ধবলধোলাইয়ের আরও কাছে
সাকিবের জোড়া আঘাতে হঠাৎই টালমাটাল জিম্বাবুয়ে। ছবি: শামসুল হক |
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে সিরিজের গত তিন ম্যাচে দুটি পরিচিত দৃশ্য—টসে হার-জয় যা-ই হোক না কেন; প্রথমে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। শেষমেশ ম্যাচও জিতবে বাংলাদেশ! আজও ব্যতিক্রম হলো না। চতুর্থ ওয়ানডেতেও প্রথমে ব্যাট করল বাংলাদেশ। এবং যথারীতি জিম্বাবুয়েকে ২১ রানে হারিয়ে ধবলধোলাইয়ের আরও কাছে পৌঁছে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
তবে আগের তিন ম্যাচের সঙ্গে এবার বেশ কিছু পার্থক্য থাকল। এবার এত অনায়াস জয় পায়নি বাংলাদেশ। হিম হিম ঠান্ডায় ঢাকা আজকের ঢাকায় খানিকটা ঘাম ঝরল মাশরাফিদের। গত কয়েক ম্যাচের তুলনায় বেশ প্রতিদ্বিন্দ্বতা করেছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজে প্রথমবারের মতো ২০০ পেরিয়েছে এল্টন চিগুম্বুরার দল। সলোমন মিরে ও ব্রেন্ডন টেলরের চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলা ১০২ বলে ১০৬ রান জিম্বাবুয়েকে আশাও জাগিয়েছিল খানিকক্ষণ। ৩৩.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ছিল ১৬৬। ৯৮ বলে দরকার ৯১। হাতে সাত উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা, উইকেটে জমিয়ে ব্যাটিং করছেন টেলর আর মিরে।
কিন্তু ৩৪তম ওভারের পঞ্চম বলে মিরের (৫২) পতনের পরই পথ হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। পরের ওভারে টেলরও (৬২) ভুলের খেসারত দিয়ে ফিরে এলে জিম্বাবুয়ের জয়ের সম্ভাবনাও একরকম শেষ হয়ে যায়। এরপর বল আর রানের ব্যবধান ক্রমেই বেড়েছে। যে সমীকরণ শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে মেলাতে পারেনি। ৮ উইকেটে ২৩৫ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস।
২৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দা। উদ্বোধনী জুটিতে এল ৪৮ রান। সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতে হঠাৎ পথ হারানোর উপক্রম সফরকারীদের! জিম্বাবুয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর আগেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে জুবায়ের হোসেনের আঘাত! অভিষেকে প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিলেন এ লেগ স্পিনার। এর পরও জিম্বাবুয়েকে জয়ের স্বপ্ন দেখাল মিরে-টেলরের চতুর্থ উইকেট জুটি। চলতি সিরিজে এটিই সফরকারীদের একমাত্র সেঞ্চুরি জুটি।
একটা সময় এ জুটিই ফিকে করে দিচ্ছিল বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু ৫২ করা মিরেকে ফিরিয়ে উল্টো জিম্বাবুয়ের স্বপ্নই ধূসর করে দিলেন জুবায়ের। সাকিবের বলে শর্ট লেগে ইমরুল কায়েসের হাতে শূন্য রানে জীবন পাওয়া টেলর টিকে ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। রুবেলের বলে ফেরার আগে করলেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান। সাকিব, রুবেল, জুবায়ের পেয়েছেন দুটি করে উইকেট, মাশরাফির সংগ্রহে ১টি।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলকে কক্ষপথে ফেরান মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেট জুটি। এ জুটিতে আসে ১৩৪ রান। মিরপুরে পঞ্চম উইকেট জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ রান। মুশফিক তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি আর মাহমুদউল্লাহ ১০ম। কামুনগোজির বলে ফেরার আগে বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষকের সংগ্রহ ৭৭ রান।
মুশফিক ফিরে গেলে অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফির জুটিতে তোলা ৪৮ বলে ৬৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৬ করে স্বাগতিকরা। অষ্টম উইকেট জুটিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। মাদজিভার বলে ফেরার আগে মাশরাফি ২৫ বলে করেন ৩৯ রান। ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক আর মাশরাফি-তিন ম-এর সুবাদেই ৪-০-র স্বপ্ন পূরণে আরও কাছে যাওয়ার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
