্গে উপভোগ করেছে হিউজের ব্যাটিং। প্রথম টেস্টের ইনিংসে শূন্য খারাপ শট খেলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরে এল দুর্দান্ত ৭৫ করে। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকানরা ওর ক্ষমতায় বিশ্বাস করেনি। তারা ভুল ছিল। দ্বিতীয় টেস্টে ও দুর্দান্ত কিছু শট মারল, যার মধ্যে ছিল ভয়ঙ্কর ফাস্ট বলে টেনিসের স্ম্যাশও।
ও ডিফেন্ড করতে পারে, দরকারে চালাতেও পারে৷ ভবিষ্যতে ও ঝুড়ি ভর্তি রান করবে। চোখ দ্রুত, পা দ্রুত৷ নতুন অস্ট্রেলীয় টিমে ও নিজের ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
২০০৯ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডারবানে জীবনের দ্বিতীয় টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন ফিল হিউজ। তারপরই তার ক্রিকেট প্রতিভা নিয়ে এ লেখাটি লিখেছিলেন প্রয়াত ক্রিকেট এবং লেখক পিটার রোবাক। আজ তারা দু’জনেই নেই।
No comments