খুলনা মেডিকেলের হূদেরাগ বিভাগটির রোগ সারাবে কে? চিকিৎসক-সংকট
চিকিৎসক-সংকটের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের হূদেরাগ (কার্ডিওলজি) বিভাগের প্রবেশপথে যে নোটিশ টাঙানো হয়েছে,
তা কেবল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত
কর্তাব্যক্তিদের জন্যও লজ্জাজনক।
একটি মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের হূদেরাগ বিভাগের সামনে ‘কোনো ডিউটি ডাক্তার, ইন্টার্নি চিকিৎসক,
সহকারী রেজিস্ট্রার বা রেজিস্ট্রারে পোস্টিং নেই’ বিজ্ঞপ্তি টাঙানোর আগে
ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পদটি শূন্য করাই কি শ্রেয় ছিল না? যে
হাসপাতালে হূদেরাগের মতো জরুরি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পদ শূন্য
থাকে, সেই হাসপাতালের পেছনে জনগণের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার যৌক্তিকতা
থাকতে পারে না।
২০১২ সালের জানুয়ারিতে খোলা এই বিভাগের ১৬টি শয্যা (করোনারি কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউতে ছয়টি ও সাধারণ ওয়ার্ডে ১০টি) অর্থহীন হয়ে পড়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অভাবে। এই অবস্থা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন সহকারী অধ্যাপক বিভাগটি দেখাশোনা করলেও তিনি সম্প্রতি বদলি হওয়ায় চিকিৎসাসেবায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। কথা হলো, বদলি হওয়া চিকিৎসকের শূন্য পদে এত দিনেও কাউকে পদায়ন করা হলো না কেন? দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্রটির এই বেহাল অবস্থা হলে গ্রামগঞ্জের হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর অবস্থা কী, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
বর্তমান সরকারের আমলে যে কয়েক হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা কোথায় গেলেন? এর আগে প্রথম আলোতেই খবর বের হয়েছিল, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রোগীর তুলনায় অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়ন করা হয়েছে। আবার ঢাকার বাইরের অনেক হাসপাতালেই রোগীদের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না চিকিৎসকের স্বল্পতার কারণে। ঢাকার বাইরে চিকিৎসকদের যেতে অনাগ্রহের ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের সুমতি ফিরবে বলে আশা করা যায় না।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হূদেরাগ বিভাগটির রোগ সারানোর একমাত্র দাওয়াই অবিলম্বে সব শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে অকার্যকর হয়ে পড়েনি, সেটি কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ করতে হবে।
২০১২ সালের জানুয়ারিতে খোলা এই বিভাগের ১৬টি শয্যা (করোনারি কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউতে ছয়টি ও সাধারণ ওয়ার্ডে ১০টি) অর্থহীন হয়ে পড়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অভাবে। এই অবস্থা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন সহকারী অধ্যাপক বিভাগটি দেখাশোনা করলেও তিনি সম্প্রতি বদলি হওয়ায় চিকিৎসাসেবায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। কথা হলো, বদলি হওয়া চিকিৎসকের শূন্য পদে এত দিনেও কাউকে পদায়ন করা হলো না কেন? দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্রটির এই বেহাল অবস্থা হলে গ্রামগঞ্জের হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর অবস্থা কী, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
বর্তমান সরকারের আমলে যে কয়েক হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা কোথায় গেলেন? এর আগে প্রথম আলোতেই খবর বের হয়েছিল, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রোগীর তুলনায় অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়ন করা হয়েছে। আবার ঢাকার বাইরের অনেক হাসপাতালেই রোগীদের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না চিকিৎসকের স্বল্পতার কারণে। ঢাকার বাইরে চিকিৎসকদের যেতে অনাগ্রহের ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের সুমতি ফিরবে বলে আশা করা যায় না।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হূদেরাগ বিভাগটির রোগ সারানোর একমাত্র দাওয়াই অবিলম্বে সব শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে অকার্যকর হয়ে পড়েনি, সেটি কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ করতে হবে।
No comments