হয়ে গেল ৪-০, এবার অপেক্ষা ধবলধোলাইয়ের। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ১ ডিসেম্বর, সোমবার।
তবে আগের তিন ম্যাচের সঙ্গে এবার বেশ কিছু পার্থক্য থাকল। এবার এত অনায়াস জয় পায়নি বাংলাদেশ। হিম হিম ঠান্ডায় ঢাকা আজকের ঢাকায় খানিকটা ঘাম ঝরল মাশরাফিদের। গত কয়েক ম্যাচের তুলনায় বেশ প্রতিদ্বিন্দ্বতা করেছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজে প্রথমবারের মতো ২০০ পেরিয়েছে এল্টন চিগুম্বুরার দল। সলোমন মিরে ও ব্রেন্ডন টেলরের চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলা ১০২ বলে ১০৬ রান জিম্বাবুয়েকে আশাও জাগিয়েছিল খানিকক্ষণ। ৩৩.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ছিল ১৬৬। ৯৮ বলে দরকার ৯১। হাতে সাত উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা, উইকেটে জমিয়ে ব্যাটিং করছেন টেলর আর মিরে।
কিন্তু ৩৪তম ওভারের পঞ্চম বলে মিরের (৫২) পতনের পরই পথ হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। পরের ওভারে টেলরও (৬২) ভুলের খেসারত দিয়ে ফিরে এলে জিম্বাবুয়ের জয়ের সম্ভাবনাও একরকম শেষ হয়ে যায়। এরপর বল আর রানের ব্যবধান ক্রমেই বেড়েছে। যে সমীকরণ শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে মেলাতে পারেনি। ৮ উইকেটে ২৩৫ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস।
২৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দা। উদ্বোধনী জুটিতে এল ৪৮ রান। সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতে হঠাৎ পথ হারানোর উপক্রম সফরকারীদের! জিম্বাবুয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর আগেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে জুবায়ের হোসেনের আঘাত! অভিষেকে প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিলেন এ লেগ স্পিনার। এর পরও জিম্বাবুয়েকে জয়ের স্বপ্ন দেখাল মিরে-টেলরের চতুর্থ উইকেট জুটি। চলতি সিরিজে এটিই সফরকারীদের একমাত্র সেঞ্চুরি জুটি।
একটা সময় এ জুটিই ফিকে করে দিচ্ছিল বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু ৫২ করা মিরেকে ফিরিয়ে উল্টো জিম্বাবুয়ের স্বপ্নই ধূসর করে দিলেন জুবায়ের। সাকিবের বলে শর্ট লেগে ইমরুল কায়েসের হাতে শূন্য রানে জীবন পাওয়া টেলর টিকে ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। রুবেলের বলে ফেরার আগে করলেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান। সাকিব, রুবেল, জুবায়ের পেয়েছেন দুটি করে উইকেট, মাশরাফির সংগ্রহে ১টি।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলকে কক্ষপথে ফেরান মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেট জুটি। এ জুটিতে আসে ১৩৪ রান। মিরপুরে পঞ্চম উইকেট জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ রান। মুশফিক তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি আর মাহমুদউল্লাহ ১০ম। কামুনগোজির বলে ফেরার আগে বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষকের সংগ্রহ ৭৭ রান।
মুশফিক ফিরে গেলে অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফির জুটিতে তোলা ৪৮ বলে ৬৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৬ করে স্বাগতিকরা। অষ্টম উইকেট জুটিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। মাদজিভার বলে ফেরার আগে মাশরাফি ২৫ বলে করেন ৩৯ রান। ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক আর মাশরাফি-তিন ম-এর সুবাদেই ৪-০-র স্বপ্ন পূরণে আরও কাছে যাওয়ার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
হয়ে গেল ৪-০, এবার অপেক্ষা ধবলধোলাইয়ের। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ১ ডিসেম্বর, সোমবার।
No comments