টিআইবির রিপোর্ট রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র : প্রধানমন্ত্রী

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দুর্নীতির রিপোর্টকে 'রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র' বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, টিআইবি ২০০১ সালে এমন প্রতিবেদন দিয়েছিল।
এবারও একই অবস্থান নিয়েছে। আর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তো হজের টাকা চুরি করা ব্যক্তিকে জনগণ নির্বাচিত করেছে। সপ্তাহব্যাপী বিদেশ সফর শেষে গতকাল বুধবার দেশে ফেরার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) উল্লেখ করে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার্লিনভিত্তিক এ সংস্থাটি নিজেরাও তো দুর্নীতি করে। টিআইবির রিপোর্টে পুলিশকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে মুহূর্তে পুলিশ নিজের জীবন বাজি রেখে সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে, তখন পুলিশের বিরুদ্ধে এ রিপোর্ট দিয়ে তারা তাদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ মার খাচ্ছে, বোমার আঘাতে হাত উড়ে যাচ্ছে, সারা দেশে শিবিরের ক্যাডাররা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে- এসব বিষয় তো রিপোর্টে আসেনি।
টানা চার সিটিতে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত গাজীপুর সিটিতেও পরাজয়ে দলের নেতা-কর্মীরা মুষড়ে পড়ে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তারা সন্ধ্যা থেকেই গণভবনে যেতে শুরু করে। দলের নেতারা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর প্রধানমন্ত্রী নিচে নেমে আসেন। এ সময় তিনি রসিকতা করে দলের নেতাদের 'হারু পার্টি' বলে ডাকেন। তবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো কথা বলেননি।
একসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক গাজীপুরে পরাজয়ের কারণ নিয়ে কথা বলতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শুনতে চাননি। তবে দলের নেতাদের বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। দলের অনৈক্য দ্রুত সমাধান করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর গাজীপুর নির্বাচনের বিষয়ে শিগগিরই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে তিনি নেতাদের জানান।
বৈঠককালে আরো উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

No comments

Powered by Blogger.