দুর্নীতির প্রতিবেদন-অস্বীকার নয়, প্রতিকারের উদ্যোগ নিন
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ
(টিআইবি) বাংলাদেশের ২০১২ সালের দুর্নীতি পরিস্থিতি নিয়ে একটি জনমত জরিপ
প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ রাজনৈতিক দল ও পুলিশ
বাহিনীকে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে করে।
এই
প্রতিবেদনের ব্যাপারে প্রচলিত নিয়মে সরকারি দল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং
বিরোধী দল খুশি হয়েছে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ যখন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ
হিসেবে চিহ্নিত হলো, তখনো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল এবং অসন্তোষ প্রকাশ
করেছিল। সে বছরও বিরোধী দলে থাকা বিএনপি প্রতিবেদনের প্রশংসা করেছিল।
কিন্তু তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পর পাঁচ বছর ধরেই যখন বাংলাদেশ সবচেয়ে
দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ থেকে গেল, তখন তারা সংস্থাটির ওপর খুবই রুষ্ট ছিল এবং
সব বানোয়াট বলেও দাবি করেছিল।
টিআইবির এই প্রতিবেদন নিজস্ব কোনো উদ্ভাবন নয়, এ দেশের মানুষের মতামতকে তারা তুলে ধরেছে মাত্র। এই মতামত শতভাগ সত্য এমন দাবি আমরা করছি না। কিন্তু কিছুটা সত্য হলেও তা খুবই শঙ্কার কারণ। টিআইয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, সারা দুনিয়ায়ই রাজনীতিতে দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই জেঁকে বসার পরিমাণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। টিআইবির প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয় না, নিজেদের চোখ আর সাধারণ বিচার-বুদ্ধি দিয়েই আমরা তা দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আনুষ্ঠানিক হিসাব বিবরণীতে না থাকলেও এটি প্রায় সর্বজনস্বীকৃত সত্য যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে একেকজন প্রার্থী কয়েক কোটি টাকা খরচ করেন। মনোনয়ন বাণিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের খবর পাওয়া যায়। মনোনয়নের জন্য কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একেকজন প্রার্থী রীতিমতো যুদ্ধে নামেন। এগুলো কি শুধুই দেশ সেবার জন্য? সম্ভবত কোনো প্রায়-নির্বোধও তা বিশ্বাস করবেন না। সেই কয়েক কোটি টাকা তাঁরা বিনিয়োগ করেন, পরবর্তীকালে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক গুণ বেশি অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। এটি এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রিয় সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে কোনো ভেদাভেদ নেই। কাজেই সেই রাজনীতিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হলে তাকে অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। কিন্তু যে পুলিশ বাহিনীর সমাজের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা, সেই পুলিশ বাহিনী যদি মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ ক্রমেই সেদিকেই এগিয়ে চলেছে। অপরাধীরা সমাজে মাথা উঁচু করে চলছে আর অপরাধের শিকার হয়ে সাধারণ মানুষকে মাথা নিচু করে থাকতে হচ্ছে। টিআই কিংবা টিআইবির বহু সমালোচনা রয়েছে। সেদিকে না তাকিয়ে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করলেও আমাদের বর্তমান অবস্থা থেকে জরুরি উত্তরণ প্রয়োজন। আশা করি সরকার সেদিকেই তাকাবে।
টিআইবির এই প্রতিবেদন নিজস্ব কোনো উদ্ভাবন নয়, এ দেশের মানুষের মতামতকে তারা তুলে ধরেছে মাত্র। এই মতামত শতভাগ সত্য এমন দাবি আমরা করছি না। কিন্তু কিছুটা সত্য হলেও তা খুবই শঙ্কার কারণ। টিআইয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, সারা দুনিয়ায়ই রাজনীতিতে দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই জেঁকে বসার পরিমাণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। টিআইবির প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয় না, নিজেদের চোখ আর সাধারণ বিচার-বুদ্ধি দিয়েই আমরা তা দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আনুষ্ঠানিক হিসাব বিবরণীতে না থাকলেও এটি প্রায় সর্বজনস্বীকৃত সত্য যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে একেকজন প্রার্থী কয়েক কোটি টাকা খরচ করেন। মনোনয়ন বাণিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের খবর পাওয়া যায়। মনোনয়নের জন্য কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একেকজন প্রার্থী রীতিমতো যুদ্ধে নামেন। এগুলো কি শুধুই দেশ সেবার জন্য? সম্ভবত কোনো প্রায়-নির্বোধও তা বিশ্বাস করবেন না। সেই কয়েক কোটি টাকা তাঁরা বিনিয়োগ করেন, পরবর্তীকালে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক গুণ বেশি অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। এটি এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রিয় সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে কোনো ভেদাভেদ নেই। কাজেই সেই রাজনীতিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হলে তাকে অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। কিন্তু যে পুলিশ বাহিনীর সমাজের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা, সেই পুলিশ বাহিনী যদি মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ ক্রমেই সেদিকেই এগিয়ে চলেছে। অপরাধীরা সমাজে মাথা উঁচু করে চলছে আর অপরাধের শিকার হয়ে সাধারণ মানুষকে মাথা নিচু করে থাকতে হচ্ছে। টিআই কিংবা টিআইবির বহু সমালোচনা রয়েছে। সেদিকে না তাকিয়ে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করলেও আমাদের বর্তমান অবস্থা থেকে জরুরি উত্তরণ প্রয়োজন। আশা করি সরকার সেদিকেই তাকাবে।
No comments