এক অবরোধে অচল ঢাকা-বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি
পরীক্ষার ফল বাতিল ও সব সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বুধবার
শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ফলবঞ্চিত ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের
কারণে রাজধানীর ভিআইপি সড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
চরম ভোগান্তিতে পড়ে রাজধানীবাসী। একই সঙ্গে রথযাত্রার কারণে কিছু সড়ক
সাময়িক বন্ধ থাকায় যানজটের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলেই ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। তবে আন্দোলনকারীরা বলেছে, শুধু ফল পুনর্মূল্যায়ন নয়, ফলই বাতিল করতে হবে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গতকাল সকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর ব্যস্ততম শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন এবং কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ওই আন্দোলনে নেমেছিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা একাত্মতা জানিয়ে সেখানে জড়ো হয়। অবরোধকারীরা জানায়, প্রচলিত কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। তারা পিএসসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সে সময় শাহবাগ মোড়ের রাস্তা বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে শাহবাগ মোড় দিয়ে ধানমণ্ডি ও ভিআইপি সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। কেউ ৮০ পেয়ে ফেল করবে, আর কেউ ৫০ পেয়ে পাস করবে- এ বৈষম্য চলতে পারে না।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, 'এটা কেমন ধরনের বৈষম্য? এক পরীক্ষায় দুই ধরনের নিয়ম।' মেধার মাধ্যমে মূল্যায়ন না করে কোটা পদ্ধতিতে নিলে জাতি মেধাশূন্য হবে বলে দাবি করেন তিনি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করে বলে, সাধারণ কোটার মধ্যে থাকায় ৮০টিরও বেশি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে ফল পায়নি। কিন্তু কোটার কারণে কম নম্বর পেয়ে অনেকে ফল পেয়েছে।
ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত : গতকাল বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ ই ম নেছার উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল নিয়ে কিছুসংখ্যক প্রার্থীর মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' প্রসঙ্গত, এবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দুই লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৩৩ জন। আগে লিখিত পরীক্ষার পর কোটার ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হতো। এবার প্রাথমিক বাছাইয়েই কোটা অনুসরণ করে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন : গতকাল সকালে পরীক্ষা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানালেও বিকেলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবিতে অব্যাহত আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। তাদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন আহমেদ এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, পরীক্ষার ফল ও কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। আজ (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। কাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টা থেকে আবার কর্মসূচি শুরু হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলেই ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। তবে আন্দোলনকারীরা বলেছে, শুধু ফল পুনর্মূল্যায়ন নয়, ফলই বাতিল করতে হবে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গতকাল সকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর ব্যস্ততম শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন এবং কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ওই আন্দোলনে নেমেছিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা একাত্মতা জানিয়ে সেখানে জড়ো হয়। অবরোধকারীরা জানায়, প্রচলিত কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। তারা পিএসসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সে সময় শাহবাগ মোড়ের রাস্তা বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে শাহবাগ মোড় দিয়ে ধানমণ্ডি ও ভিআইপি সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। কেউ ৮০ পেয়ে ফেল করবে, আর কেউ ৫০ পেয়ে পাস করবে- এ বৈষম্য চলতে পারে না।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, 'এটা কেমন ধরনের বৈষম্য? এক পরীক্ষায় দুই ধরনের নিয়ম।' মেধার মাধ্যমে মূল্যায়ন না করে কোটা পদ্ধতিতে নিলে জাতি মেধাশূন্য হবে বলে দাবি করেন তিনি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করে বলে, সাধারণ কোটার মধ্যে থাকায় ৮০টিরও বেশি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে ফল পায়নি। কিন্তু কোটার কারণে কম নম্বর পেয়ে অনেকে ফল পেয়েছে।
ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত : গতকাল বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ ই ম নেছার উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল নিয়ে কিছুসংখ্যক প্রার্থীর মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' প্রসঙ্গত, এবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দুই লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৩৩ জন। আগে লিখিত পরীক্ষার পর কোটার ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হতো। এবার প্রাথমিক বাছাইয়েই কোটা অনুসরণ করে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন : গতকাল সকালে পরীক্ষা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানালেও বিকেলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবিতে অব্যাহত আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। তাদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন আহমেদ এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, পরীক্ষার ফল ও কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। আজ (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। কাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টা থেকে আবার কর্মসূচি শুরু হবে।
No comments