মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অধিকার by মোজাহারুল হক
এ অধিকার যেহেতু সাংবিধানিক অধিকার, সে জন্য এটা নিশ্চিত করাও রাজনৈতিক সরকার বা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।
জনগণ আশা করে এমন এক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, যা নিশ্চিত করবে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য।
জনগণ আশা করে এমন এক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, যা নিশ্চিত করবে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য।
ধনী-গরিব,
পুরুষ-মহিলা, শিশু-বয়োবৃদ্ধ, শহর-গ্রাম নির্বিশেষে প্রতিটি অঞ্চলের
জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে জনগণের সরকার- এটাই
সবার প্রত্যাশা।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি দেশের স্বাস্থ্যনীতি প্রণীত হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশেও সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণীত হয়েছে।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই একটি স্বাস্থ্যনীতি বা Agenda থাকে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজেদের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাস্থ্য বিষয়ের অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ ঠিক করে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সবার মূল লক্ষ্য থাকতে হয় জনগণের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন বা স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য মানবসম্পদ তৈরি বা উন্নয়ন এবং অন্যান্য সম্পদ আহরণসহ জোগানদান, এর প্রকৃত ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। এর মাধ্যমে জনগণের বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করা, তা Analysis করা এবং এর মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের একটি Wish List তৈরি করা। তারা এই সমস্যাগুলোর কতগুলো তাদের সময়কালে সমাধান করে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে জনগণকে কতখানি মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে চায়, সেটাই হবে তাদের উদ্দেশ্য।
Wish List-এর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় হবে অগ্রাধিকারগুলোর আলোকে প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের চাহিদার ভিত্তিতে প্রতিবছরের স্বাস্থ্য বাজেট নির্ধারণ করা এবং একটি দ্বিবার্ষিক বা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করা। মনে রাখতে হবে, আমাদের রাজনৈতিক সরকারগুলোর সময়কালও পাঁচ বছর।
স্বাস্থ্য বাজেট দুই রকম হতে পারে, একটি কার্যক্রম অনুযায়ী বাজেট অন্যটি বাজেট অনুযায়ী কার্যক্রম নির্ধারণ। এখানে প্রয়োজন হতে পারে অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার বা (Priority of Priorities) নির্ধারণ করাও। এটা করতে হবে। কারণ জনগণ সরকারের কাছে তাদের কর্মকাণ্ডের সুফল দেখতে চায় বা পেতে চায়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ের অগ্রাধিকারগুলো কী কী হতে পারে। এটা সরকারের স্বাস্থ্যনীতির আলোকে নির্ধারণ করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, কোনো সরকারের পক্ষেই সব স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। তবে জনগণ দেখতে চাইবে, সরকার সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং তা আন্তরিকতার সঙ্গে।
একটি উদাহরণ দিয়ে বলি, আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যসূচক সবচেয়ে ভালো। তাদের মা-শিশু মৃত্যুর হার কম, Life expectancy বেশি। বাংলাদেশের সরকার যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রতিবছর ব্যয় করে মাত্র ১২০০ টাকা, শ্রীলঙ্কা সরকার ব্যয় করে তার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রায় ৪৫০০ টাকা। তাদের লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে তারা তাদের অগ্রাধিকারগুলো ঠিক করেছে।
সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ, বিনা পয়সায় মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনায় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ; স্বাস্থ্যসেবার গুণগতমান উন্নয়নসহ তা Cost effective-করণ, বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ও তা নিয়ন্ত্রণ। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য মানবসম্পদ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর প্রয়োজনীয় গবেষণাকে উৎসাহ প্রদান এবং আয়ুর্বেদিকসহ অন্যান্য Alternative স্বাস্থ্যসেবাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদিও।
এ ছাড়া তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি বিষয়। আমাদেরও অগ্রাধিকারগুলোর অগ্রাধিকার চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। থাকতে হবে বাস্তবায়নকালে সুষ্ঠু Monitoring ও তদারকির ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য একটি রাজনৈতিক বিষয়, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে রাজনৈতিক সরকার সততার সঙ্গে অগ্রাধিকার নির্ণয় করে তা বাস্তবায়ন করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সততা ও আন্তরিকতার ব্যাপারে জনগণের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
সুষ্ঠু স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক সততার একটি বিষয়ও আছে। সরকার Meritarion Principle বা মেধাভিত্তিক নীতি মেনে উপযুক্ত মেধার অধিকারী জনশক্তিকে স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে কি না ও মেধাভিত্তিক যোগ্য জনবল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাগুলো নিয়োগ দান করেছে কি না, তা দেখা দরকার। যদি তা না হয়, তাহলে সরকারের যেকোনো পদক্ষেপ হবে রাজনৈতিক অভিলাষ এবং যেকোনো মহৎ উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হতে বাধ্য। মনে রাখতে হবে, মেধার বিকল্প কিছু নেই, শিক্ষক নিয়োগ হতে কমিউনিটি ক্লিনিকে জনবল নিয়োগ স্বচ্ছতার ও মেধার নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্যকে একটি রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে স্বীকার করে সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয় এবং জাতীয় উন্নয়নে এর প্রভাব সর্বাধিক।
একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বাজেট বৃদ্ধি করা। আমাদের স্বাস্থ্য বাজেট নূ্যনতম ১০ শতাংশ করাই হোক আমাদের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে এর বিকল্প নেই। আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যবান জাতি উন্নত জাতি।
লেখক : অধ্যাপক ও সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)
muzaherul@hotmail.com
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি দেশের স্বাস্থ্যনীতি প্রণীত হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশেও সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণীত হয়েছে।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই একটি স্বাস্থ্যনীতি বা Agenda থাকে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজেদের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাস্থ্য বিষয়ের অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ ঠিক করে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সবার মূল লক্ষ্য থাকতে হয় জনগণের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন বা স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য মানবসম্পদ তৈরি বা উন্নয়ন এবং অন্যান্য সম্পদ আহরণসহ জোগানদান, এর প্রকৃত ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। এর মাধ্যমে জনগণের বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করা, তা Analysis করা এবং এর মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের একটি Wish List তৈরি করা। তারা এই সমস্যাগুলোর কতগুলো তাদের সময়কালে সমাধান করে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে জনগণকে কতখানি মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে চায়, সেটাই হবে তাদের উদ্দেশ্য।
Wish List-এর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় হবে অগ্রাধিকারগুলোর আলোকে প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের চাহিদার ভিত্তিতে প্রতিবছরের স্বাস্থ্য বাজেট নির্ধারণ করা এবং একটি দ্বিবার্ষিক বা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করা। মনে রাখতে হবে, আমাদের রাজনৈতিক সরকারগুলোর সময়কালও পাঁচ বছর।
স্বাস্থ্য বাজেট দুই রকম হতে পারে, একটি কার্যক্রম অনুযায়ী বাজেট অন্যটি বাজেট অনুযায়ী কার্যক্রম নির্ধারণ। এখানে প্রয়োজন হতে পারে অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার বা (Priority of Priorities) নির্ধারণ করাও। এটা করতে হবে। কারণ জনগণ সরকারের কাছে তাদের কর্মকাণ্ডের সুফল দেখতে চায় বা পেতে চায়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ের অগ্রাধিকারগুলো কী কী হতে পারে। এটা সরকারের স্বাস্থ্যনীতির আলোকে নির্ধারণ করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, কোনো সরকারের পক্ষেই সব স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। তবে জনগণ দেখতে চাইবে, সরকার সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং তা আন্তরিকতার সঙ্গে।
একটি উদাহরণ দিয়ে বলি, আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যসূচক সবচেয়ে ভালো। তাদের মা-শিশু মৃত্যুর হার কম, Life expectancy বেশি। বাংলাদেশের সরকার যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রতিবছর ব্যয় করে মাত্র ১২০০ টাকা, শ্রীলঙ্কা সরকার ব্যয় করে তার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রায় ৪৫০০ টাকা। তাদের লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে তারা তাদের অগ্রাধিকারগুলো ঠিক করেছে।
সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ, বিনা পয়সায় মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনায় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ; স্বাস্থ্যসেবার গুণগতমান উন্নয়নসহ তা Cost effective-করণ, বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ও তা নিয়ন্ত্রণ। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য মানবসম্পদ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর প্রয়োজনীয় গবেষণাকে উৎসাহ প্রদান এবং আয়ুর্বেদিকসহ অন্যান্য Alternative স্বাস্থ্যসেবাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদিও।
এ ছাড়া তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি বিষয়। আমাদেরও অগ্রাধিকারগুলোর অগ্রাধিকার চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। থাকতে হবে বাস্তবায়নকালে সুষ্ঠু Monitoring ও তদারকির ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য একটি রাজনৈতিক বিষয়, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে রাজনৈতিক সরকার সততার সঙ্গে অগ্রাধিকার নির্ণয় করে তা বাস্তবায়ন করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সততা ও আন্তরিকতার ব্যাপারে জনগণের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
সুষ্ঠু স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক সততার একটি বিষয়ও আছে। সরকার Meritarion Principle বা মেধাভিত্তিক নীতি মেনে উপযুক্ত মেধার অধিকারী জনশক্তিকে স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে কি না ও মেধাভিত্তিক যোগ্য জনবল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাগুলো নিয়োগ দান করেছে কি না, তা দেখা দরকার। যদি তা না হয়, তাহলে সরকারের যেকোনো পদক্ষেপ হবে রাজনৈতিক অভিলাষ এবং যেকোনো মহৎ উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হতে বাধ্য। মনে রাখতে হবে, মেধার বিকল্প কিছু নেই, শিক্ষক নিয়োগ হতে কমিউনিটি ক্লিনিকে জনবল নিয়োগ স্বচ্ছতার ও মেধার নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্যকে একটি রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে স্বীকার করে সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয় এবং জাতীয় উন্নয়নে এর প্রভাব সর্বাধিক।
একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বাজেট বৃদ্ধি করা। আমাদের স্বাস্থ্য বাজেট নূ্যনতম ১০ শতাংশ করাই হোক আমাদের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে এর বিকল্প নেই। আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যবান জাতি উন্নত জাতি।
লেখক : অধ্যাপক ও সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)
muzaherul@hotmail.com
No comments