অবশেষে হাত মেলালেন মোদি ও নওয়াজ
অবশেষে হাত মেলালেন তাঁরা। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার করমর্দন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। নেপালের কাঠমান্ডুতে এ সম্মেলনের প্রথম দিনটিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের নেতারা সাধারণ ভাববিনিময় পর্যন্ত করেননি। তাঁদের সম্পর্কের শৈত্য এবারের সম্মেলনের অন্যতম আলোচিত বিষয়। খবর রয়টার্স ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। সার্ক সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের বরফ গলবে বলেই গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকে দুই নেতার বৈঠকের সম্ভাবনাও একেবারে বাতিল করে না দেওয়ায় এই আশা তৈরি হয়। তবে বুধবার সার্ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দুজন দৃশ্যত পরস্পরের দিকে ফিরেও তাকাননি।
মোদি পাঁচ দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই তালিকায় ছিলেন না নওয়াজ। ভাষণ শেষ করে নওয়াজ যখন তাঁর আসনে ফিরছিলেন, মোদিকে তখন একটি সাময়িকীতে চোখ বুলাতে দেখা যায়। ভাববিনিময় তো হয়ইনি, উল্টো সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে মোদি ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘সেই ঘটনা আমাদের মনে স্থায়ী ব্যথার সৃষ্টি করেছে।’ সার্ক দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতে চুক্তির বিষয়ে মোদির প্রস্তাবে বাগড়া দেয় পাকিস্তান। এ যাত্রায় দুই নেতার মধ্যে আদৌ কথা হবে কি না, তা নিয়ে তখন থেকেই সন্দেহ দেখা দেয়। তবে গতকাল নেপালের ধূলিখেলে সার্ক নেতাদের অবকাশ অনুষ্ঠানে অন্তত সেই শঙ্কা দূর হয়। দুই নেতাকে কাছাকাছি নিয়ে আসার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। তবে বলা হচ্ছে, এই ভাববিনিময় ছিল নিছক নিয়মরক্ষার। গত মে মাসে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে গিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছিল। তবে বিশেষ করে কাশ্মীর সীমান্তে গত অক্টোবরের বড় ধরনের সংঘাত সম্পর্ককে আবার বিষিয়ে তোলে।
No comments