‘ফুকুশিমা থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ সাগরে মিশেছে’
সুনামিতে অচল ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের
চুল্লি ছিদ্র হয়ে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রশান্ত মহাসাগরে
পড়েছে বলে সন্দেহ করছে জাপানের পরমাণু সংস্থা (এনআরএ)। ফুকুশিমার পরিচালনা
প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ারের (টেপকো) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এনআরএ
গতকাল বুধবার বলেছে, ভূগর্ভস্থ পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি হঠাৎ
বেড়ে যাওয়ার কারণ ও উৎস শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে টেপকো। আমাদের জোরালো
সন্দেহ উচ্চমাত্রার দূষিত বর্জ্য পদার্থ মাটির নিচ দিয়ে বের হয়ে সাগরে
ছড়িয়ে পড়েছে। এনআরএ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ফুকুশিমা দাইচি প্রকল্পে
ভূগর্ভস্থ পানির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা গেছে, ওই পানিতে ক্যানসার
সৃষ্টিকারী ‘সিজিয়াম-১৩৪’-এর মাত্রা শুক্রবারের চেয়ে ১১০ গুণ বেশি।
এনআরএর অন্যতম কমিশনার তয়োশি ফুকেতা বলেন, ‘টেপকো বলছে এর ফলে পরিবেশের
ওপর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আমরা দেখছি, এতে সাগরের পানি দূষিত
হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ ২০১১ সালের মার্চে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট
সুনামিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র। এতে
কেন্দ্রটির পরমাণু চুল্লিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে
তেজস্ক্রিয়তার সম্ভাব্য প্রভাব এড়াতে হাজার হাজার স্থানীয় মানুষ ওই সময়
বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। অচল কেন্দ্রটি এখন বিপদমুক্ত করার কাজ করছে
টেপকো। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি চুল্লি শীতল করতে হাজার হাজার
টন পানি সেখানে মজুত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফুকুশিমাকে বিপদমুক্ত
করার কাজ সম্পূর্ণ করতে চার দশক সময় লেগে যেতে পারে। এএফপি।
No comments